বক্সিং কিংবদন্তি জর্জ ফোরম্যান আর নেই
Published: 22nd, March 2025 GMT
বক্সিং কিংবদন্তির জর্জ ফোরম্যান মারা গেছেন। দু’বারের হেভিওয়েট এ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন শুক্রবার তাঁর বাড়িতেই মারা যান। তাঁর পরিবার এই খবর জানিয়েছে।
শুক্রবার তাঁর মৃত্যুর সংবাদ পরিবারের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানানো হয়েছে। ফোরম্যানের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম পেজে তাঁর পরিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘হৃদয়বিদারক খবর। গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমাদের প্রিয় জর্জ এডওয়ার্ড ফোরম্যান আর নেই। ২১ মার্চ তিনি মারা গেছেন।’ খবর- বিবিসি
ফোরম্যানের বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। ১৯৬৮ সালের মেক্সিকো অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জয়ী ফোরম্যান ছিলেন দুবারের হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন। জায়গা পেয়েছিলেন আন্তর্জাতিক বক্সিংয়ের হল অব ফেমে।
বক্সিংয়ের আরেক কিংবদন্তি মোহম্মদ আলির সঙ্গে ‘রাম্বল ইন দ্য জাঙ্গল’ এ লড়েছিলেন জর্জ ফোরম্যান। ১৯৭৩ সালে ফোরম্যান প্রথম হেভিওয়েট বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হন। হারিয়েছিলেন অপ্রতিরোধ্য জো ফ্রেজিয়ারকে। কিন্তু ১৯৭৪ সালে তিনি হেরে গিয়েছিলেন কিংবদন্তি মহম্মদ আলির কাছে। এরপর আচমকাই তিনি বক্সিং থেকে উধাও হয়ে যান। রিংয়ে আচমকাই ফেরেন ১৯৯৪ সালে। সেবার হেভিওয়েটে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হন মাইকেল মুরেরকে হারিয়ে।
সবচেয়ে বেশি বয়সে হেভিওয়েটে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ড ফোরম্যানের দখলে। খেতাব জিতেছিলেন ৪৬ বছর ১৬৯ দিন বয়সে। তাঁর কেরিয়ার রেকর্ড ৭৬–৫। তার মধ্যে ছিল ৬৮টি নকআউট।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: বদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার শপথ ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধাদের
বিজয়ের মাস ঢাকায় এক হলেন একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধারা; তাঁরা শপথ নিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার।
আজ শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেরিলা যোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। দিনভর এই আয়োজন করে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী সমন্বয় কমিটি।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন করে অংশ নিয়েছিলেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। কয়েক হাজার গেরিলা যোদ্ধার এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারার যুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আলোচিত ঘটনা।
স্বাধীনতার পর এই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। দেড় যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিল, তাতে এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
শহীদ মিনারে মিলনমেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি এই গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন তিনি।
ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মিলনমেলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম