ফ্যাশনের ‘বিগ ফোর’ বলা হয় প্যারিস, লন্ডন, নিউইয়র্ক ও মিলান শহরকে। তাদের ফ্যাশন উইকগুলো নিয়ে তাই পৃথিবীজোড়া মানুষের বাড়তি আগ্রহ থাকে। এই চারের বাইরেও একটা নতুন নাম গত বছর থেকে উচ্চারিত হচ্ছে, সেটা ‘মস্কো’।
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে ২০২৪ সাল থেকে নিয়মিত আয়োজিত হচ্ছে ‘মস্কো ফ্যাশন উইক’। চলতি বছর এই আয়োজনের তৃতীয় পর্ব শুরু হয়েছে ১৩ মার্চ। ছয় দিনের এই ফ্যাশন আয়োজন শেষ হবে ১৮ মার্চ।
মস্কোর এই ফ্যাশন শোতে রাশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল বা শহর থেকে আগত ডিজাইনার ও ফ্যাশন ব্র্যান্ড অংশ নিচ্ছে।
রাশিয়া ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, স্পেন, ভারত, আর্মেনিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন, ইথিওপিয়া, তুরস্ক ও তাজিকিস্তানের মতো দেশের ডিজাইনাররা তাঁদের সংগ্রহ নিয়ে হাজির হয়েছেন। রাশিয়ার কালচারাল ফাউন্ডেশন অব ফ্যাশন অ্যান্ড ডিজাইন ডেভেলপমেন্টের (ফ্যাশন ফান্ড) আয়োজনে ‘মস্কো ফ্যাশন উইক’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী ভবন মানেজের সেন্ট্রাল এক্সিবিশন হলে।

১৪ মার্চ মোট ছয়টি ফ্যাশন কিউতে ছয়জন ডিজাইনার তাঁদের সংগ্রহ তুলে ধরেন। এই ছয়ের মধ্যে রাশিয়ান ব্র্যান্ড জোটেনি, কিসিলিঙ্কো, এরমিলভ ও পিরসেভ ছাড়াও চীন ও ইন্দোনেশিয়ার দুজন ডিজাইনারের সংগ্রহ দেখানো হয়।

মোট ছয়টি ফ্যাশন কিউতে ছয়জন ডিজাইনার তাঁদের সংগ্রহ তুলে ধরেন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ড জ ইন র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ