শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে ম্যাচ খেলেই রোববার রাতে বাংলাদেশের বিমান ধরেন হামজা চৌধুরী। আজ দুপুরে সিলেটে সপরিবারে পা রাখার পর তাঁকে বরণ করে নেয় ফুটবলপ্রেমীরা। সেখান থেকে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলায় নিজ বাড়ি স্বানঘাটের চৌধুরী বাড়িতে যান হামজা।

হামজাদের বাড়িতেও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই তারকাকে দেখতে সোমবার স্বানঘাটে মানুষের ঢল নামে। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আরেক দফা কথা বলেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। একপর্যায়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে হামজা জানান তিনি বাংলাদেশের হয়ে ৮ নম্বর জার্সি পরে খেলতে চান। শেফিল্ডে ২৪ নম্বর জার্সি পরে খেলেন হামজা। গত জানুয়ারিতে ধারে এই ক্লাবে যোগ দেওয়ার আগে লেস্টার সিটিতে ২০ ও ৩৮ নম্বর জার্সি পরে খেলেছেন।

আরও পড়ুনসাকিব ‘মেগাস্টার’, আমি ওই পর্যায়ে যাইনি: বললেন হামজা৪৩ মিনিট আগে

বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে এই ৮ নম্বর জার্সি পরে খেলছেন চন্দন রায়। তার আগে ৮ নম্বর পরে খেলেছেন মামুনুল ইসলাম, এনামুল হক ও সাদ উদ্দিন।

২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। যে ম্যাচ দিয়ে লাল সবুজের জার্সিতে অভিষেক হবে হামজার। তার আগে মঙ্গলবার রাতে সিলেট থেকে ঢাকায় ফেরার কথা তাঁর।

বিমানবন্দর থেকে হবিগঞ্জে নিজ বাড়িতে যান হামজা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যুদ্ধবিরতি নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রতিনিধি

যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য জার্মানিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বসতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রতিনিধি দল। সোমবার এই বৈঠক হবে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত স্টিভ উইটকফ এবং জামাতা জ্যারেড কুশনার ইউক্রেনীয় ও ইউরোপীয়দের সাথে আলোচনার জন্য জার্মানি সফর করছেন।

মার্কিন শান্তি প্রস্তাব নিয়ে ইউক্রেন ও রাশিয়ার সাথে আলোচনার নেতৃত্বদানকারী উইটকফকে পাঠানোর সিদ্ধান্তটি একটি সংকেত বলে মনে হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, ওয়াশিংটন অগ্রগতির সম্ভাবনা দেখছে। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, ট্রাম্প যদি মনে করেন যে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে তবেই কেবল একজন কর্মকর্তাকে আলোচনায় পাঠাবেন।

 বৈঠক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জার্মান সরকারের একটি সূত্র বলেছেন, “ইউক্রেনে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা সপ্তাহান্তে বার্লিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউক্রেনের পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।”

সোমবার জার্মান চ্যান্সেলর মের্জ বার্লিনে জেলেনস্কি এবং ইউরোপীয় নেতাদের একটি শীর্ষ সম্মেলনের আতিথেয়তা করছেন, যা ইউরোপ জুড়ে মিত্রদের কাছ থেকে ইউক্রেনীয় নেতার প্রতি সমর্থনের ধারাবাহিক প্রকাশ্য প্রদর্শনের সর্বশেষ ঘটনা। কারণ প্রাথমিকভাবে মস্কোর প্রধান দাবিগুলিকে সমর্থন করে এমন একটি শান্তি পরিকল্পনায় স্বাক্ষর করার জন্য কিয়েভ ওয়াশিংটনের চাপের মুখে রয়েছে।

ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মার্কিন প্রস্তাবগুলোকে পরিমার্জন করার জন্য কাজ করছে। আগের প্রস্তাবে কিয়েভকে আরো ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার, ন্যাটোতে যোগদানের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করার এবং তার সশস্ত্র বাহিনীর সীমাবদ্ধতা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ