রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নে ছয় বছরের এক শিশুকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার যুবক দীপক সরকার বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া জামালপুর গ্রামের দিনেশ সরকারের ছেলে। মদাপুরে একটি ধানের চাতালে শ্রমিকের কাজ করে সে।
স্থানীয়রা জানান, শিশুটি তার বাড়ির পাশে খেলা করছিল। এ সময় দীপক শিশুটিকে কাছে ডেকে নিয়ে যৌন নিপীড়ন করে। শিশুটি চিৎকার দিলে দীপক তাকে ছেড়ে দেয়। শিশুটি ছুটে তার পরিবারকে বিষয়টি জানালে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে দেয়।
কালুখালী থানার ওসি জাহেদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মদাপুর ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে আটকে রাখা দীপক নামের ওই যুবককে থানায় নিয়ে আসে। প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শিশুর বাবা মামলা করেছেন। রোববার দীপককে রাজবাড়ীর আদালতে পাঠানো হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন চলতি মাসের ২৭ নভেম্বর আয়োজনের দাবি জানিয়েছে শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সংগঠনটির নেতারা জকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসান বরাবর এ দাবি জানিয়ে একটি স্মারকলিপি দেন।
আরো পড়ুন:
জকসু নির্বাচন নিয়ে একে অপরকে দোষারোপ ছাত্র সংগঠনগুলোর
জবি প্রশাসনের কাছে ২০ দাবি জানাল ইউটিএল
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পর এই প্রথম জকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি ও আন্দোলনের পর প্রশাসন নির্বাচন আয়োজনের রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে। কিন্তু সম্প্রতি একটি গোষ্ঠী নির্বাচন বানচালের নীলনকশা শুরু করেছে, যা শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্নের অপচেষ্টা।
এতে আরো বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী নির্বাচন না করলে তা হবে শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার হরণের সামিল। কারণ ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২১তম ব্যাচের ভর্তি পরীক্ষা, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস এবং পরবর্তী শীতকালীন ছুটির কারণে ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
এ সময় সংগঠনটির নেতারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরই জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। নির্বাচন বিলম্বের কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী