ম্যাচ ছাড়া সৌদি ক্যাম্পে বাফুফেতে অসন্তোষ!
Published: 15th, March 2025 GMT
জাতীয় ফুটবল দলের সবকিছু দেখার কমিটি আছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে। জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান স্বয়ং বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল। এই কমিটিতে আছেন সিনিয়র সহসভাপতি ইমরুল হাসানসহ সাবেক ফুটবলাররাও। সব আলোচনার ভিত্তিতেই জাতীয় ফুটবল দলকে সৌদি আরবে ক্যাম্প করতে পাঠিয়েছে বাফুফে। কিন্তু এই ক্যাম্পে দলের সার্থকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে খোদ বাফুফের অভ্যন্তরেই।
প্রশ্ন ওঠার বড় কারণ, লাখ লাখ টাকা খরচ করে সৌদি আরবে গিয়ে কোনো শক্তিশালী দেশের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে না পারায়। এত অর্থ ব্যয় করে সৌদি ক্যাম্প করার চেয়ে ঢাকায় অনুশীলন করলে আরও লাভ হতো বলে মনে করেন অনেকে। ওই অর্থ দিয়ে ঢাকায় কোনো দেশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে ভারত ম্যাচের প্রস্তুতি নেওয়া যেত বলে বিশ্বাস ফুটবল-সংশ্লিষ্টদের।
২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের জন্য গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ক্যাম্প শুরু করেন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। ঢাকায় কয়েক দিন অনুশীলনের পর ৫ মার্চ সৌদি আরবে চলে যায় দল। সেখানে যাওয়ার পর সুদানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়নি। তায়েফের আল ওয়েদাতের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে। অথচ ভারত আসল লড়াইয়ের আগে ১৯ মার্চ এই শিলংয়ে মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচ খেলছে। আর বাংলাদেশের প্রস্তুতি বলতে সৌদি ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচ।
ম্যাচ না খেলে সৌদি আরবে এভাবে ক্যাম্প করাটা ভালোভাবে নেননি অনেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাফুফের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গতকাল সমকালের কাছে নিজের অসন্তোষ এভাবে প্রকাশ করেন, ‘আমার ব্যক্তিগত মতামত এর পর থেকে সৌদি আরবে তখনই দল পাঠাব, যদি বড় কোনো দেশের সঙ্গে ম্যাচ খেলার নিশ্চয়তা পাই। অন্যথায় বাংলাদেশে অনুশীলন করিয়ে বিভিন্ন দেশকে এখানে এনে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলানোর পক্ষে আমি। যে টাকা খরচ করে সৌদি আরবে দল পাঠাব, সেই অর্থ দিয়ে দেশের মাটিতে কোনো দলকে এনে খেলালে আমাদের লাভ হতো। এই বিষয়টি আমি ভবিষ্যতে বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভাতে বলব। সামনে যে দলের সঙ্গেই খেলা, তার আগে ঢাকায় কোনো দলকে এনে ম্যাচ খেলাব।’ কোচ ক্যাবরেরার পরিকল্পনা নিয়েও প্রশ্ন এই কর্তার।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
‘মহাভারত’ হতে পারে আমির খানের শেষ সিনেমা
বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ খ্যাত আমির খান হয়তো এবার বিদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প ‘মহাভারত’-ই হতে পারে তাঁর অভিনয় জীবনের শেষ সিনেমা।
সম্প্রতি ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আমির বলেন, “মহাভারত আমার স্বপ্নের প্রজেক্ট। আমি মনে করি, এটা এমন এক কাজ, যা একবার করলে মনে হবে জীবনে আর কিছুই বাকি নেই। এতটাই আবেগঘন, বিস্তৃত আর মহিমান্বিত এই কাহিনি। এই মহাকাব্যে যা কিছু রয়েছে, তা জীবনেও আছে।”
৫৯ বছর বয়সী এই অভিনেতা আরও বলেন, ‘মহাভারতের মতো জটিল ও গভীর প্রকল্পের পর হয়তো মনে হবে নতুন করে আর কিছু বলার নেই। নিশ্চিত না, তবে এমনটাই মনে হচ্ছে।’
তবে এখানেই থেমে যেতে চান না তিনি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাজ করে যেতে চান বলেও জানিয়েছেন আমির খান। তাঁর কথায়, “আমি চাই, আমার মৃত্যু হোক পায়ে জুতো পরে।” অর্থাৎ কাজ করতে করতেই চলে যেতে চান তিনি।
আমির এখন ব্যস্ত ‘সিতারে জামিন পার’ সিনেমার প্রচারণা নিয়ে। এই সিনেমাটির মাধ্যমেই ‘লাল সিং চাড্ডা’র পর আবারও বড় পর্দায় ফিরছেন তিনি।
‘সিতারে জামিন পার’ মূলত ২০০৭ সালের বহুল প্রশংসিত ‘তারে জামিন পার’-এর সিকুয়েল। এই ছবিতেও আমির কেবল অভিনয়ই করেননি, বরং প্রযোজনার দায়িত্বও নিয়েছেন।
এবারের সিনেমায় তাঁর বিপরীতে অভিনয় করছেন জেনেলিয়া ডি সুজা। ছবিতে রয়েছে আরও চমক। একসঙ্গে ১০ নতুন মুখকে বড় পর্দায় হাজির করছেন আমির খান। তাঁরা হলেন:
আরৌশ দত্ত, গোপী কৃষ্ণ ভার্মা, সাম্বিত দেশাই, বেদান্ত শর্মা, আয়ুষ বানসালি, আশীষ পেন্ডসে, ঋষি সাহানি, ঋষভ জৈন, নমন মিশ্র এবং সিমরান মঙ্গেশকর।
তাছাড়া এই ছবিতে আরও রয়েছেন দারশিল সাফারি, সোনালি কুলকার্নি, ব্রিজেন্দ্র কালা এবং সুরেশ মেননের মতো অভিজ্ঞ অভিনেতারা।
‘সিতারে জামিন পার’ সিনেমাটি মুক্তি পাবে ২০ জুন। এখন দেখার অপেক্ষা, এই ছবি দিয়ে আমির খান আবার কতটা দর্শকের হৃদয় জয় করতে পারেন। আর তার পরেই শুরু হতে পারে সেই বহু প্রতীক্ষিত ‘মহাভারত’-এর যাত্রা।