ঢাকার মঞ্চে গান শোনাতে আসছে পাকিস্তানের জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘জুনুন’। আগামী ২ মে রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে ‘ভয়েস অব জুনন’ শিরোনামে কনসার্ট। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান অ্যাসেনবাজ।

২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ফোক ফেস্টে গান পরিবেশন করেছিলেন জুনুন ব্যান্ডের ভোকালিস্ট আলি আজমত ও তার দল। দীর্ঘ ছয় বছর পর ফের ঢাকার মঞ্চে গাইবেন প্রখ্যাত পাকিস্তানি রক সংগীতশিল্পী আলী আজমত।

দশকের পর দশক ধরে জুনুন শুধু একটি ব্যান্ড নয়, এটি ছিল একটি বিপ্লব। সুফি ও রকের অনন্য সংমিশ্রণে তারা তৈরি করেছে এসব গান, যা কোটি মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। সিয়ানী থেকে গরজ বরস— তাদের গানগুলো কেবল সংগীত নয়, একটি প্রজন্মের পরিচয়।

আরো পড়ুন:

ফের একসঙ্গে তারা

কবীর সুমনকে কেন ‘জিহাদি’ বললেন তসলিমা?

এরই মধ্যে কনসার্টের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। আয়োজক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, ঈদুল ফিতরের আগে টিকিট কিনলেই বিশেষ ছাড় পাওয়া যাবে! ভক্তদের জন্য থাকছে আর্লি বার্ড ডিসকাউন্ট, যা পাওয়া যাবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত। টিকিট কিনতে ক্লিক করুন

পাকিস্তানি অন্যতম সুফি রক ব্যান্ড ‘জুনুন’। ১৯৯০ সালে ব্যান্ডটি প্রতিষ্ঠা করেন লিড গিটারিস্ট সালমান আহমাদ। পাকিস্তানের সবচেয়ে সফল ব্যান্ড। কিউ ম্যাগাজিনের মতে, “জুনুন পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ একটি ব্যান্ড!”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ