জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পার্শ্ববর্তী এলাকার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদের উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। দেশব্যাপী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে একদিনের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে পরিচালিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লাল-সবুজ উন্নয়ন সংঘের উদ্যোগে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদের নতুন জামা উপহার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড.

মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান। 

আসন্ন ঈদ উপলক্ষে দেশজুড়ে বিভিন্নস্থানে এ কর্মসূচি পালন করার কথা জানিয়েছেন সংগঠনটির সদস্যরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ও সংগঠনের উপদেষ্টামন্ডলীসহ অতিথিদের উপস্থিতিতে সুবিধাবঞ্চিত পথ শিশুদের হাতে ঈদের নতুন জামা উপহার দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

জুলাই অভ্যুত্থানে ‘হামলায় জড়িত’ জাবির ২৯৮ শিক্ষক-শিক্ষার্থী সাসপেন্ড

ক্যাম্পাসে সাংবাদিকরা সবচেয়ে বেশি ট্যাগিংয়ের শিকার হয়: জাবি উপাচার্য

লাল-সবুজ উন্নয়ন সংঘের ঢাকা জেলা শাখার সভাপতি এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী জিয়া উদ্দিন আয়ান বলেন, “লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘ সংগঠনটির সকল সদস্য স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী। তারা নিজেদের একদিনের টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে শিশুদের মুখে হাঁসি ফুটাতে ঈদের এ নতুন জামা উপহার দিচ্ছেন। আগামী সাতদিনে ধারাবাহিক এই কার্যক্রমের মাধ্যমে ১ হাজার সুবিধাবঞ্চিত শিশুকে ঈদের নতুন জামা উপহার দেবেন তারা।”

লাল-সবুজ উন্নয়ন সংঘের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাওসার আলম সোহেল জানান, গত ১৪ বছর ধরে টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পাঠদান, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও ঈদের নতুন পোশাক উপহার বিতরণ করে আসছেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো শিক্ষার্থী বা সংগঠন মানবতার কল্যাণে যে উদ্যোগই গ্রহক করুক, আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবসময়ই পাশে থাকার চেষ্টা করি। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লাল-সবুজ উন্নয়ন সংঘ এদিক দিয়ে এগিয়ে আছে। আশা করি, সংঘের কাজগুলো দেশব্যাপী দ্রুতই ছড়িয়ে পড়বে।”

সমাপনী বক্তব্যে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান বলেন, “সবার যদি ইচ্ছা থাকে, তাহলে সমাজের কল্যাণে অনেক ভালো কাজ করা সম্ভব। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে সব সমস্যা হয়তো আমরা দূরীকরণ করতে পারব না। তবে আমাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে চেষ্টা করতে হবে। সেই জায়গা থেকে লালসবুজ উন্নয়ন সংঘ নানাবিধ চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবং অন্যান্য সামাজিক সংগঠন গুলোও সকল ভালো কাজে এগিয়ে আসবে, সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে বলে আশা করছি।”

এ সময় আরও বক্তব্য দেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আব্দুর রব, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক শামসুল আলম, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আমির হোসেন ভূইয়া, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক নাসরীন সুলতানা ও সহযোগী অধ্যাপক তমালিকা সুলতানা।

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নত ন জ ম উপ চ র য স গঠন উপহ র

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় দফা দাবিতে ‘আমরা ভোলাবাসী’র আন্দোলন ‘সরকারি আশ্বাসে’ স্থগিত

ভোলায় গ্যাস ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবিতে চলমান ছয় দফা আন্দোলন স্থগিত করেছে ‘আমরা ভোলাবাসী’। সরকারি আশ্বাসের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন নেতারা।

সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও আমরা ভোলাবাসীর জ্যেষ্ঠ নির্বাহী সদস্য রাইসুল আলম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. এনামুল হক, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মোতাসিন বিল্লাহ, ভোলা জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী, ভোলা আলিয়া মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মোবাশ্বিরুল হক নাঈম, ইসলামী আন্দোলনের ভোলা উত্তর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম, ভোলা সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. কামাল হোসেন ও আমরা ভোলাবাসীর সদস্যসচিব মীর মোশাররফ হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ভোলার গ্যাস স্থানীয়ভাবে ব্যবহারের দাবিসহ ছয় দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে। সরকারের সঙ্গে একাধিক বৈঠকের মাধ্যমে দাবি আদায়ে অগ্রগতি হয়েছে।

আমরা ভোলাবাসীর দাবির মধ্যে রয়েছে, ভোলায় মেডিকেল কলেজ স্থাপন, বিদ্যমান ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার সুবিধা নিশ্চিত করা, ভোলা–বরিশাল সেতু নির্মাণ, ঘরে ঘরে গ্যাস সরবরাহ, গ্যাসভিত্তিক শিল্পকারখানা স্থাপন ও নদীভাঙন প্রতিরোধ।

সংগঠনটি জানায়, আন্দোলনের আগে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটিতে মাত্র আট চিকিৎসক কর্মরত ছিলেন, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ জন। আরও চিকিৎসক, নার্স ও যন্ত্রপাতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। মেডিকেল কলেজ স্থাপনের বিষয়ে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে নতুন মেডিকেল কলেজ হলে, সেটি ভোলায় হবে। ভোলা–বরিশাল সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রেও ফিজিবিলিটি স্টাডি ও নকশা সম্পন্ন হয়েছে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

সার কারখানা ও ইপিজেড স্থাপনের জন্য জমি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানিয়েছেন নেতারা। গ্যাস–সংযোগের বিষয়ে জানানো হয়, সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানিকে ডিমান্ড নোট জমা দেওয়া ২ হাজার ১৪৫ গ্রাহককে গ্যাস–সংযোগ দেওয়া হবে এবং ন্যায্যমূল্যে ২০ হাজার সিলিন্ডার বিতরণ করা হবে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী দুই মাসের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে আবার কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের থেকে তরুণদের দূরে থাকতে হবে: মজিবুর রহমান
  • শিশু নাঈমের পাশে ইবি ক্রিকেট ক্লাব
  • ছয় দফা দাবিতে ‘আমরা ভোলাবাসী’র আন্দোলন ‘সরকারি আশ্বাসে’ স্থগিত