নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাসের লিকেজের আগুনে দগ্ধ হয়ে শিশু সুমাইয়ার পর তার মা রূপালী আক্তার (২০) মারা গেছেন। আজ রোববার ভোরে ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ওই ঘটনায় দগ্ধ আটজনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হলো।

নিহত রূপালী পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার পানিয়ালপুকুল গ্রামে। এর আগে গতকাল শনিবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় রূপালী আক্তারের দেড় বছরের মেয়ে সুমাইয়া ও প্রতিবেশী মো.

হান্নানের মৃত্যু হয়। হান্নানের শরীরের ৪৫ শতাংশ ও শিশু সুমাইয়ার শরীরের ৪৪ শতাংশ দগ্ধ ছিল।  

জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক শাওন বিন রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নিহত রূপালী আক্তারের শরীরের ৩৪ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। চিকিৎসাধীন পাঁচজনের মধ্যে শিশু দুজনের অবস্থা একটু ভালো, তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

দগ্ধ সোহাগ আলীর বড় ভাই রুবেল আলী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ভাতিজা সুমাইয়া মৃত্যুর পর ছোট ভাইয়ের স্ত্রী রূপালী আক্তারও মারা গেছেন। তাঁর ভাইয়ের অবস্থাও ভালো নয়।

আরও পড়ুনসিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে শিশুসহ দুজনের মৃত্যু০৮ মার্চ ২০২৫

গত সোমবার গভীর রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকেশ্বরী শান্তিবাগ এলাকার একটি বাড়িতে গ্যাসের লাইনের লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই বাড়ির দুটি কক্ষে আগুন ধরে যায়। ভাড়াটে দুটি পরিবারের শিশু-নারীসহ আটজন দগ্ধ হন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবস থ রগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

দিনাজপুরে শিয়ালের কামড়ে আহত ৮

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় শিয়ালের কামড়ে আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত আটটা থেকে নয়টার মধ্যে উপজেলার পুঁটিমারা ইউনিয়নের আন্দলগ্রাম সারাইপাড়া, নয়াপাড়া, চণ্ডীপুর ও বেড়ামাইল গ্রামে এসব ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন আন্দলগ্রাম সারাইপাড়া এলাকার রকিব মিয়া (৬২), চড়ারহাট এলাকার এনামুল হক (৪৬) ও তাঁর স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৩৫), ইসাহাক আলী (৪৫), আবদুল হক (৫০), হীরা (২৬), চণ্ডীপুর গ্রামের ফসি উদ্দিন (৪৫) ও বেড়ামাইল গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন (২৫)।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, শিয়ালের কামড়ে আহত আটজনের মধ্যে পাঁচজন গতকাল রাতেই বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি (ইউপি সদস্য) শেফালী বেগম ও আহত রকিব মিয়া বলেন, শুক্রবার রাত আটটার দিকে নবাবগঞ্জের চড়ারহাট বাজার থেকে কয়েকজন পথচারী হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে নয়াপাড়া গ্রামে ঢোকার সময় রাস্তায় একটি শিয়াল অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ শিয়ালটি দৌড়ে এসে পথচারীদের পায়ে ও হাঁটুর নিচে কামড় দেয়। এ সময় কেউ কেউ শিয়ালটিকে তাড়ানোর চেষ্টা করলে সেটির সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়। পরে শিয়ালটি পালিয়ে যায়।

শেফালী বেগম বলেন, ওই রাতেই নয়াপাড়া গ্রামে মরিয়ম বেগম নামের এক নারী বাড়ির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ একটি শিয়াল এসে তাঁর পায়ে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে সারাইপাড়া, নয়াপাড়া, বেড়ামাইল ও চণ্ডীপুর গ্রামের আটজনকে শিয়াল কামড় দেয়।

বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাহাজুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে শিয়ালের কামড়ে আহত পাঁচজন রোগী হাসপাতালে আসেন। তাঁরা সবাই চিকিৎসা নিয়ে রাতেই বাড়ি ফিরে গেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দিনাজপুরে শিয়ালের কামড়ে আহত ৮