শুধু নারী উদ্যোক্তাদের পণ্য প্রসারে ব্র্যাক ব্যাংকের আয়োজনে গুলশানের আলোকি কনভেনশন সেন্টারে শুরু হয়েছে ‘তারা’ উদ্যোক্তা মেলা। নারী উদ্যোক্তাদের তৈরি দেশীয় পণ্যের প্রদর্শন এবং তাদের পণ্যের বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ব্যাংকটি। ব্র্যাক ব্যাংকের উইমেন ব্যাংকিং সলিউশন ‘তারা’র নামে মেলার নমাকরণ করা হয়েছে। 
গতকাল ঢাকার গুলশান-তেজগাঁও লিংক রোডে আলোকি কনভেনশন সেন্টারে প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার  উদ্বোধন করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারপারসন মেহেরিয়ার এম হাসান এবং এমডি অ্যান্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৮৫ নারী উদ্যোক্তা তাদের তৈরি দেশীয় পণ্য নিয়ে মেলায় অংশ নিয়েছেন। ব্র্যাক ব্যাংক এবার তৃতীয়বারের মতো এ মেলার আয়োজন করেছে, যেখানে উদ্যোক্তারা কোনো ধরনের খরচ ছাড়াই নিজস্ব স্টল দিয়েছেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক নওশাদ মোস্তফা, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের এমডি অ্যান্ড  সিইও ফারজানা চৌধুরী এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের ডিএমডি ফারজানা খান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের ডিএমডি অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন। 
প্রদর্শনী সম্পর্কে ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি অ্যান্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক সবসময় নারী উদ্যোক্তাদের তাদের পূর্ণ সম্ভাবনার বিকাশে সহায়তা করে থাকে। এ মেলার মাধ্যমে উদ্যোক্তারা দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে থাকা দেশীয় পণ্যের প্রচার ও প্রসারের সুযোগ পাচ্ছেন। নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও তাদের পণ্যের প্রসারে ব্র্যাক ব্যাংক দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এরকম আরও অনেক মেলার আয়োজন করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। 
মেলায় উদ্যোক্তারা বুটিক, হাতে সেলাই করা পোশাক, হাতে তৈরি কারুশিল্প, মাটি ও পাটের তৈরি পণ্য, প্রক্রিয়াজাত চামড়াপণ্য, জামদানি ও মসলিনের পোশাক, খাদ্যপণ্য, অর্গানিক স্কিনকেয়ার আইটেম এবং বাঁশ ও বেতের তৈরি পণ্যসহ স্থানীয়ভাবে তৈরি বিভিন্ন ধরনের পণ্যের সমাহার নিয়ে হাজির হয়েছেন। এ ছাড়া আগতদের জন্য রয়েছে বায়োস্কোপ, ইফতার ও ডিনার ফুডকোর্ট, হাওয়াই মিঠাই, বিনামূল্যে মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শকেন্দ্র ও চেকআপ এবং ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর কন্সালটেন্সিসহ অন্যান্য স্টল।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিদায়ী সপ্তাহে পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেন বেড়েছে

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (৭ থেকে ১১ ডিসেম্বর) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে লেদেনের পরিমান বেড়েছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে বাজার মূলধন বাড়লেও সিএসইতে কমেছে।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৭.২৬ পয়েন্ট বা ১.৫৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৬৩ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১১.৬৬ পয়েন্ট বা ০.৬২ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৯০৩ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯.৬৯ পয়েন্ট বা ০.৯৫ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৩৪ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ৫৫.০১ পয়েন্ট বা ৬.৬৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮৩.৮ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৮ কোটি ২২ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৭৬২ কোটি ২ লাখ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৬০৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৮৮ কোটি টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৫৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৩৩টির, দর কমেছে ৩৬টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির। তবে লেনদেন হয়নি ২২টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৪.৫৫ পয়েন্ট বা ০.৯০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৭১ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ১.০৭ শতাংশ বেড়ে ১২ হাজার৩০৭ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.৯১ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ১.২৩ শতাংশ বেড়ে ৮৭৫ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ০.১৭ শতাংশ কমে ১ হাজার ৬২৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯২ হাজার ৬০৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯৫ হাজার ৫২৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৯১৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৬৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১১ কোটি ৩ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ২৮৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬২টির, দর কমেছে ৯৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

ঢাকা/এনটি/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিদায়ী সপ্তাহে পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেন বেড়েছে
  • একদিকে বইয়ের তাক, অন্যদিকে টাকার গাছ, জমে উঠেছে এসএমই মেলা