তরুণ রোনালদোকে ছাড়িয়ে গেলেন বুড়ো রোনালদো
Published: 11th, March 2025 GMT
এবার আক্ষরিক অর্থেই তরুণ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ছাড়িয়ে গেলেন বুড়ো রোনালদো। ফুটবলে বয়স ৩০ পেরিয়ে যাওয়াকে সাধারণত ধরা হয় বুড়ো হিসেবে। এ সময় ধীরে ধীরে খেলোয়াড়দের ক্ষিপ্রতা ও তীব্রতাও কমে আসে এবং ক্যারিয়ারও শেষের দিকে বাঁক নিতে শুরু করে।
কিন্তু খেলোয়াড়টি যদি রোনালদো হন তবে ভিন্ন কথা। বুড়ো রোনালদো যে এবার তরুণ রোনালদোকেও ছাড়িয়ে গেলেন। বয়স ত্রিশ হওয়ার আগে রোনালদো করেছিলেন ৪৬৩ গোল। আর ত্রিশের পর রোনালদোর গোল সংখ্যা এখন ৪৬৪। অর্থাৎ বয়স যতই বাড়ছে রোনালদো যেন আরও ক্ষুরধার হচ্ছেন।
তারুণ্যকে ছাড়িয়ে যাওয়া গোলটি গতকাল রাতে রোনালদো করেছেন এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে। রোনালদোর গোলের রাতে ইরানি ক্লাব এস্তেগলালের বিপক্ষে আল নাসর জিতেছে ৩-০ গোলে। এর ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-০ গোলে জিতে (প্রথম লেগ গোল শূন্য ড্র হয়েছিল) শেষ আটে পৌঁছে গেল আল নাসর। আল নাসরের জয়ে বাকি ২ গোল জন ডুরানের।
আরও পড়ুন৯৯ দোররার ভয়, না নিরাপত্তাশঙ্কা—রোনালদো কেন ইরানে যাননি০৩ মার্চ ২০২৫এই ম্যাচে গোল করার মধ্য দিয়ে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে রোনালদোর গোল এখন ৬ ম্যাচে ৭টি। আর সব মিলিয়ে চলতি মৌসুমে রোনালদোর গোল সংখ্যা এখন ৩২ ম্যাচে ২৭টি, সঙ্গে আছে ৪টি অ্যাসিস্টও (গোলে সহায়তা)। পাশাপাশি আল নাসরের হয়ে এখন ১১০ গোলে অবদান রাখলেন রোনালদো, যেখানে ১০২ ম্যাচে তিনি গোল করেছেন ৯১টি।
আল নাসরের দুই জয়ের নায়ক ডুরান ও রোনালদো.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যুদ্ধবিরতি নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রতিনিধি
যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য জার্মানিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বসতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রতিনিধি দল। সোমবার এই বৈঠক হবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ এবং জামাতা জ্যারেড কুশনার ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয়দের সাথে আলোচনার জন্য জার্মানি সফর করছেন।
মার্কিন শান্তি প্রস্তাব নিয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সাথে আলোচনার নেতৃত্বদানকারী উইটকফকে পাঠানোর সিদ্ধান্তটি একটি সংকেত বলে মনে হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ওয়াশিংটন অগ্রগতির সম্ভাবনা দেখছে। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, ট্রাম্প যদি মনে করেন যে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে তবেই কেবল একজন কর্মকর্তাকে আলোচনায় পাঠাবেন।
বৈঠক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জার্মান সরকারের একটি সূত্র বলেছেন, “ইউক্রেনে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা সপ্তাহান্তে বার্লিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেনের পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।”
সোমবার জার্মান চ্যান্সেলর মের্জ বার্লিনে জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতাদের একটি শীর্ষ সম্মেলনের আতিথেয়তা করছেন, যা ইউরোপ জুড়ে মিত্রদের কাছ থেকে ইউক্রেনীয় নেতার প্রতি সমর্থনের ধারাবাহিক প্রকাশ্য প্রদর্শনের সর্বশেষ ঘটনা। কারণ প্রাথমিকভাবে মস্কোর প্রধান দাবিগুলিকে সমর্থন করে এমন একটি শান্তি পরিকল্পনায় স্বাক্ষর করার জন্য কিয়েভ ওয়াশিংটনের চাপের মুখে রয়েছে।
ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মার্কিন প্রস্তাবগুলোকে পরিমার্জন করার জন্য কাজ করছে। আগের প্রস্তাবে কিয়েভকে আরো ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার, ন্যাটোতে যোগদানের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করার এবং তার সশস্ত্র বাহিনীর সীমাবদ্ধতা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল।
ঢাকা/শাহেদ