যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা। এখানে ভৈরব নদের ওপর রয়েছে দড়াটানা সেতু। সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে সামনে তাকালে দেখা যায়, কচুরিপানায় ভরা যেন সরু খাল বয়ে গেছে। দৃষ্টিসীমার মধ্যে পড়ে আরও দুটি সেতু। সেতুর দুই দিকে প্লাবনভূমি দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে অসংখ্য স্থাপনা। এসব স্থাপনার বর্জ্য পড়ে স্রোত ও প্রাণহীন ভৈরব নদে। নদের পানি কুচকুচে কালো আর দুর্গন্ধময়।

হিন্দু দেবতা শিব রুদ্রমূর্তি ধারণ করলে তাঁকে ভৈরব বলে ডাকা হয়। তবে ভৈরবের এখন আর রুদ্রমূর্তি নেই। দখল–দূষণ আর অপরিকল্পিত সেতুর কারণে মৃতপ্রায় ভৈরব কোনোরকমে বয়ে চলেছে।

যশোরের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে কপোতাক্ষ, ভৈরব, হরিহর, কোদলা, ইছামতী, হাকর, বেতনা বা বেত্রবতী অথবা বেত্রাবতী, মুক্তেশ্বরী, কাজলা, চিত্রা, শ্রী, টেকা, হরি, ভদ্রা ও আতাই নদ–নদী। ভয়াবহ দখল, দূষণ ও অপরিকল্পিত নির্মিত সেতুতে এখন নদ-নদীগুলো অস্তিত্বসংকটে।

মৃতপ্রায় এসব নদ-নদীকে বাঁচাতে নানা সময়ে খননসহ নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। কিন্তু সেসব খুব একটা কাজে আসেনি, উল্টো পরিকল্পনায় সমন্বয়হীনতায় নদ-নদীর ওপর তৈরি করা হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য সেতু। আরও সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব সেতুর অপরিকল্পিত দৈর্ঘ্য সংকুচিত করেছে নদ-নদীকে।

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে উদ্যোগ নেই
দখলের কারণে কয়েকটি নদী ভরাট হয়েছে, নাব্যতা হারিয়েছে। পাশাপাশি নদ-নদী ব্যাপকভাবে দূষণের শিকার। দূষণে নদীর পানি ও নদীনির্ভর প্রাণবৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে। দখল ও দূষণে কয়েকটি নদী মৃতপ্রায়। ২০২০ সালের ৩০ জুলাই ওয়েবসাইটে যশোর জেলার নদ-নদীর অবৈধ দখলদারদের আংশিক তালিকাটি প্রকাশ করে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। এই তালিকায় জেলার ৬৭৩ জন দখলদারের নাম ছিল। ২০২২ সালে সংস্থাটির ওয়েবসাইট থেকে স্থাপনার তালিকা সরিয়ে নেওয়া হয়। নদী রক্ষায় তালিকা অনুযায়ী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোনো কার্যকর উদ্যোগও নেওয়া হয়নি।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনে তালিকায় যশোর সদর উপজেলায় ভৈরব দখল করে নির্মাণ করা রয়েছে দলীয় কার্যালয়, বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র (ক্লিনিক), মার্কেট, পুকুর, বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বিজিবি ক্যাম্প ও বাসাবাড়ি। যশোর শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা সেতু থেকে কাঠের পুল পর্যন্ত ভৈরব নদের ৮০০ মিটারের দুই তীরে অন্তত ২০টি বহুতল ভবনসহ ৫০ জনের বেশি প্রভাবশালী দখলদার রয়েছেন। নদের প্লাবনভূমিতে এসব স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। নদের এই অংশের সীমানা নির্ধারণ এবং অবৈধ দখলদারদের তালিকা তৈরি করেনি জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। অথচ নদের ওই অংশ বাদ রেখে অবৈধ দখলদারদের তালিকা তৈরি করে পশ্চিমাংশের ৮৪টি স্থাপনা ও পূর্বাংশের সাড়ে ৩ কিলোমিটারে ৫৯টি অবৈধ স্থাপনা চিহ্নিত করা হয়। পরে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। পানি আইনে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। নদের তীরে গড়ে ওঠা এসব স্থাপনার মেডিকেল বর্জ্য ও ভবনের শৌচাগারের মানববর্জ্য সরাসরি পাইপলাইনের মাধ্যমে ভৈরব নদে ফেলা হচ্ছে। এতে নদের পানি কালো কুচকুচে হয়ে পড়েছে। পানিও দুর্গন্ধযুক্ত।

মৃতপ্রায় এসব নদ-নদীকে বাঁচাতে নানা সময়ে খননসহ নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। কিন্তু সেসব খুব একটা কাজে আসেনি, উল্টো পরিকল্পনায় সমন্বয়হীনতায় নদ-নদীর ওপর তৈরি করা হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য সেতু। আরও সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব সেতুর অপরিকল্পিত দৈর্ঘ্য সংকুচিত করেছে নদ-নদীকে।

বাঘারপাড়া উপজেলায় চিত্রা নদী দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে দলীয় কার্যালয়, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভ, পুকুর, বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ি। আংশিক তালিকায় এই নদীর ওপর ৪১টি অবৈধ দখলদার রয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু পরে নদীর অবৈধ দখলদারদের যে পূর্ণাঙ্গ তালিকা জেলা প্রশাসকের দপ্তরে পাঠানো হয়, তাতে ১২৬ জন দখলদারের নাম উল্লেখ করা হয়।

আংশিক তালিকায় মনিরামপুর উপজেলার হরিহর, মুক্তেশ্বরী, শ্রী ও হরি নদ–নদী দখল করেছেন ১৬২ জন; ঝিকরগাছা উপজেলায় কপোতাক্ষ নদের দুই পাশ দখল করে বহুতল ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন ৩০ জন; চৌগাছা উপজেলায় কপোতাক্ষ নদ দখল করেছেন ৮০ জন এবং শার্শা উপজেলার বেতনা নদী ও হাকর নদ দখল করেছেন ২২৪ জন। আর অভয়নগর উপজেলায় ভৈরব নদ দখলের তালিকায় ৪৯ জনের নাম রয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) হিসাব অনুযায়ী, যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ভৈরব নদের তীরে অবৈধ স্থাপনা ছিল ৮৫টি। এর মধ্যে যশোর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং বিআইডব্লিউটিএর সহযোগিতায় ২০২৪ সালের মে মাসে দুই ধাপে ৫০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। অবশিষ্ট ৩৬টি স্থাপনা পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এর পর থেকে উচ্ছেদ অভিযান কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ থাকায় নদের জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বাড়ছে। থেমে নেই দূষণ। দুটি ট্যানারি ও বিভিন্ন কারখানার অপরিশোধিত রাসায়নিক বর্জ্য ভৈরব নদের পানি দূষিত করছে।

খননে প্রবাহ ফেরেনি ভৈরবে
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার মুরটি গ্রামে পদ্মার শাখা জলঙ্গিতে ভৈরবের জন্ম। এরপর ভৈরব মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা, ঝিনাইদহ জেলার কোর্টচাঁদপুর, যশোর জেলার তাহেরপুর, আফ্রা ও অভয়নগর এবং খুলনা জেলার ফুলতলা, দিঘলিয়া ও দৌলতপুর হয়ে খুলনা নগরীর কাস্টম ঘাট এলাকায় ভৈরব রূপসা নদীতে গিয়ে মিশেছে। চৌগাছার তাহেরপুর কপোতাক্ষের উৎসমুখ থেকে খুলনার রূপসা-ভৈরবের মিলনস্থল পর্যন্ত ভৈরবের মোট দৈর্ঘ্য ১৩৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে রূপসা-ভৈরবের সঙ্গমস্থল থেকে যশোরের বসুন্দিয়া পর্যন্ত ভৈরবের ৪১ কিলোমিটার প্রবহমান। আর বসুন্দিয়া থেকে সদর উপজেলার রূপদিয়া পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার ক্ষীণধারা প্রবহমান। সেখান থেকে চৌগাছা উপজেলার তাহেরপুরের কপোতাক্ষের উৎসমুখ পর্যন্ত ৭১ কিলোমিটার প্রবাহহীন। ২৭৯ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে যশোরের চৌগাছা উপজেলার তাহেরপুর থেকে সদর উপজেলার বসুন্দিয়া পর্যন্ত ৯২ কিলোমিটার নদ পুনঃখনন হয়েছে। এ ছাড়া বসুন্দিয়া থেকে আফ্রা ঘাট পর্যন্ত চার কিলোমিটার নদ ড্রেজিং করা হয়েছে, কিন্তু প্রবাহ ফেরেনি ভৈরবের।

খনন চলছে কপোতাক্ষের

কপোতাক্ষে প্রাণ ফেরাতে ২০১১ সালে নদ খননের প্রকল্প হাতে নেয় পাউবো। ২৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্প (প্রথম পর্যায়)’ শেষ হয় ২০১৭ সালে। যদিও খুব একটা সুফল পাওয়া যায়নি তখন।
২০২০ সালে দ্বিতীয় পর্যায়ে খননকাজ শুরু করে পাউবো। এতে ব্যয় হচ্ছে ৫৩১ কোটি টাকা। দুই প্রকল্পে ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ৮১৭ কোটি টাকা। নতুন প্রকল্পের কাজ ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা। এখন পর্যন্ত ৭৯ কিলোমিটারের মধ্যে ৬৭ কিলোমিটার খনন করা হয়েছে।

শুকিয়ে গেছে টেকা নদী। দখল হয়ে গেছে নদীর জায়গা। গত বুধবার যশোরের অভয়নগর উপজেলার চোমরডাঙ্গা এলাকায়.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র ম ণ কর র উপজ ল র দখলদ র র নদ র প ন প রকল প নদ নদ ক উপজ ল য় কর ছ ন য় ভ রব ত য় নদ ভ রব র বর জ য র অপর

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়: ডাকসু

সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগের সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে বিএনপি ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায় বলে দাবি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)।

রবিবার (২ নভেম্বর) ডাকসুর ভিপি মো. আবু সাদিক, জিএস এসএম ফরহাদ ও এজিএস মুহা: মহিউদ্দিন খান স্বাক্ষরিত ‘রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কাৃরের বিরোধিতা এবং ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো অক্ষুণ্ন রাখার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে ডাকসুর প্রতিবাদ' শীর্ষক এক প্রতিবাদলিপিতে এ কথা বলা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

ঢাবি শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করতে ২ কমিটি

ঢাবিতে সপ্তাহব্যাপী শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু

প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার এক সম্মিলিত বিপ্লব। কেবল সরকার পরিবর্তন নয় বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ, স্বাধীন ও শক্তিশালী সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান গঠন, প্রশাসনিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এবং একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল এই বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোন প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না।

কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করলেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে যা সরাসরি ছাত্র–জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহা-হিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়।

যে বৈষম্যমূলক চাকরি ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করেই জুলাই বিপ্লবের সূচনা হয়েছিল সেই কাঠামো পরিবর্তনের বিরুদ্ধাচরণ করে বিএনপি নতুন প্রজন্মের ন্যায্য দাবি অস্বীকার করছে। পাশাপাশি জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কমিশনের বিরোধিতা, অনুচ্ছেদ–৭০ সংস্কারে আপত্তি, প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান আলাদা দুজন ব্যক্তির মতো আধুনিক গণতান্ত্রিক প্রস্তাবে বিরোধিতা, আইন পেশায় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের প্রতিবন্ধকতা, স্বতন্ত্র ফৌজদারি তদন্ত সার্ভিস গঠনে তাদের আপত্তি রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার এবং তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নির্মাণের পথে বড় বাঁধার সৃষ্টি করছে। এভাবে বিএনপি মূলত জুলাই বিপ্লবের চেতনাকে অস্বীকার করে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করছে।

প্রতিবাদলিপিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, এই সংস্কারগুলো ব্যক্তি বা দলীয় স্বার্থ নয় বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার এবং আধুনিক, গণতান্ত্রিক ও শক্তিশালী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান তৈরির লক্ষ্যেই প্রস্তাবিত হয়েছে। জুলাই বিপ্লব পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ গঠনের নৈতিক দায়িত্ব ছাত্র ও সর্বস্তরের জনগণের। তাই সংস্কারের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জনগণ থেকে নিতে হবে। আর গণভোটই জনগণের ম্যান্ডেট নিশ্চিতের উপযুক্ত মাধ্যম। গণভোটের মাধ্যমেই জনগণ ঠিক করবে দেশের স্বার্থে কোন কোন সংস্কার প্রস্তাবনাগুলোকে তারা সমর্থন দিবে।

কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব যদি রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তবে ছাত্র-জনতা  সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে জানিয়ে প্রতিবাদলিপিতে আরো বলা হয়, জুলাই বিপ্লব শুধু শাসক বা সরকার পরিবর্তনের আন্দোলন নয় বরং জুলাই বিপ্লব হলো ফ্যাসিবাদী কাঠামো বিলোপ করে ন্যায্যতা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে নতুন রাষ্ট্র বিনির্মাণ।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএনপি ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়: ডাকসু
  • ট্রাম্প কি সত্যি ইসরায়েলি দখলদারি বন্ধ করতে চান
  • ভূমি দখলদার চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন