টাঙ্গাইলে দখল, ভাঙচুর ও চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘সমন্বয়ক’ মারিয়াম মোকাদ্দাস মিস্টির (২৭) চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

সোমবার (১০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম মাহবুব খান তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে সকালে মারিয়াম মোকাদ্দাস মিস্টিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ।

গতকাল রোববার রাতে টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি জোয়াহেরুল ইসলামের স্ত্রী রওশন আরা খান বাদী হয়ে মারিয়াম মোকাদ্দাস মিস্টির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৭-৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই রাতেই মিস্টিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

মারিয়াম মোকাদ্দাস মিস্টি বাসাইল উপজেলার জশিহাটী গ্রামের শাহ আলমাসের স্ত্রী। তবে তিনি টাঙ্গাইল শহরের পশ্চিম আকুরটাকুর পাড়ায় বাস করেন।

এর আগে শনিবার সকালে ১৭ জন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে নিয়ে জোয়াহেরুল ইসলামের বাসার তালা ভেঙে সেখানে প্রবেশ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মারইয়াম মুকাদ্দাস মিস্টি। সেখানে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীনদের জন্য আশ্রম বানানোর ঘোষণা দেন। এ বিষয়ে ‘সাবেক এমপির বাসা দখল করে পাগলের আশ্রম’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রাইজিংবিডি ডটকম। 

বিষয়টি জানাজানি হলে জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। এতে নড়চড়ে বসে প্রশাসন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে বাড়িটি দখলমুক্ত করে। সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন শরিফের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে এ অভিযান চালায়। মুচলেকা নিয়ে রাতেই মিষ্টিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এদিকে, রবিবার রাত ১১টার দিকে মানসিক ভারসাম্যহীন ১৭ জনকে ময়মনসিংহ ও গাজীপুরে সরকারি আশ্রমে পাঠানো হয়। টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক লুৎফর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানবীর আহমেদ জানিয়েছেন, মামলার পর শহরে অভিযান চালিয়ে মিস্টিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম ৫ আগস্টের পর থেকেই পলাতক। গত ৬ ফেব্রুয়ারি তার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট হয়। তারপর থেকে ওই বাড়িতে আর কোনো লোক দেখা যায়নি।

ঢাকা/কাওছার/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দুই মাস ফ্রিজে রাখার পর মামুনের মাথায় খুলি পুনঃস্থাপন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার মাথায় খুলি প্রায় দুই মাস ফ্রিজে সংরক্ষণ করার পর সফলভাবে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। 

শনিবার (১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে খুলি পুনঃস্থাপন করেন চিকিৎসকরা। 

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মামুন মিয়ার মাথায় সফলভাবে অপারেশন করা হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ আছেন।

গত ৩০ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন মামুন মিয়া।

চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশের পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ টি এম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, চবিতে সংঘর্ষের দিন গুরুতর আহত অবস্থায় মামুন মিয়াকে পার্কভিউ হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সেই থেকে তিনি এখানে চিকিৎসাধীন আছেন। অপারেশনের সময় তার মাখার খুলি খুলে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস পর সফল অপারেশনের মাধ্যমে শনিবার মামুনের মাথার খুলি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।

গত ৩০ আগস্ট তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। এতে মামুনসহ চবির অন্তত ৫০০ শিক্ষার্থী আহত হন। মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে মামুনের মাথার খুলি খুলে রেখে দেওয়া হয়েছিল।

ঢাকা/রেজাউল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ