ধূমকেতু-বাংলাবান্ধা ট্রেন সংঘর্ষের কারণ তদন্তে কমিটি
Published: 16th, March 2025 GMT
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় আন্তঃনগর ধূমকেতু এক্সপ্রেস ও বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের তিন সদস্যের এই কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট আব্দুল আওয়াল তদন্ত কমিটির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন, বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা হাসিনা খাতুন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আশিষ কুমার ও বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মন্ডল।
এর আগে শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে স্টেশনের ওয়াশপিট লাইনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ওয়াশপিটের সামনে সকালে ঢাকা থেকে আসা ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি পরিষ্কারের জন্য যাচ্ছিল, আর রাজশাহী থেকে পঞ্চগড়গামী বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ওয়াশপিট থেকে বের হচ্ছিল। এ সময় ট্রেন দুটি আড়াআড়ি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
আরো পড়ুন:
নড়াইলে দু’ গ্রুপে সংঘর্ষে যুবক নিহত
পাওনা টাকা নিয়ে ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৪
সংঘর্ষে ট্রেনের দুটি বগি লাইনচ্যুত হলেও ট্রেনগুলো ফাঁকা থাকায় হতাহত হয়নি। বিকল্প লাইন থাকায় রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটেনি।
দুর্ঘটনার পর ঈশ্বরদী থেকে রিলিফ ট্রেন এসে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লাইনচ্যুত বগি উদ্ধার করে। তবে মেরামতজনিত কারণে ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি ডাউন শিফটে রেখে বনলতা এক্সপ্রেসের রেক ব্যবহার করে পদ্মা এক্সপ্রেস চালানো হয়। ফলে পদ্মা এক্সপ্রেসের যাত্রীরা শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে দুর্ভোগে পড়েন। পরে রাতেই এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
ঢাকা/কেয়া/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ স ঘর ষ র লওয় র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
মানুষের ‘দ্বিতীয় ঘুম’এর যুগ সম্পর্কে কতটা জানেন
তেলের বাতি, গ্যাসের বাতি এবং বৈদ্যুতিক বাতি ক্রমে সভ্যতায় যোগ হয়েছে। এর আগে মানুষ প্রাকৃতিক আলোর সঙ্গে মানিয়ে জীবন যাপন করতো। প্রাক-শিল্প যুগের সমাজে ‘দ্বিতীয় ঘুম’-এর অভ্যাস ছিলো মানুষের।
দ্বিতীয় ঘুম বলতে ঐতিহাসিকভাবে প্রচলিত এমন এক ধরনের ঘুমের ধরণকে বোঝায়, যেখানে মানুষ রাতে একটানা আট ঘণ্টা না ঘুমিয়ে ঘুমকে দুটি ভাগে ভাগ করে নিত। একে দ্বি-পর্যায়ের ঘুম বা খণ্ডিত ঘুম বলা হয়। দেখা যেত যে— সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পর মানুষজন বিছানায় যেত এবং প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত।
আরো পড়ুন:
রক্তস্বল্পতা দূর করতে এই শাক খেতে পারেন
টানা ৬ মাস রাতের খাবার দেরিতে খেলে যা হয়
প্রথম ঘুমের পর তারা প্রায় এক ঘণ্টা জেগে থাকত। এই সময়ে বাড়ির হালকা কাজ করা, প্রার্থনা করা, পড়াশোনা করা, প্রতিবেশীদের সাথে গল্প করা বা অন্তরঙ্গ কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার মতো কাজগুলো করতো।
তারা আবার বিছানায় ফিরে যেত এবং ভোরের আলো ফোটা পর্যন্ত আরও ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত, যাকে ‘দ্বিতীয় ঘুম’ বা ‘ভোরের ঘুম’ বলা হত।
গত দুই শতাব্দী ধরে সামাজিক জীবনে আসা পরিবর্তনের কারণে মানুষের দ্বিতীয় ঘুমের অদৃশ্য হয়ে গেছে। যেসব কারণে মানুষ দ্বিতীয় ঘুমের অভ্যাস হারিয়ে ফেলেছে, তার একটি হলো ‘কৃত্রিম আলো ব্যবহার।’
১৭০০ এবং ১৮০০ এর দশকে, প্রথমে তেলের বাতি, তারপর গ্যাসের আলো এবং অবশেষে বৈদ্যুতিক আলো রাতকে আরও ব্যবহারযোগ্য করে তুলেছে। ফলে রাতও মানুষের কাছে জাগ্রত সময়ে পরিণত হতে শুরু করে।
সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পরে ঘুমাতে যাওয়ার পরিবর্তে, মানুষ প্রদীপের আলোতে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেগে থাকতে শুরু করে। জৈবিকভাবে, রাতে উজ্জ্বল আলো আমাদের অভ্যন্তরীণ ঘড়িগুলোকে (আমাদের সার্কাডিয়ান ছন্দ) পরিবর্তন করে এবং কয়েক ঘণ্টা ঘুমের পরে আমাদের শরীরকে জাগ্রত করার প্রবণতা কমিয়ে দেয়।
ঘুমানোর আগে সাধারণ ‘ঘরের’ আলো মেলাটোনিনকে দমন করে এবং বিলম্বিত করে। শিল্প বিপ্লব কেবল মানুষের কাজ করার পদ্ধতিই নয় বরং তারা কীভাবে ঘুমায় তাও বদলে দিয়েছে।
২০১৭ সালে বিদ্যুৎবিহীন মাদাগাস্কান কৃষি সম্প্রদায়ের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে লোকেরা এখনও বেশিরভাগ সময় দুই ভাগে ঘুমায়, প্রায় মধ্যরাতে ঘুম থেকে ওঠে।
সূত্র: ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি