সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বয়সকে যেন কেবল একটা সংখ্যা বানিয়ে রেখেছেন। ফুটবল ক্যারিয়ারে রেকর্ড গড়ার নেশায় ৪০ ছুঁই ছুঁই বয়সেও যেন থামতে জানেন না তিনি। ত্রিশ পার হওয়ার পর যেখানে অধিকাংশ ফুটবলারের পারফরম্যান্সে ভাটা পড়ে, সেখানে রোনালদো হয়ে উঠেছেন আরও ভয়ংকর, আরও ক্ষুরধার।
গতকাল রাতে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে ইরানি ক্লাব এস্তেগলালের বিপক্ষে গোল করে নিজের ক্যারিয়ারে এক নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছেন রোনালদো। বয়স ৩০ হওয়ার আগে করেছিলেন ৪৬৩টি গোল। আর এই গোলের মাধ্যমে ত্রিশোর্ধ্ব বয়সে গোলের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৬৪। অর্থাৎ ত্রিশের পরের রোনালদো নিজেকেই ছাড়িয়ে গেছেন।
রোনালদোর গোলের রাতে আল নাসর ৩-০ গোলে হারিয়েছে এস্তেগলালকে। দুই লেগ মিলিয়ে একই ব্যবধানে জিতে শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে সৌদি ক্লাবটি। চলতি মৌসুমে ৩২ ম্যাচে রোনালদোর গোলসংখ্যা ২৭। আর আল নাসরের জার্সিতে তার ঝুলিতে এখন ১০২ ম্যাচে ৯১টি গোল।
রোনালদোর চোখ এখন ১০০০ গোলের স্বপ্নে। এই ঐতিহাসিক মাইলফলক ছুঁতে দরকার আরও ৭৩টি গোল। অনেকের কাছে এটা কঠিন মনে হতে পারে, তবে রোনালদোর মতো প্রতিভাধর ফুটবলারের কাছে অসম্ভব বলে কিছু নেই। বয়স বাড়লেও রোনালদোর ক্ষিপ্রতা, গতি ও গোলের ক্ষুধা যেন দিন দিন বেড়েই চলেছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
হাজার কোটি টাকা নিট মুনাফার মাইলফলকে সিটি ব্যাংক
২০২৪ সালে এক অনন্য মাইলফলক স্থাপন করেছে দেশীয় মালিকানাধীন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিটি ব্যাংক। গত বছর ব্যাংকটি সমন্বিতভাবে ১,০১৪ কোটি টাকা নিট মুনাফা করেছে যা এখন পর্যন্ত ব্যাংকের ৪২ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। সিটি ব্যাংক এককভাবে ১,০৮৫ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন করলেও সহযোগী দুটি প্রতিষ্ঠানের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বাজারমূল্য হ্রাস পাওয়ায় প্রভিশন ব্যয় হওয়ার কারণে ব্যাংকের সমন্বিত নিট মুনাফা ১,০১৪ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। সিটি ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২৩ সালে ব্যাংকটির সমন্বিত নিট মুনাফা ছিল ৬৩৮ কোটি টাকা। সে তুলনায় ২০২৪ সালে সমন্বিত মুনাফা বেড়েছে ৩৭৬ কোটি টাকা বা ৫৯ শতাংশ- যা সিটি ব্যাংকের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি।
মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় ২০২৪ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদন করে ব্যাংকটি। সেই সঙ্গে ঘোষণা করা হয় ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ, যার মধ্যে ১২.৫ শতাংশ নগদ এবং ১২.৫ শতাংশ বোনাস। গত বছরও একই হারে লভ্যাংশ দিয়েছিল সিটি ব্যাংক। শেয়ারধারীদের অনুমোদনের পর এই লভ্যাংশ বার্ষিক সাধারণ সভায় বিতরণ করা হবে। ঘোষিত নগদ লভ্যাংশে ব্যয় হবে প্রায় ১৭০ কোটি টাকারও বেশি। পাশাপাশি বোনাস হিসেবে প্রতি ১০০ শেয়ারের বিপরীতে ১২.৫টি নতুন শেয়ার দেওয়া হবে।
রেকর্ড মুনাফার প্রভাব পড়েছে ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয়েও। ২০২৩ সালের ৪.৭৪ টাকার তুলনায় ২০২৪ সালে ইপিএস বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৫৩ টাকায়, অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি ৫৮.৯ শতাংশ। একইভাবে শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য বেড়ে হয়েছে ৩৪.৩৯ টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ৫.৩৮ টাকা বা ২০.৪১ শতাংশ বেশি।
রেকর্ড মুনাফার কারণ জানতে চাইলে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘মানুষ আমাদের ওপর আস্থা রেখে আমানত রেখেছে। আয়-ব্যয়ের অনুপাত ৬০ শতাংশ থেকে কমে ৪২ শতাংশে নেমে এসেছে। ফলে মুনাফায় বড় উল্লম্ফন ঘটেছে। আমরা কর্মীদের বেতন বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করেছি, যা কর্মীদের উৎসাহিত করেছে। আমাদের পরিচালনা পর্ষদ সৎ ও মেধাবী। ব্যাংকে ঈর্ষণীয় পর্যায়ের সুশাসন বিদ্যমান। এসবই রেকর্ড মুনাফার পেছনের মূল কারণ।’
২০২৪ সালে ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ৩১ শতাংশ বা ১২,১৭৭ কোটি টাকা, যেখানে ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ শতাংশ বা ৪,৮৩১ কোটি টাকা। এই উদ্বৃত্ত তহবিলের বড় একটি অংশ সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা হয়েছে, যা আগের বিনিয়োগ থেকে ৬,১৫০ কোটি টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২,৪৮৮ কোটি টাকায়।