কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ উপকূলে রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকাডুবি হয়েছে। এতে ৪০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। নারী-শিশুসহ ২৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাত আড়াইটার দিকে শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিমপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাবোঝাই একটি নৌকা সাগরে ভাসছিল। বিজিবির টহলরত এক সদস্য মোহাম্মদ আমিনের মালিকানাধীন মাছ ধরার নৌকা নিয়ে সেটি আটকানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে প্রবল ঢেউয়ে নৌকাটি ডুবে যায়।

টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত ২৫ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিখোঁজদের সন্ধানে সাগরে উদ্ধার অভিযান চলছে।  

আরো পড়ুন:

সুগন্ধা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবি, শিশু নিখোঁজ

শীতলক্ষ্যায় বাল্কহেডের ধাক্কায় নৌকাডুবি, উদ্ধার ৯

টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের ইউপি সদস্য আবদুল মান্নান বলেন, ‘‘বেশ কিছু রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছেন। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।’’

স্থানীয় জেলেরা জানান, ডুবে যাওয়া নৌকায় ৬০ থেকে ৭০ লোক ছিল বলে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা জানিয়েছেন। নিখোঁজদের সন্ধানে একাধিক নৌকা নিয়ে অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন বলেন, ‘‘নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে কাজ করছে।’’

ঢাকা/তারেকুর/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার শপথ ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধাদের

বিজয়ের মাস ঢাকায় এক হলেন একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধারা; তাঁরা শপথ নিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার।

আজ শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেরিলা যোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। দিনভর এই আয়োজন করে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী সমন্বয় কমিটি।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন করে অংশ নিয়েছিলেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। কয়েক হাজার গেরিলা যোদ্ধার এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারার যুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আলোচিত ঘটনা।

স্বাধীনতার পর এই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। দেড় যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিল, তাতে এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

শহীদ মিনারে মিলনমেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি এই গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন তিনি।

ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মিলনমেলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ