বিএনপি নেতার হাত-পা ভেঙে দেওয়ায় দু’জনের পদ স্থগিত
Published: 10th, March 2025 GMT
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়াহরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদ্য সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বাবলু মিয়ার হাত-পা ভেঙে দেওয়ায় দুই নেতার পদ স্থগিত করা হয়েছে। তারা হলেন, একই ইউনিয়নের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য রেজা তালুকদার ও তাঁর ভাই বোরহান উদ্দিন তালুকদার।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, কালিয়া কান্দাপাড়া হাট ইজারা নিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির দুই পক্ষে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এর জেরে রোববার রাতে বোরহান তালুকদারের নেতৃত্বে লোহার রড, হকিস্টিক, রামদা দিয়ে পিটিয়ে বাবলু মিয়ার দুই হাত ও দুই পায়ের হাড় ভেঙে ফেলা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে রাতেই ঢাকায় চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
হামলার ঘটনার পর সোমবার বিকেলে ইউনিয়ন বিএনপি নেতা রেজা তালুকদার এবং তাঁর ভাই বোরহান উদ্দিন তালুকদারের প্রাথমিক সদস্য পদসহ দলীয় সকল পদ স্থগিত করা হয়েছে। জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক শেখ মো.
চিঠিতে বলা হয়, রেজা তালুকদার ও তাঁর ভাই বোরহান উদ্দিন তালুকদার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এ কারণে তাদের বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ স্থগিত করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখতে দলের নেতাকর্মীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাদের কোনো অপকর্মের দায় বিএনপি নেবে না বলেও ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রেজা তালুকদার ও তাঁর ভাই বোরহান উদ্দিন তালুকদারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তারা সাড়া দেননি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স র জগঞ জ ব এনপ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?