Samakal:
2025-06-16@08:15:26 GMT

স্বাধীনতার কথা...

Published: 21st, March 2025 GMT

স্বাধীনতার কথা...

আসছে ২৬ মার্চ। আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস। এই দিবসটা একাত্তর সালের আগে ছিলো না। থাকবে কেমন করে? তখন আমরা স্বাধীনভাবে চলতেই পারতাম না। তারও আগে আমরা আমাদের এই বাংলা ভাষায় কথা বলতে গেলেও বাধা আসতো। আমাদের যারা কথা বলতে দিতে চাইতো না, যারা আমাদের ইচ্ছে মতো চলতে-ফিরতে দিতো না তারা কিন্তু আমাদের দেশের কেউ ছিলো না। 
উড়ে এসে জুড়ে বসা
অনেকটা উড়ে এসে জুড়ে বসার মতো তারা পাকিস্তান থেকে এমনটা শুরু করেছিলো আমাদের সঙ্গে। তারা আরও বলে কী! বাংলাদেশটাকে পাকিস্তান বানিয়ে রাখবে। আচ্ছা, তোমাদের ঘরটা যদি কেউ এসে জোর করে নিয়ে যেতে চায়, তখন কী করবে তোমরা? নিশ্চয়ই ঘরটার জন্য খুব মন খারাপ করবে। আর ঘরটা যারা নিয়ে যেতে চায় তাদের বিরুদ্ধে বড়রা মানে তোমাদের বাবা-ভাইয়ারা ঘুরে দাঁড়াবে। 
লেজ গুটিয়ে পলায়ন
ঠিক তেমনি আমাদের এই বাংলাদেশটাকে যারা নিজেদের করে নিতে চেয়েছিলো, তাদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে একেবারে যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছিলো আমাদের বাবা-ভাইয়াসহ বড়রা। দেশটাকে ধরে রাখতে অনেকেই যুদ্ধে গেলো। তারা প্রায় ৯ মাস ধরে যুদ্ধ করেছিলো শত্রুদের সঙ্গে। আমাদের দেশটাকে যারা নিয়ে যেতে চেয়েছিলো সেই পাকিস্তানিরা এক সময় লেজ গুটিয়ে পালালো। 
অপেক্ষা.

..
এদিকে আমাদের দেশটার তো অনেক ক্ষতি হয়ে গেলো। অনেক যোদ্ধা বাড়ি ফিরতে পারেনি। তাদের মায়েরা-বাবারা, পুঁচকে বাবুরা মন খারাপ করে যোদ্ধাদের জন্য বসে রইলো। বসে রইলো তো রইলোই, যোদ্ধারা আর ফিরে এলো না!
যেভাবে এলো লাল-সবুজ
বলি, ফিরবে কেমন করে? তারা তো আমাদের লাল সূর্যটার ভেতর ঢুকে গেলো! আর তাদের জন্য মন খারাপ করে বসে থাকা বাবা-মা আর পুঁচকেরা সূর্যের চারদিকের সবুজ হয়ে গেলো। এই লাল আর সবুজ মিলে হয়ে গেলো আমাদের পতাকা। একাত্তর সালে এই পতাকাটা আকাশে পত পত করে উড়তে শুরু করলো।
দেশটা ফিরে পেয়ে গেলাম
পতাকা উড়তে শুরু করা মানেই তো স্বাধীনতা। মানে আমরা আমাদের দেশটা ফিরে পেয়ে গেলাম। আর বীর যোদ্ধাদের জন্য স্মৃতিসৌধ বানিয়ে নিলাম। তাতে ফুল দিতে শুরু করলাম। স্মৃতিসৌধে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বীর যোদ্ধাদের বীরত্বের কথা ভাবতে থাকি। 
এলো স্বাধীনতা
এমন করেই স্বাধীনতা এলো আর এমন করেই এলো স্মৃতিসৌধটা। 
তো আর দুই দিন পরেই আসছে স্বাধীনতা দিবস। এই  দিবসটায় নিশ্চয়ই বেশ মজা করেই কাটাবে তোমরা! n

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম দ র দ শ স ব ধ নত র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ভাঙা বেড়িবাঁধ, আমন নিয়ে দুশ্চিন্তায় মাতারবাড়ীর চাষিরা

চলতি মৌসুমে আমন চাষ করার জন্য এক ব্যক্তির এক একর জমি ১৮ হাজার টাকায় ইজারা নেন কক্সবাজারের মহেশখালীর সাগর উপকূলীয় মাতারবাড়ী ইউনিয়নের নয়াপাড়ার কৃষক জাকের হোছাইন। এই মাসের শেষের দিকে আমন চাষ শুরু করার কথা তাঁর। তবে সাগরে বিলীন হওয়া বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে বর্ষায় ফসলি জমিতে পানি ঢুকে পড়ার শঙ্কায় আমনের চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কেবল জাকের হোছাইন নন, তাঁর মতো একইভাবে আমনের চাষাবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন মাতারবাড়ী ইউনিয়নের অন্তত ২০০ চাষি।

কুহেলিয়া নদীর পশ্চিমে আর বঙ্গোপসাগরের পূর্বে জেগে ওঠা প্রায় ১২ বর্গকিলোমিটার চর নিয়ে মহেশখালীর মাতারবাড়ী ইউনিয়ন। এর পশ্চিম পাশে রয়েছে আট কিলোমিটার বেড়িবাঁধ, যার মধ্যে প্রায় এক কিলোমিটার ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে এক দশক ধরে। ওই অংশ দিয়ে আশপাশের লোকালয় ও ফসলি জমিতে পানি ঢুকে পড়া ঠেকাতে সর্বশেষ চার বছর আগে বসানো হয়েছিল জিও টিউব। তবে গত ২৯ ও ৩০ মে নিম্নচাপের প্রভাবে সাগরের উত্তাল ঢেউয়ে জিও টিউব বিলীন হয়ে গেছে। এ অবস্থায় বেড়িবাঁধের ওই ভাঙা অংশ দিয়ে লোকালয় ও ফসলি জমিতে পানি ঢুকে পড়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সম্প্রতি তিন দফায় লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে ভেঙে গেছে অন্তত ১০টি কাঁচা বসতঘর। স্থানীয় মানুষের চোখে ঘুম নেই। চাষিরাও আমন ধানের চাষাবাদ আদৌ করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।সরওয়ার কামাল, সদস্য, মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ

বেড়িবাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি ইউনিয়নের ষাইটপাড়া এলাকায়। গত শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙা বেড়িবাঁধের পাশে বসানো জিও টিউব সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। সাগরের পানি ঢেউয়ের সঙ্গে বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ উপচে পাশের ফসলি জমিতে ঢুকে পড়ছে। সেখানে স্থানীয় মাঝের ডেইল এলাকার বাসিন্দা আবদুল কাদেরের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, বেড়িবাঁধের জিও টিউব বিলীন হওয়ার দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা খুবই উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। আমনচাষিরা চাষাবাদ করতে পারবেন কি না তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। মানুষ তাঁদের ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন। জরুরি ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কার করা উচিত।

মাতারবাড়ী ইউনিয়নে দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নুরুল হোছাইন মোহাম্মদ তৈয়ব প্রথম আলোকে বলেন, ভাঙা বেড়িবাঁধের কারণে ষাইটপাড়াসহ আশপাশের চারটি গ্রামে জলাবদ্ধতার শঙ্কা রয়েছে। এ কারণে এসব এলাকার অন্তত ৮০ একর জমিতে আমন চাষাবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় মাতারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সরওয়ার কামাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘সম্প্রতি তিন দফায় লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে ভেঙে গেছে অন্তত ১০টি কাঁচা বসতঘর। স্থানীয় মানুষের চোখে ঘুম নেই। চাষিরাও আমন ধানের চাষাবাদ আদৌ করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।’ ইউপি সদস্য সরওয়ার কামাল আরও বলেন, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম এলেই এলাকার মানুষের উদ্বেগ বাড়ে। অথচ ভাঙা বেড়িবাঁধ সংস্কারের কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না পানি উন্নয়ন বোর্ড।

মহেশখালীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হেদায়েত উল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, জরুরি ভিত্তিতে বেড়িবাঁধ সংস্কারের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বলা হয়েছে। জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি নিম্নচাপের প্রভাবে মহেশখালী ও কুতুবদিয়ায় অন্তত ১ হাজার ৬০০ মিটারের বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আপাতত বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের পানি টেকানোর জন্য ভাঙা বেড়িবাঁধের ওপর জিও টিউব বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কক্সবাজারের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. জামাল মুর্শিদ প্রথম আলোকে বলেন, মাতারবাড়ী ও ধলঘাট ইউনিয়নে স্থায়ী বাঁধের জন্য প্রায় ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় চারপাশে ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার সুপার ডাইকের আদলে স্থায়ী বেড়িবাঁধ ও ৭টি স্লুইসগেট নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া খনন করা হবে সাড়ে ১৯ কিলোমিটার কুহেলিয়া নদী। গত এপ্রিলে প্রকল্প প্রস্তাবনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ