মাগুরায় শিশু ধর্ষণের বিচার সাত দিনের মধ্যে শুরু হতে পারে, আশা আইন উপদেষ্টার
Published: 13th, March 2025 GMT
মাগুরায় শিশু ধর্ষণের বিচার আগামী সাত দিনের মধ্যে শুরু হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, ‘সাত দিনের মধ্যে বিচার শুরুর আশা করছি। আমি বিচারের স্বাধীনতার কথা বলছি। আমি বলেছি অতীতে নজির আছে ৭-৮ দিনের মধ্যে বিচার কাজ শুরু হওয়ার। ৭-৮ দিনের মধ্যে রায় হয়েছে, অতীতে এমন নজির আছে ফলে আমরা আশাবাদী।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘অতীতে নজির আছে ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে বিচার কাজ শুরুর। সব বিচার রাষ্ট্র করতে পারে না, কিন্তু কিছু কিছু দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হয়। এখানে যে বর্বরতা, যে নির্মমতা, যে পাশবিকতা হয়েছে, এটা শুধু এই বিচার না এটা হচ্ছে যারা ভিকটিম হবে, যারা অতীতে ভিকটিম হয়েছে, তাদের সবার জন্য এটা একটা মেসেজ হবে।’
অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘এটা শুধু এই মেয়েটির বিরুদ্ধে অপরাধ না, এটা হচ্ছে আমাদের সমস্ত কালেকটিভ যে মনোজগত আছে, যে কালেকটিভ কালচার আছে, আমাদের যে একটা আত্মমর্যাদা বোধ আছে, এটার প্রতি অপরাধ। এটার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে। রাষ্ট্র এগুলো কোনোভাবেই ক্ষমা করবে না।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আইন উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্ব ইজতেমা মার্চে
প্রতিবছর জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করা হলেও এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে তা পিছিয়ে মার্চ মাসে করা হবে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ এ তথ্য জানিয়েছেন তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ বা শুরায়ী নেজামের শীর্ষ নেতা মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারি।
আরো পড়ুন:
শেষ হলো দাওয়াতে ইসলামীর ইজতেমা
দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা শুরু
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিগত বছরগুলোতে দুই পর্বে বিশ্ব ইজতেমা হলেও আগামী বছর এক পর্বে হবে। মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী বা সাদপন্থিদের ইজতেমা আয়োজনের সুযোগ থাকবে না।
মুফতি কেফায়েতুল্লাহ বলেছেন, “তাবলিগ জামাত বাংলাদেশ তাবলিগি এ মেহনতকে দ্বীনি মেহনত হিসেবে বিশ্বাস করে। দ্বীনি কাজের অংশ হিসেবে বর্তমান সরকারের অনুরোধ শ্রদ্ধার সঙ্গে গ্রহণ করে আমরা আগামী বিশ্ব ইজতেমা মার্চে আয়োজনের বিষয়ে একমত হয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, এ সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমে সরকারের প্রতি সহযোগিতার শামিল।”
বিশ্ব ইজতেমা সাদপন্থিরা আয়োজন করতে পারবেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “সরকারের কাছে তারা লিখিত দিয়ে গতবার শেষবারের মতো ইজতেমার আয়োজন করেছিল। সেক্ষেত্রে তাদের আর ইজতেমা করার সুযোগ নেই।”
বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সংবাদ সম্মেলনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তিনটি অনুরোধ তুলে ধরা হয়।
১. আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহের আগেই ইজতেমার দিন-তারিখ ঘোষণা এবং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোকে অবহিত করা।
২. ইজতেমা যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানকে অস্থায়ীভাবে কেপিআই (কি পয়েন্ট ইন্সটলেশন) ঘোষণা।
৩. ইজতেমায় আসা বিদেশি অতিথিদের সময়মতো উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ভিসা সহজীকরণ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা।
ঢাকা/রায়হান/রফিক