গোপনে ফ্যাসিস্টদের সহযোগিতা করলেও কারও ক্ষমা নেই: যুবদল সভাপতি
Published: 22nd, March 2025 GMT
কেউ যদি গোপনে অন্যায়ভাবে ফ্যাসিস্টদের সহযোগিতা করতে চায় তারা অবশ্যই চিহ্নিত হবে। তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। বিএনপি বা অঙ্গসংগঠনে কাউকে প্রবেশ দিলে কারও ক্ষমা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শুক্রবার নারায়ণগঞ্জে পৃথক দুটি অনুষ্ঠানে এমন কথা বলেন তিনি।
এসব কর্মসূচিতে যুবদল সভাপতি বলেন, আওয়ামী লীগ গত তিনটি ভোটবিহীন নির্বাচন করেছে। দিনের ভোট রাতে করিয়েছে। ডামি ভোট করেছে। আর দেশে গুন্ডাতন্ত্র চালু করেছিল। এই নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের ওপর অত্যাচার করেছে। বিশেষ করে শামীম ওসমান, তাঁর ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা শাহ নিজামসহ তাদের দোসররা ত্রাসের রাজত্ব কয়েম করেছিল।
বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে এ রকম সন্ত্রাসী কার্যক্রম কেউ করতে পারবে না উল্লেখ করে আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, অবিলম্বে নারায়ণগঞ্জে অবস্থানকারী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী, ক্যাডার বাহিনীর সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
আওয়ামী লীগ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়ে নেতাকর্মীর উদ্দেশে যুবদল সভাপতি বলেন, বিএনপি বা অঙ্গসংগঠনে কাউকে প্রবেশ দিলে কারও ক্ষমা নেই। জনগণের কষ্ট হয় এমন কোনো কাজ করা যাবে না।
তিনি ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অসহায় ব্যক্তিদের হাতে খাদ্য, শাড়ি-লুঙ্গি তুলে দেন। জেলা যুবদল শহরের সরকারি গার্লস স্কুল মাঠে ও মহানগর যুবদল নগরীর তল্লার বিবি মরিয়ম হাইস্কুল মাঠে এসব বিতরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করে। এসব অনুষ্ঠানে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম সজীব, সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল আলম সজল, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব শাহেদ আহম্মেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: য বদল য বদল র ব এনপ আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।