ব্র্যাকের ‘ব্রিজ রিটার্নশিপ’ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক যাত্রা
Published: 14th, March 2025 GMT
কর্মক্ষেত্র থেকে বিরতি নেওয়া নারীদের কাজে ফেরাতে ব্র্যাকের ‘ব্রিজ রিটার্নশিপ’ শীর্ষক কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে।
প্রায় ১১০০ আবেদনকারীর মধ্য থেকে ১৫ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে যারা ব্র্যাকের বিভিন্ন কর্মসূচিতে আগামী ছয় মাস কাজ করবেন।
এ ছাড়া, নির্বাচিত ১০০ জন প্রার্থীর জন্য দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, নেতৃত্ব উন্নয়ন কর্মশালা, মেন্টরিংসহ পেশাগত উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে। নির্বাচিত প্রার্থীদের বিভিন্ন এনজিও, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও শীর্ষস্থানীয় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করা হবে, যেন এই দক্ষ পেশাজীবী নারীরা যোগ্যতা অনুযায়ী কাঙ্খিত কাজটি খুঁজে নিতে পারেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ব্রিজ রিটার্নশিপের আনুষ্ঠানিক যাত্রা উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এ সময় ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বক্তব্য রাখেন। ব্র্যাকের পিপল, কালচার অ্যান্ড কমিউনিকেশনস-এর ঊর্ধ্বতন পরিচালক মৌটুসী কবীর অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এবং উপস্থিত গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
আসিফ সালেহ বলেন, “নারীদের মধ্যে রয়েছে নেতৃত্বের অসাধারণ গুণাবলি। ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ জোর দিয়ে বলেছেন, সত্যিকারের নেতৃত্ব গড়ে ওঠে সহমর্মিতা, দৃঢ়তা এবং অন্যদের এগিয়ে নেওয়ার সক্ষমতার ওপর, যা নারীদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যমান। তা স্বত্ত্বেও নেতৃস্থানীয় পদে নারীদের দেখা যায় না। এই ব্যবধান কমাতে হলে আমাদের মধ্যম পর্যায় থেকে শুরু করে শীর্ষ পর্যায় পর্যন্ত নারীদের নিয়োগ দিতে হবে। তাদের পেশায় ধরে রাখতে হবে এবং পেশাগতভাবে তাদের এগিয়ে যাওয়াকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আবেদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নারীদের কর্মজীবন থেকে বিরতি নেওয়া এবং পুনরায় কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আবেদনকারীদের এক-চতুর্থাংশ (২৫.
অন্যদিকে, রিটার্নশিপ প্রোগ্রামে যোগদানের ক্ষেত্রে তাদের মূল অনুপ্রেরণা ছিল ক্যারিয়ারে উন্নতি (৩৪.৫ শতাংশ), আর্থিক স্বাধীনতা (৩২ শতাংশ), আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি (২২.৭ শতাংশ) এবং পরিবারের জন্য অবদান রাখা (১০.৮ শতাংশ)।
ঢাকা/হাসান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিএসএফের গুলিতে নিহত যুবকের লাশ হস্তান্তর
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তের ওপারে বিএসএফের গুলিতে নিহত শান্ত (২০) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের লাশ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার জামালপুর সীমান্ত পিলার ১৫২/৭ এস মেইন পিলারের নিকট কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতের নিউ উদয় ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা লাশ হস্তান্তর করেন।
শান্ত উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের শিপন আলীর ছেলে।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৫ ডিসেম্বর রাতে শান্ত ১০-১২ জন সহযোগী নিয়ে জামালপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতের প্রায় ৫০০ গজ অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এ সময় ভারতের নিউ উদয় বিএসএফ ক্যাম্পের টহল সদস্যরা গুলি ছুঁড়লে শান্ত গুলিবিদ্ধ হন। পালিয়ে যান সঙ্গে থাকা সদস্যরা। আহতাবস্থায় শান্তকে উদ্ধার করে নিজ ক্যাম্পে নিয়ে যায় বিএসএফ। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে দুই দফা পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে শনিবার বিকেলে তার লাশ হস্তান্তর করা হয়।
বিজিবি-৪৭ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক (এডি) মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘শনিবার সন্ধ্যায় বিএসএফের পক্ষ থেকে শান্তর লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’’
ঢাকা/কাঞ্চন/রাজীব