নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে অপহৃত ৭ বছর বয়সী মাদ্রাসাছাত্র মো. রাইয়ানকে উদ্ধার করেছে টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশ। একইসঙ্গে শিশুকে অপহরণকারী আল-আমিনকে (২০) আটক করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে টাঙ্গাইল রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান চালায় পুলিশ। এদিন রেলওয়ে পুলিশের মুখপাত্র পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
পুলিশ জানায়, গত ১৫ মার্চ দুপুরে অপহরণকারী মাদ্রাসা পড়ুয়া শিশু রাইয়ানকে ভালো থাকা-খাওয়ার লোভ দেখিয়ে মাদ্রাসা থেকে ফুসলিয়ে টঙ্গী এলাকায় নিয়ে এসে আটক করে রাখে। পর শিশুটির পরিবারের মোবাইলে ইমুতে ছেলের আটকাবস্থায় ছবি পাঠিয়ে ৫ লাখ টাকার মুক্তিপণ দাবি করেন। দর কষাকষির একপর্যায়ে বিকাশের মাধ্যমে তিন কিস্তিতে ৪০ হাজার টাকা অপহরণকারীকে মুক্তিপণ দেয়। তারপরও শিশুটিকে ছেড়ে না দিয়ে ট্রেনে টাঙ্গাইল রেলওয়ে স্টেশনে নিয়ে যায়। সেখানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ট্রেনে ও স্টেশনে জোরপূর্বক ভিক্ষাবৃত্তিতে বাধ্য করার পরিকল্পনা করে। অবশেষে সোমবার শিশুটিকে উদ্ধারসহ অপহরণকারীকে আটক করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী রাইয়ান চেঙ্গাকান্দি দারুল কোরআন মাদ্রাসার মক্তব (শিশু শ্রেণি) শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। ভুক্তভোগীকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। এছাড়া আটক অপহরণকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কৌশলগত নেতৃত্ব বিকাশে জোর সেনাপ্রধানের
কৌশলগত নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে জাতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেছেন, এই নেতৃত্বই দেশকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে তিন সপ্তাহব্যাপী স্ট্র্যাটেজিক লিডারশিপ প্রশিক্ষণ ক্যাপস্টোন কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সেনাপ্রধান ক্যাপস্টোন ফেলোদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন।
এই কোর্সে জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, সিনিয়র চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, কূটনীতিক, সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ সর্বমোট ৪৫ জন ফেলো অংশগ্রহণ করেন।
সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জাতি গঠনের সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৌশলগত নেতৃত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি দেশের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও কার্যকর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার জন্য গতিশীল ও সংস্কারমুখী নেতৃত্বের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।
দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আলোকপাত করে সেনাপ্রধান বলেন, বিদ্যমান পরিবর্তনশীল ভূরাজনীতি, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও নতুন জাতীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ক্যাপস্টোন কোর্স কৌশলগত অন্তর্দৃষ্টি, সহযোগিতা ও জ্ঞানভিত্তিক নেতৃত্ব গড়ে তুলতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এনডিসি কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক বলেন, ‘ক্যাপস্টোন কোর্স জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বস্তুনিষ্ঠ সংলাপ ও একীভূত চিন্তাধারার বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। এতে অংশগ্রহণকারীদের সক্রিয়, চিন্তাশীল ও সশ্রদ্ধ অংশগ্রহণ তাদের কৌশলগত ও মননশীল চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটিয়েছে এবং বিভিন্ন সংস্থার নেতৃবৃন্দের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ের মেলবন্ধন তৈরি করতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।’
ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ক্যাপস্টোন কোর্স ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ পরিচালিত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কোর্স। এই কোর্সের লক্ষ্য কৌশলগত সচেতনতা বৃদ্ধি, সূক্ষ্ম চিন্তাভাবনার বিকাশ, আন্তসংস্থার সহযোগিতা বৃদ্ধি করা এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থার নেতৃত্ব পর্যায়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও উন্নয়নবিষয়ক সমন্বিত ধারণা গড়ে তোলা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সশস্ত্র বাহিনী ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, এনডিসির ফ্যাকাল্টি ও স্টাফ অফিসার এবং জাতীয় পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।