বাউবিতে এইচএসসি প্রোগ্রাম, ভর্তি সব শাখায়
Published: 20th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপেন স্কুল পরিচালিত এইচএসসি প্রোগ্রামের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী ১৫ এপ্রিল ভর্তি শুরু হবে। এ প্রক্রিয়া চলবে ১৫ জুন পর্যন্ত। তৃতীয় লিঙ্গের শিক্ষার্থীরা কোর্স ফির ৬০ শতাংশ ছাড় পাবে।
মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ও বিজ্ঞান—তিনটি শাখায় শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবে।
ভর্তির যোগ্যতা: এসএসসি/সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:১.
২. এসএসসি/সরকার স্বীকৃত সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণের সনদ,
৩. জাতীয় পরিচয়পত্র/অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদের সত্যায়িত ফটোকপি।আরও পড়ুনপেছাল গণিত পরীক্ষা, এসএসসি-২০২৫-এর নতুন রুটিন প্রকাশ১৯ মার্চ ২০২৫ভর্তি ফি লাগবে:
১. অনলাইন আবেদন ফি ১০০ টাকা,
২. মোট ভর্তি ফি: ৪ হাজার ৫২৩ টাকা,
৩. ঐচ্ছিক বিষয়ের জন্য অতিরিক্ত কোর্স ও পরীক্ষার ফি ৬৩৮ টাকা,
৪. ব্যবহারিক কোর্সপ্রতি অতিরিক্ত ১২৫ টাকা জমা দিতে হবে।
১. ভর্তির আবেদনের শুরুর তারিখ: ১৫ এপ্রিল ২০২৫।
২. ভর্তির আবেদনের শেষ তারিখ: ১৫ জুন ২০২৫।
৩. ওরিয়েন্টেশন ও টিউটোরিয়াল ক্লাসের তারিখ: ৮ আগস্ট ২০২৫।
বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট: www.bou.ac.bd
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের কাছে আবারো ইলিশের জন্য অনুরোধ করেছে ভারত
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশের রূপালি ইলিশ চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে চিঠি দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মৎস্য ব্যবসায়ী সংগঠন। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সেই চিঠি দেওয়া হয়েছে কলকাতার ফিস ইমপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের কাছে।
আর মাত্র ২ মাসের কম সময় বাকি দুর্গোৎসবের। আগামী সেপ্টেম্বরের শেষে পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে, এরপর ভারতজুড়ে কালীপূজা, দীপাবলি ইত্যাদি। এই উপলক্ষে গত কয়েক বছর ধরে পূজা মৌসুমে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানি করে থাকে বাংলাদেশ সরকার। যদিও তা করা হয় ভারতের অনুরোধে। আর এবারও সেই অনুরোধের ব্যতিক্রম হলো না।
গত বছর পূজা মৌসুমে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার হস্তক্ষেপের কারণে ইলিশ এসেছিল ভারতে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, “অত্যন্ত বিনীত ও শ্রদ্ধার সঙ্গে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, গত বছর আপনার হস্তক্ষেপের ফলে, ভারত ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছিল। পদ্মার ইলিশ পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরার মৎস প্রেমীদের জন্য একটি সুস্বাদু এবং জনপ্রিয়।”
আরো পড়ুন:
সিরিজের শেষ ম্যাচে নেই স্টোকস, দায়িত্বে পোপ
শেষ ম্যাচের আগে ভারতের শিবিরে ধাক্কা, বিশ্রামে বুমরাহ
এরপরই লেখা হয়েছে, “দুর্গাপূজা-২০২৫ এর কাউন্টডাউন শুরু হওয়ায়, আমরা আপনাকে আসন্ন দুর্গাপূজার জন্য ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। উল্লেখ্য এ বছর দুর্গাপূজা ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পড়েছে।”
তবে প্রতিবছর অনুমোদিত ইলিশের সম্পূর্ণ কোটা রপ্তানি না হওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, “গত বছর আপনার অফিস কর্তৃক প্রদত্ত ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছের মধ্যে মাত্র ৫৭৭ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা সম্ভব হয়েছিল। তার আগের বছর (২০২৩) ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টনের মধ্যে মাত্র ৫৮৭ মেট্রিক টন, ২০২২ সালে ২ হাজার ৯০০ মেট্রিক টনের মধ্যে ১ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন এবং ২০২১ সালে ৪ হাজার ৬০০ মেট্রিক টনের মধ্যে ১২শ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করেছি।”
এই সমস্যার কারণ হিসেবে রপ্তানির জন্য বেঁধে দেওয়া সময়সীমাকে দায়ী করা হয়েছে। ফিশ ইম্পোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, “প্রায় প্রতি বছরই আমরা অনুমোদিত ইলিশ মাছের সম্পূর্ণ পরিমাণ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হই। কারণ রপ্তানি পারমিটগুলো একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে। যেমন ৩০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ পরিমাণ রপ্তানি করতে হয়। এত বিশাল পরিমাণ রপ্তানির জন্য এই সময়সীমা আসলে যথেষ্ট নয়। তাই আপনার কাছে আমাদের অনুরোধ, যে দয়া করে কোনো সময়সীমা ছাড়াই ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার কথা বিবেচনা করা হোক।”
চিঠিতে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বর্তমান সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে আরো শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে ব্যবসায়ীদের এ সংগঠন।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ