বাংলাদেশির জন্য ওমরাহ ভিসা বন্ধ হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি জানান, সৌদি কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রীরা নির্ধারিত নিয়মে ভিসার আবেদন করতে পারবেন।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ওমরাহ ভিসা নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছে। ঢাকার সৌদি দূতাবাস  স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, ভিসা বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত তারা নেয়নি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশি হজ ও ওমরাহ এজেন্সিগুলোকে সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। সৌদি ওমরাহ এজেন্টরা যদি তাদের দেশের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ করে, তাহলে ওমরাহ ভিসা ইস্যুর প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে।
তিনি পরামর্শ দেন, ওমরাহ যাত্রীদের হোটেল বুকিং, বিমান টিকিট এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ যথাযথ নিয়ম অনুসারে সম্পন্ন করতে হবে, যাতে কোনো সমস্যা না হয়।

ওমরাহ পালনে ইচ্ছুক যাত্রীদের জন্য বিমান সংস্থাগুলোর নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, যারা টিকিট কেটে ওমরাহ করতে যেতে পারেননি, তারা নিয়ম অনুযায়ী টাকা ফেরত পাবেন। এ ছাড়া সৌদি এয়ারলাইন্স জানিয়েছে, যারা রমজানে যেতে পারেননি, তাদের ঈদুল ফিতরের পর এবং আগামী জুলাইয়ে ওমরাহ পালনের সুযোগ দেওয়া হবে।

‘সংখ্যালঘু নির্যাতন বিদেশিরা যেভাবে বলছেন, সেই মাত্রায় নেই’

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা থাকলেও বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা বিদেশিরা যেভাবে বলছেন, সেই মাত্রায় নেই। কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা তো আছেই। তার পরও আমরা অত্যন্ত সজাগ রয়েছি। কিছু মাজারেও হামলার ঘটনা ঘটছে, ভাঙচুর হচ্ছে। এ নিয়ে আমরা অত্যন্ত সিরিয়াস।

তিনি বলেন, আমরা যদি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে অপরাধী শনাক্ত করতে পারি, তাহলে তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করব। এক প্রশ্নের জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো সংগঠন যাতে তৎপরতা চালাতে না পারে, এ বিষয়ে সরকার সজাগ রয়েছে।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হজ ওমর হ ওমর হ ভ স

এছাড়াও পড়ুন:

ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের

ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে। 

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে  বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ