বাংলাদেশের হয়ে কত নম্বর জার্সি পরে খেলবেন হামজা
Published: 17th, March 2025 GMT
শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে ম্যাচ খেলেই রোববার রাতে বাংলাদেশের বিমান ধরেন হামজা চৌধুরী। আজ দুপুরে সিলেটে সপরিবারে পা রাখার পর তাঁকে বরণ করে নেয় ফুটবলপ্রেমীরা। সেখান থেকে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলায় নিজ বাড়ি স্বানঘাটের চৌধুরী বাড়িতে যান হামজা।
হামজাদের বাড়িতেও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই তারকাকে দেখতে সোমবার স্বানঘাটে মানুষের ঢল নামে। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আরেক দফা কথা বলেন এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। একপর্যায়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে হামজা জানান তিনি বাংলাদেশের হয়ে ৮ নম্বর জার্সি পরে খেলতে চান। শেফিল্ডে ২৪ নম্বর জার্সি পরে খেলেন হামজা। গত জানুয়ারিতে ধারে এই ক্লাবে যোগ দেওয়ার আগে লেস্টার সিটিতে ২০ ও ৩৮ নম্বর জার্সি পরে খেলেছেন।
আরও পড়ুনসাকিব ‘মেগাস্টার’, আমি ওই পর্যায়ে যাইনি: বললেন হামজা৪৩ মিনিট আগেবর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলে এই ৮ নম্বর জার্সি পরে খেলছেন চন্দন রায়। তার আগে ৮ নম্বর পরে খেলেছেন মামুনুল ইসলাম, এনামুল হক ও সাদ উদ্দিন।
২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। যে ম্যাচ দিয়ে লাল সবুজের জার্সিতে অভিষেক হবে হামজার। তার আগে মঙ্গলবার রাতে সিলেট থেকে ঢাকায় ফেরার কথা তাঁর।
বিমানবন্দর থেকে হবিগঞ্জে নিজ বাড়িতে যান হামজা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নায়িকা হতে আসিনি, তবে...
গুটি, সুড়ঙ্গ, মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন থেকে ওমর—সব সিনেমা-সিরিজেই প্রশংসিত হয়েছে আইমন শিমলার অভিনয়। অল্প সময়ের উপস্থিতিতেও নিজের ছাপ রাখতে পেরেছেন এই তরুণ অভিনেত্রী। ধূসর চরিত্রেও তিনি সাবলীল, অন্য তরুণ অভিনেত্রীদের থেকে এখানেই আলাদা শিমলা। তবে একটা কিন্তু আছে। এখন পর্যন্ত তাঁর অভিনীত আলোচিত চরিত্রগুলোর সবই চাটগাঁইয়া। শিমলা নিজে চট্টগ্রামের মেয়ে, একটা সময় পর্যন্ত বন্দরনগরীর বাইরে চেনাজানা ছিল সীমিত। এক সিরিজে তাঁর চাটগাঁইয়া ভাষা আলোচিত হওয়ায় পরপর আরও কাজে তাঁকে চাটগাঁইয়া চরিত্রের জন্য ভেবেছেন নির্মাতা।
এ প্রসঙ্গ দিয়েই অভিনেত্রীর সঙ্গে আলাপের শুরু করা গেল। শিমলা জানালেন, এ নিয়ে তাঁর নিজেরও অস্বস্তি আছে। চেষ্টা করছেন ‘চাটগাঁইয়া দুনিয়া’র বাইরে যেতে। সঙ্গে এ–ও জানিয়ে রাখলেন, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাঁর নিজের চরিত্র পছন্দ করে নেওয়ার সুযোগ কমই ছিল।
‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শুটিংয়ের ঠিক আগে জেনেছি চরিত্রটি সম্পর্কে। তখন তো কিছু করার থাকে না। তবে যেসব কাজ করেছি, সবই আলোচিত পরিচালক আর অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে; এ অভিজ্ঞতার মূল্যও কম নয়। শিহাব (শিহাব শাহীন) ভাইয়ের সঙ্গে মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, কাছের মানুষ দূরে থুইয়া, রবিউল আলম রবি ভাইয়ের সঙ্গে ফরগেট মি নট আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। এ ছাড়া (শহীদুজ্জামান) সেলিম ভাইয়ের কথা বিশেষভাবে বলব। সুড়ঙ্গ ও ওমর—দুই সিনেমায় তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন,’ বলছিলেন তিনি।
ঈদে মুক্তি পাওয়া এম রাহিমের সিনেমা জংলিতেও আছেন শিমলা। এ ছবিতে অবশ্য তাঁর চরিত্রটি চাটগাঁইয়া ভাষায় কথা বলে না। সে জন্য সিনেমাটি নিয়ে তিনি বেশি উচ্ছ্বসিত। ‘মুক্তির পর থেকে সিনেমা তো বটেই, আমার অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে প্রশংসা পাচ্ছি কিন্তু দুঃখের কথা, আমি নিজেই এখনো দেখতে পারিনি। ব্যক্তিগত ঝামেলা, শুটিংয়ে ব্যস্ততার কারণে সম্ভব হয়নি। শিগগিরই আমার টিমের সঙ্গে দেখতে চাই,’ বলছিলেন তিনি।
আইমন শিমলা