যে কারণে বুমরার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যেতে পারে
Published: 12th, March 2025 GMT
গত বছরের মার্চে পিঠের চোটে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল যশপ্রীত বুমরাকে। সেই একই জায়গায় আরেকটি চোট বুমরার ক্যারিয়ার শেষ করে দিতে পারে বলে মনে করেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক পেসার শেন বন্ড। কিউই এই পেসারের ক্যারিয়ারও শেষ হয়েছিল পিঠের চোটে।
তাই এই চোটের গতিপ্রকৃতি ভালোই জানা আছে বন্ডের। একসময় মুম্বাইয়ের বোলিং কোচ থাকার কারণে বুমরাকে কাছ থেকেও দেখেছেন বন্ড। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বুমরাকে নিয়ে বিসিসিআইকে সতর্ক করেছেন সাবেক এই গতি তারকা।
বুমরাকে সর্বশেষ মাঠে দেখা গেছে গত জানুয়ারির সিডনি টেস্টে। সেই টেস্টের দ্বিতীয় দিনে স্ক্যানের জন্য মাঠ ছাড়ার পর থেকে তিনি আর কোনো ম্যাচ খেলেননি। প্রথমে এটি ব্যাক স্প্যাজম বলে জানানো হলেও পরে নিশ্চিত হওয়া যায় যে এটি স্ট্রেস-রিলেটেড চোট।
তাতে তিনি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও খেলতে পারেননি। বর্তমানে বেঙ্গালুরুর বিসিসিআই সেন্টার অব এক্সেলেন্সে পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ার মধ্যে আছেন বুমরা। কবে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরবেন, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
ইংল্যান্ড সিরিজে আমি চাইব না বুমরা টানা দুটির বেশি ম্যাচ খেলুক। আইপিএল থেকে সরাসরি টেস্ট ম্যাচে খেলা বড় ঝুঁকির।শেন বন্ডগত বছর অস্ত্রোপচারের পর এবারই প্রথম পিঠের চোটে পড়েছেন বুমরা। সামনে একই জায়গায় যেন বুমরা আবার চোটে না পড়েন, সে কারণে তাঁর ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে বলেছেন বন্ড।
ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে বন্ড বলেছেন, ‘যখন বুমরা সিডনিতে স্ক্যানের জন্য মাঠ ছাড়ল, তখন জানানো হলো যে ওর পিঠে টান লেগেছে। আমি তখনই ভেবেছিলাম, এটি শুধুই মচকে যাওয়া নয়, বরং তার পিঠের হাড়ে কোনো গুরুতর সমস্যা হতে পারে। তখনই আমি বুঝতে পেরেছিলাম, তেমন কিছু হলে ও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে পারবে না।’
আরও পড়ুনচ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতই এখন সবচেয়ে সফল দল১০ মার্চ ২০২৫বন্ডের মতে, ফাস্ট বোলারদের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ সময় হলো যখন তাঁরা হঠাৎ টি-টোয়েন্টি থেকে টেস্ট ক্রিকেট খেলেন। বিষয়টি বুমরার ক্ষেত্রেও উদ্বেগজনক হতে পারে। কারণ, ভারত আইপিএল শেষ হওয়ার মাত্র এক মাস পর জুনে ইংল্যান্ডে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে।
শেন বন্ডের সঙ্গে বুমরা। যখন বন্ড মুম্বাইয়ের বোলিং কোচ ছিলেন।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন বন ড
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।