জাতীয় ফুটবল দলের সবকিছু দেখার কমিটি আছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে। জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান স্বয়ং বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল। এই কমিটিতে আছেন সিনিয়র সহসভাপতি ইমরুল হাসানসহ সাবেক ফুটবলাররাও। সব আলোচনার ভিত্তিতেই জাতীয় ফুটবল দলকে সৌদি আরবে ক্যাম্প করতে পাঠিয়েছে বাফুফে। কিন্তু এই ক্যাম্পে দলের সার্থকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে খোদ বাফুফের অভ্যন্তরেই। 

প্রশ্ন ওঠার বড় কারণ, লাখ লাখ টাকা খরচ করে সৌদি আরবে গিয়ে কোনো শক্তিশালী দেশের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে না পারায়। এত অর্থ ব্যয় করে সৌদি ক্যাম্প করার চেয়ে ঢাকায় অনুশীলন করলে আরও লাভ হতো বলে মনে করেন অনেকে। ওই অর্থ দিয়ে ঢাকায় কোনো দেশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে ভারত ম্যাচের প্রস্তুতি নেওয়া যেত বলে বিশ্বাস ফুটবল-সংশ্লিষ্টদের।

২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের জন্য গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্প শুরু করেন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। ঢাকায় কয়েক দিন অনুশীলনের পর ৫ মার্চ সৌদি আরবে চলে যায় দল। সেখানে যাওয়ার পর সুদানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়নি। তায়েফের আল ওয়েদাতের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে। অথচ ভারত আসল লড়াইয়ের আগে ১৯ মার্চ এই শিলংয়ে মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচ খেলছে। আর বাংলাদেশের প্রস্তুতি বলতে সৌদি ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচ। 

ম্যাচ না খেলে সৌদি আরবে এভাবে ক্যাম্প করাটা ভালোভাবে নেননি অনেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাফুফের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গতকাল সমকালের কাছে নিজের অসন্তোষ এভাবে প্রকাশ করেন, ‘আমার ব্যক্তিগত মতামত এর পর থেকে সৌদি আরবে তখনই দল পাঠাব, যদি বড় কোনো দেশের সঙ্গে ম্যাচ খেলার নিশ্চয়তা পাই। অন্যথায় বাংলাদেশে অনুশীলন করিয়ে বিভিন্ন দেশকে এখানে এনে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলানোর পক্ষে আমি। যে টাকা খরচ করে সৌদি আরবে দল পাঠাব, সেই অর্থ দিয়ে দেশের মাটিতে কোনো দলকে এনে খেলালে আমাদের লাভ হতো। এই বিষয়টি আমি ভবিষ্যতে বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভাতে বলব। সামনে যে দলের সঙ্গেই খেলা, তার আগে ঢাকায় কোনো দলকে এনে ম্যাচ খেলাব।’ কোচ ক্যাবরেরার পরিকল্পনা নিয়েও প্রশ্ন এই কর্তার।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

পৌরসভা নির্বাচনে ভোট কেনার অভিযোগে ব্রাজিল ফুটবলপ্রধানের অফিস ও বাসায় তল্লাশি

ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলের শহর রোরাইমায় ভোটে অনিয়ম তদন্তে বুধবার ‘অপারেশন কাইজা প্রেতা’ (ব্ল্যাক বক্স) শুরু করেছে দেশটির পুলিশ। ইএসপিএন ব্রাজিল জানিয়েছে, এই তদন্তে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) সভাপতি সামির সাউদ অন্যতম সন্দেহভাজন।

২০২৪ সালে রোরাইমা পৌরসভা নির্বাচনে ভোট ক্রয়ের অভিযোগের তদন্তে নেমেছে ব্রাজিলের পুলিশ। সেখানকার ফেডারেল ডেপুটি হেলেনা লিমা এই তদন্তের কেন্দ্রবিন্দু, যা শুরু হয় গত বছর। তাঁর স্বামী ও ব্যবসায়ী রেইনালদো লিমা রোরাইমায় পৌরসভা নির্বাচনের আগে ৫ লাখ ব্রাজিলিয়ান রিয়ালসহ গ্রেপ্তার হন। সাউদ হেলেনা লিমার সহযোগী এবং তাঁরা একই রাজনৈতিক (এমডিবি) দলের সদস্য।

আরও পড়ুনরোনালদোর যে ‘খিদে কখনো কমে না’২ ঘণ্টা আগে

সামির সাউদ, হেলেনা লিমা, রেইনালদো লিমা ও রোরাইমার যোগাযোগ অবকাঠামোর (ডিএনআইটি) সুপারিনটেনডেন্ট ইগো ব্রাসিল ছাড়াও আরও ৬ জন পুলিশের এই অভিযানের লক্ষ্যবস্তু। সিবিএফ সদর দপ্তর ছাড়াও সাউদের বাসায়ও অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ।

সিবিএফ নিশ্চিত করেছে, ‘সকাল ৬টা ২৪ মিনিট থেকে ৬টা ৫২ মিনিটের মধ্যে সদর দপ্তরে পুলিশ এসেছে এবং এই অভিযান রোরাইমা নির্বাচনী আদালতের নির্দেশে শুরু হওয়া তদন্তের অংশ।’ সিবিএফ এটাও নিশ্চিত করেছে, ‘এই অভিযানের সঙ্গে সিবিএফ ও ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের কোনো সম্পর্ক নেই।’ পাশাপাশি ‘সভাপতি সামির সাউদ তদন্তের কেন্দ্রবিন্দু নন’—এই কথাও জানানো হয়েছে সিবিএফের পক্ষ থেকে।

সিবিএফ সদরদপ্তরেও অভিযান চালায় ব্রাজিলের পুলিশ

সম্পর্কিত নিবন্ধ