চট্টগ্রামে ফ্লাইওভারের নিচে নারীর বস্তাবন্দি মরদেহ
Published: 22nd, March 2025 GMT
চট্টগ্রামে বস্তাবন্দি অবস্থায় এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে নগরীর খুলশী থানার লালখানবাজারে ফ্লাইওভারের নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই নারীর পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ বলছে, তাঁর বয়স ৩০ কিংবা এর কিছু বেশি হতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি বাসে করে কোচিংয়ে যাচ্ছিলেন। বাসের জানালা দিয়ে বস্তাবন্দি মরদেহটি দেখতে পান। বাস থেকে নেমে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করেন ওই শিক্ষার্থী। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
খুলশী থানার ওসি আফতাব হোসেন বলেন, ‘মরদেহ পচন প্রক্রিয়ার একেবারে সেকেন্ড স্টেজ যেটাকে আমরা বলি, সে অবস্থায় পেয়েছি। অন্তত দুই দিন আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে আমাদের ধারণা। বস্তাবন্দি মরদেহটি ফ্লাইওভারের নিচে আইল্যান্ডের মাঝামাঝিতে কম্বল মুড়িয়ে রাখা হয়েছিল। দেখে মনে হবে, ভাসমান লোকজন কেউ ঘুমাচ্ছে। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা মরদেহ উদ্ধার করি। শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন বোঝা যাচ্ছে না। মরদেহ যেহেতু বস্তার ভেতরে পাওয়া গেছে, এটা ধরে নিতে পারি, তাঁকে খুন করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে সবকিছু পরিষ্কার হবে। মৃত নারীর পরিচয় শনাক্তের জন্য সিআইডি কিংবা পিবিআইর মাধ্যমে আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার শপথ ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধাদের
বিজয়ের মাস ঢাকায় এক হলেন একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধারা; তাঁরা শপথ নিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার।
আজ শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেরিলা যোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। দিনভর এই আয়োজন করে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী সমন্বয় কমিটি।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন করে অংশ নিয়েছিলেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। কয়েক হাজার গেরিলা যোদ্ধার এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারার যুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আলোচিত ঘটনা।
স্বাধীনতার পর এই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। দেড় যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিল, তাতে এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
শহীদ মিনারে মিলনমেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি এই গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন তিনি।
ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মিলনমেলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম