কাপেলোর সমালোচনার জবাবে ‘আলিঙ্গনের’ কথা বললেন গার্দিওলা
Published: 15th, March 2025 GMT
কদিন আগে পেপ গার্দিওলার একটু সমালোচনা করেছিলেন সাবেক ইংল্যান্ড কোচ ফাবিও কাপেলো। গার্দিওলার ঔদ্ধত্য উল্লেখ করে ইতালিয়ান কোচ বলেছিলেন, গার্দিওলা ফুটবলের অনেক ক্ষতি করেছেন।
মূলত গার্দিওলার কৌশল অনুসরণ করতে গিয়ে ইতালিয়ান ফুটবল কীভাবে তার স্বকীয়তা হারিয়েছে, সে প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে কথাটি বলেছিলেন কাপেলো। কাপেলোর সেই সমালোচনার জবাবে এবার মুখ খুলেছেন গার্দিওলা। তবে পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে সাবেক গুরু কাপেলোকে তোপ দাগেননি গার্দিওলা। বরং আলিঙ্গনে জড়ানোর কথাই বলেছেন তিনি।
ব্রাইটন ম্যাচ সামনে রেখে সংবাদ সম্মেলনে কাপেলোর মন্তব্য নিয়ে জানতে চাইলে গার্দিওলা বলেন, ‘মানুষ আমার সম্পর্কে যা বলে, আমি সব শুনি। তাই খুব সাবধান। এমন না যে জনাব ফাবিও এবারই প্রথম এমন কথা বলেছেন। ইতালিয়ান ফুটবল নষ্ট করার জন্য আমি যথেষ্ট ভালো নই, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। ফাবিওর জন্য একবুক ভালোবাসা।’
আরও পড়ুন‘গার্দিওলা ফুটবলের অনেক ক্ষতি করেছেন’১০ মার্চ ২০২৫গার্দিওলার সিটি নিজেদের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে সময় পার করছে। প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা ধরে রাখার সম্ভাবনাও শেষ হয়ে গেছে। বিদায় হয়ে গেছে লিগ কাপ থেকেও। চ্যাম্পিয়নস লিগেও বিদায় নিতে হয়েছে শেষ ষোলোর আগে।
সদ্য শেষ হওয়া চ্যাম্পিয়নস লিগের লড়াই দর্শক হিসেবে দেখতে কষ্ট লেগেছে কি না, জানতে চাইলে গার্দিওলা বলেন, ‘না, কষ্ট লাগেনি। আমার কোনো হতাশা নেই। সেখানে থাকা আমাদের প্রাপ্য ছিল না। আমি একজন দর্শক হিসেবে শিখেছি এবং উপভোগ করেছি। লিভারপুল ও আতলেতিকোর মতো অবিশ্বাস্য দলও বিদায় নিয়েছে।’
ইতালির সাবেক কোচ ফাবিও ক্যাপেলো।.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
শুধু ঘোষণা নয়, বাস্তবে প্রতিফলিত হোক
রাজধানী শহরসহ দেশের বড় শহরগুলোয় শব্দদূষণের অসহনীয় মাত্রার বিষয়টি কারও অজানা নয়। এটি এখন শুধু শব্দদূষণ নয়, শব্দসন্ত্রাস বলেও অভিহিত হচ্ছে। অতীতে ও বর্তমানে সরকারগুলো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও কার্যকর হচ্ছে না। অতীতের ধারাবাহিকতায় রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতনকে ‘নীরব এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সিদ্ধান্তটি নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। এখন এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করাই হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ।
শহরের শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নীরব এলাকা ঘোষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি অবশ্যই সরকারের সদিচ্ছার প্রকাশ। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই ঘোষণা বাস্তবে কার্যকর হবে, নাকি এটিও অতীতের মতো কেবল কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ থাকবে? এর আগে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং এর আশপাশের এলাকাকে নীরব এলাকা ঘোষণা করা হয়েছিল, কিন্তু তার ফল তেমন একটা ভালো পাওয়া
যায়নি। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঘোষণার পর কিছু এলাকায় শব্দ কিছুটা কমলেও সার্বিকভাবে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। এই অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায়, শুধু ঘোষণা যথেষ্ট নয়, বরং এর কঠোর বাস্তবায়ন অপরিহার্য।
শব্দদূষণের ক্ষেত্রে আগের তুলনায় সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলতেই হয়। যার কারণে সাউন্ডবক্স বা মাইক বাজানোর বিষয়গুলো তুলনামূলকভাবে কমে এসেছে। তবে গাড়ির হর্ন এতটা বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি করছে, যা অকল্পনীয়। এটিই এখন রাজধানীসহ বড় শহরগুলোর শব্দদূষণের সবচেয়ে বড় আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, অতিরিক্ত শব্দ হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এটিতে শ্রবণশক্তি হ্রাস পায়, মেজাজ খিটখিটে হয়, মানুষ অনিদ্রায় ভোগে এবং শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় বিঘ্ন ঘটায়। তাই শুধু অভিজাত এলাকা নয়, পুরো শহরে ধাপে ধাপে কীভাবে নীরব এলাকা ঘোষণা করা যায়, সেই লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে এগোতে হবে।
তবে এ উদ্যোগ সফল করতে হলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে কঠোর হতে হবে। হর্ন বাজানোর বিরুদ্ধে আইন আছে। তা যদি আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে প্রয়োগ না করা হয়, এ ঘোষণা কখনোই সফল হবে না। কেবল প্রশাসনের ওপর নির্ভর না করে নীরব এলাকা–ঘোষিত এলাকাগুলোর বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, যেমন মসজিদ, মন্দির এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকেও এখানে গণসচেতনতার কাজে যুক্ত করতে হবে।
গাড়ির হর্ন বাজানো সীমিত করতে পরিবহনের বিভিন্ন ধরনের সমিতি–সংগঠনগুলোর যুক্ততাও এখানে গুরুত্বপূর্ণ। গাড়ির চালকদের অভ্যাসগত পরিবর্তনের জন্য শব্দদূষণের ক্ষতিকর দিকটি নিয়মিতভাবে তাঁদের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। হাইড্রোলিক হর্নসহ উচ্চমাত্রার যেকোনো হর্ন উৎপাদন, আমদানি ও ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে। এ ব্যাপারে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।