লোহার দণ্ড ভেবে ভাঙারি দোকানে অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে রাখা ছিল একটি মর্টার শেল। জিনিস সরাতে গিয়ে হঠাৎ দোকানদারের নজরে পড়ে ব্যতিক্রম দণ্ডটি। বোমা বলে সন্দেহ হলে মুহূর্তেই তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে পুলিশকে বিষয়টি জানান।

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মর্টার শেলটি শনাক্ত ও উদ্ধার করেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের একরামপুর এলাকার ‘টুটুল এন্টারপ্রাইজ’ নামের ভাঙারির একটি দোকানে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে মালিক টুটুল মিয়া দোকানের ভেতরে প্রথমে মর্টার শেলটি দেখতে পান। অস্বাভাবিক বস্তুটি দেখতে পেয়ে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মর্টার শেলটি শনাক্ত করে এবং এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা চায়। সেনাবাহিনীর দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আনুমানিক রাত সোয়া ১টার দিকে মর্টার শেলটি বালতির ভেতর বালু চাপা দিয়ে নিরাপদে সংরক্ষণ করে।

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) টুটুল উদ্দিন আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে ভাঙারি দোকানটি তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। টাঙ্গাইল থেকে সেনাবাহিনীর বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট আসছে। তাঁদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মর্টার শেলটি ধ্বংস বা এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার শপথ ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধাদের

বিজয়ের মাস ঢাকায় এক হলেন একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধারা; তাঁরা শপথ নিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার।

আজ শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেরিলা যোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। দিনভর এই আয়োজন করে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী সমন্বয় কমিটি।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন করে অংশ নিয়েছিলেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। কয়েক হাজার গেরিলা যোদ্ধার এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারার যুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আলোচিত ঘটনা।

স্বাধীনতার পর এই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। দেড় যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিল, তাতে এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

শহীদ মিনারে মিলনমেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি এই গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন তিনি।

ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মিলনমেলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ