রূপকথাকে সত্যতা দিয়ে আজ (১৭ মার্চ, ২০২৫) বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেছেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। এরআগে বহুবার বাংলাদেশে আসলেও এবার তিনি এসেছেন দেশের ফুটবলের প্রতিনিধিত্ব করতে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা এবং এফ এ কাপ জয়ী এই ফুটবলারের বাংলাদেশে এবারের পদার্পনটা তাই বিস্বয় জাগানিয়াই বটে। দেশে নেমে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন হামজা। সেখানে তিনি ইংরেজির পাশাপাশি সিলেটের আঞ্চলিক টানে বাংলা বুলিও ফোটান।
বেলা ১১টা ৫২ মিনিটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন হামজা। আনুষ্ঠানিকতা সারার পর গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হন তিনি। প্রথমে ইংরেজিতে তিনি বলেন, “এমন অসাধারণ দৃশ্য দেখে আমি মুগ্ধ। দারুণ লাগছে। আশা করি আমরা দুটি ম্যাচই জিতব এবং খুব দ্রুতই আমরা উন্নতি (ফুটবলে) করব।”
তারপর সাংবাদিকেরা এই ১৭ বছর বয়সী ডিফেন্সিভ ফুটবলারের মুখে বাংলা শুনতে চান। হামজা সিলেটি টানেই জবাব দিলেন, “ইনশাআল্লাহ আমরা উইন খরমু। আমার বিগ ড্রিম আছে। আমি কোচ হাভিয়েরের লগে মাতিসি (কথা বলা)। আর ইনশাআল্লাহ আমরা উইন খরিয়া প্রগ্রেস খরতাম ফারমু।”
আরো পড়ুন:
বিদ্রোহী ১৮ জনকে বাদ দিয়ে নারী ফুটবল দল ঘোষণা
টানাপোড়ন শেষে বিদ্রোহের অবসান
গতরাতে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশীপের সিটি ডার্বিতে জয় পেয়েছে হামজা। শেফিল্ড ইউনাইটেড ১-০ গোলে হারিয়েছে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী শেফিল্ড ওয়েডনেসডেকে। এরপর ম্যানচেস্টার থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটা ফ্লাইটে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা করেন তিনি।
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
‘মহাভারত’ হতে পারে আমির খানের শেষ সিনেমা
বলিউডের ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’ খ্যাত আমির খান হয়তো এবার বিদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প ‘মহাভারত’-ই হতে পারে তাঁর অভিনয় জীবনের শেষ সিনেমা।
সম্প্রতি ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আমির বলেন, “মহাভারত আমার স্বপ্নের প্রজেক্ট। আমি মনে করি, এটা এমন এক কাজ, যা একবার করলে মনে হবে জীবনে আর কিছুই বাকি নেই। এতটাই আবেগঘন, বিস্তৃত আর মহিমান্বিত এই কাহিনি। এই মহাকাব্যে যা কিছু রয়েছে, তা জীবনেও আছে।”
৫৯ বছর বয়সী এই অভিনেতা আরও বলেন, ‘মহাভারতের মতো জটিল ও গভীর প্রকল্পের পর হয়তো মনে হবে নতুন করে আর কিছু বলার নেই। নিশ্চিত না, তবে এমনটাই মনে হচ্ছে।’
তবে এখানেই থেমে যেতে চান না তিনি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাজ করে যেতে চান বলেও জানিয়েছেন আমির খান। তাঁর কথায়, “আমি চাই, আমার মৃত্যু হোক পায়ে জুতো পরে।” অর্থাৎ কাজ করতে করতেই চলে যেতে চান তিনি।
আমির এখন ব্যস্ত ‘সিতারে জামিন পার’ সিনেমার প্রচারণা নিয়ে। এই সিনেমাটির মাধ্যমেই ‘লাল সিং চাড্ডা’র পর আবারও বড় পর্দায় ফিরছেন তিনি।
‘সিতারে জামিন পার’ মূলত ২০০৭ সালের বহুল প্রশংসিত ‘তারে জামিন পার’-এর সিকুয়েল। এই ছবিতেও আমির কেবল অভিনয়ই করেননি, বরং প্রযোজনার দায়িত্বও নিয়েছেন।
এবারের সিনেমায় তাঁর বিপরীতে অভিনয় করছেন জেনেলিয়া ডি সুজা। ছবিতে রয়েছে আরও চমক। একসঙ্গে ১০ নতুন মুখকে বড় পর্দায় হাজির করছেন আমির খান। তাঁরা হলেন:
আরৌশ দত্ত, গোপী কৃষ্ণ ভার্মা, সাম্বিত দেশাই, বেদান্ত শর্মা, আয়ুষ বানসালি, আশীষ পেন্ডসে, ঋষি সাহানি, ঋষভ জৈন, নমন মিশ্র এবং সিমরান মঙ্গেশকর।
তাছাড়া এই ছবিতে আরও রয়েছেন দারশিল সাফারি, সোনালি কুলকার্নি, ব্রিজেন্দ্র কালা এবং সুরেশ মেননের মতো অভিজ্ঞ অভিনেতারা।
‘সিতারে জামিন পার’ সিনেমাটি মুক্তি পাবে ২০ জুন। এখন দেখার অপেক্ষা, এই ছবি দিয়ে আমির খান আবার কতটা দর্শকের হৃদয় জয় করতে পারেন। আর তার পরেই শুরু হতে পারে সেই বহু প্রতীক্ষিত ‘মহাভারত’-এর যাত্রা।