রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নে ছয় বছরের এক শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।

শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার যুবক দীপক সরকার বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া জামালপুর গ্রামের দিনেশ সরকারের ছেলে। মদাপুরে একটি ধানের চাতালে শ্রমিকের কাজ করে সে।

স্থানীয়রা জানান, শিশুটি তার বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এ সময় দীপক শিশুটিকে কাছে ডেকে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করে। শিশুটি চিৎকার দিলে দীপক তাকে ছেড়ে দেয়। শিশুটি ছুটে তার পরিবারকে বিষয়টি জানালে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে দেয়।

কালুখালী থানার ওসি জাহেদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে আটকে রাখা দীপক নামের ওই যুবককে থানায় নিয়ে আসে। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শিশুর বাবা মামলা করেছেন। রোববার দীপককে রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আমরা যে চূড়ান্ত পরিবর্তন চেয়েছিলাম, তা সম্ভব হয়নি: আসিফ মাহমুদ

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ১/১১ প্রতিষ্ঠা করতে না পারলেও নানাভাবে এই সরকারকে বাধা দেওয়া হয়েছে। ফলে আমরা যে চূড়ান্ত পরিবর্তন চেয়েছিলাম, তা সম্ভব হয়নি। তবে সুংসবাদ, আজ থেকে তিনদিন পর, ৫ আগস্ট আমরা জুলাই সনদ ঘোষণার সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছি।

শনিবার (২ আগস্ট) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে ‘রিবিল্ডিং দ্য ন্যাশন: বাংলাদেশ ২.০’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, ‘‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যে বড় পরিবর্তন জনগণের মধ্যে হয়েছে, তা হলো রাজনৈতিক সচেতনতা। যে প্রেক্ষাপটে গণ-অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে, জুলাই সনদের ঘোষণাপত্র সেটিকে জাস্টিফাই করে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সেন্ট্রাল কানেক্টিং পয়েন্ট, পরবর্তীকালে অনেকেই এই ব্যানারটিকে মিস ইউজ করেছে। যে জায়গা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তাতে সাধুবাদ। তবে আমি প্রত্যাশা করবো, তারা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা রাখবে।’’

গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মরদেহ সম্পর্কে উপদেষ্টা আসিফ মাহমদু বলেন, ‘‘৬টি মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আছে। হয়তো বেশিদিন রাখা সম্ভব হবে না। তাদের ডিএনএ স্যাম্পল রাখা হবে। তাদের পরিবার যোগাযোগ করে নিয়ে যেতে পারবেন। আগামী ৪ আগস্ট তাদের দাফন করা হবে।’’

‘‘ডিএনএ টেস্ট করে গণকবরে যারা সমাহিত হয়েছেন, তাদের শনাক্ত করা হবে এবং তাদের পরিবারের কেউ নিয়ে যেতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবো’’, যোগ করেন তিনি। 

ঢাকা/রাহাত//

সম্পর্কিত নিবন্ধ