এবার আক্ষরিক অর্থেই তরুণ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ছাড়িয়ে গেলেন বুড়ো রোনালদো। ফুটবলে বয়স ৩০ পেরিয়ে যাওয়াকে সাধারণত ধরা হয় বুড়ো হিসেবে। এ সময় ধীরে ধীরে খেলোয়াড়দের ক্ষিপ্রতা ও তীব্রতাও কমে আসে এবং ক্যারিয়ারও শেষের দিকে বাঁক নিতে শুরু করে।

কিন্তু খেলোয়াড়টি যদি রোনালদো হন তবে ভিন্ন কথা। বুড়ো রোনালদো যে এবার তরুণ রোনালদোকেও ছাড়িয়ে গেলেন। বয়স ত্রিশ হওয়ার আগে রোনালদো করেছিলেন ৪৬৩ গোল। আর ত্রিশের পর রোনালদোর গোল সংখ্যা এখন ৪৬৪। অর্থাৎ বয়স যতই বাড়ছে রোনালদো যেন আরও ক্ষুরধার হচ্ছেন।

তারুণ্যকে ছাড়িয়ে যাওয়া গোলটি গতকাল রাতে রোনালদো করেছেন এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে। রোনালদোর গোলের রাতে ইরানি ক্লাব এস্তেগলালের বিপক্ষে আল নাসর জিতেছে ৩-০ গোলে। এর ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ গোলে জিতে (প্রথম লেগ গোল শূন্য ড্র হয়েছিল) শেষ আটে পৌঁছে গেল আল নাসর। আল নাসরের জয়ে বাকি ২ গোল জন ডুরানের।

আরও পড়ুন৯৯ দোররার ভয়, না নিরাপত্তাশঙ্কা—রোনালদো কেন ইরানে যাননি০৩ মার্চ ২০২৫

এই ম্যাচে গোল করার মধ্য দিয়ে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে রোনালদোর গোল এখন ৬ ম্যাচে ৭টি। আর সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে রোনালদোর গোল সংখ্যা এখন ৩২ ম্যাচে ২৭টি, সঙ্গে আছে ৪টি অ্যাসিস্টও (গোলে সহায়তা)। পাশাপাশি আল নাসরের হয়ে এখন ১১০ গোলে অবদান রাখলেন রোনালদো, যেখানে ১০২ ম্যাচে তিনি গোল করেছেন ৯১টি।

আল নাসরের দুই জয়ের নায়ক ডুরান ও রোনালদো.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

তৃতীয় ম্যাচেও হার, ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ বসুন্ধরা কিংসের

এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে তিন ম্যাচেই হেরে ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করেছে বসুন্ধরা কিংস। কুয়েতের জাবের আল-মুবারক আল-হামাদ স্টেডিয়ামে আজ রাতে ‘বি’ গ্রুপের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে কুয়েত স্পোর্টস ক্লাবের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন ক্লাবটি। আগের দুই ম্যাচেও হেরেছিল তারা।
আজ ম্যাচের প্রথম মিনিটেই ক্রস থেকে হেডে স্বাগতিক দলের ইউসুফ নাসের গোল করে কুয়েতে ক্লাবকে এগিয়ে দেন। বিরতির ঠিক আগে যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে পরিকল্পিত আক্রমণ থেকে তাহা ইয়াসিন খেনিসির ডান পায়ের নিখুঁত প্লেসিংয়ে করেন দ্বিতীয় গোল।

এই ম্যাচে কিংসের একাদশে ছিলেন গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো, যাঁকে এই ম্যাচে দেওয়া হয় অধিনায়কের দায়িত্বও। টুর্নামেন্টে এটাই ছিল তাঁর প্রথম ম্যাচ। মেহেদি হাসান শ্রাবণের জায়গায় গোলরক্ষক পরিবর্তন করেও ভাগ্য বদলায়নি কিংসের।
কুয়েত যাওয়ার আগে কিংসের আর্জেন্টাইন কোচ মারিও গোমেজ বলেছিলেন, ভালো কিছু করাই তাঁর দলের লক্ষ্য। নিয়মিত অধিনায়ক তপু বর্মণও স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন সমর্থকদের। কিন্তু তিন ম্যাচেই হেরে কোনো পয়েন্ট ছাড়াই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয়েছে কিংসকে।

শেষ ম্যাচের আগেও বিড়ম্বনায় পড়তে হয় কিংসকে। স্টেডিয়ামে যাওয়ার পথে দলের বাসের একটি টায়ার হঠাৎ বিস্ফোরিত হয়। সৌভাগ্যবশত খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফ সবাই সুস্থ ছিলেন, যদিও এতে স্টেডিয়ামে পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হয়।
গ্রুপ পর্বে ২৫ অক্টোবর কিংস প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ওমানের ক্লাব আল সিবের। সেই ম্যাচে পিছিয়ে পড়ার পর ২-১ গোলে এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ৩-২ ব্যবধানে হেরে যায় কিংস। দ্বিতীয় ম্যাচে লেবাননের আল-আনসারের কাছে হার ৩-০ ব্যবধানে। তিন ম্যাচে কিংস করেছে মাত্র একটি গোল, বিপরীতে হজম করেছে সাতটি।
গত বছরও এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচই হেরেছিল কিংস।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তৃতীয় ম্যাচেও হার, ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ বসুন্ধরা কিংসের