কৃষি ঋণ বিতরণের আগে সিআইবি রিপোর্ট যাচাইয়ের নির্দেশ
Published: 23rd, March 2025 GMT
শস্য ও ফসল ঋণের মঞ্জুরি বা বিদ্যমান ঋণ নবায়নে সিআইবি রিপোর্ট সংগ্রহের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নির্দেশনায়, নতুন কৃষি ঋণ মঞ্জুরি বা বিদ্যমান ঋণ নবায়নের ক্ষেত্রে সিআইবি রিপোর্ট যাচাই করতে বলা হয়েছে। আগে নতুন ঋণ মঞ্জুরি বা বিদ্যমান ঋণ নবায়নের জন্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত শস্য ও ফসল ঋণের ক্ষেত্রে সিআইবি রিপোর্ট সংগ্রহের প্রয়োজন হতো না।
রবিবার (২৩ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, সিআইবি রিপোর্ট যাচাই ব্যতীত ঋণ প্রদান করা হলে একজন গ্রাহক বিভিন্ন ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিমাণের একাধিক শস্য ও ফসল ঋণ গ্রহণ করলেও তা ঋণ প্রদানকারী ব্যাংকের পক্ষে জানা সম্ভব হচ্ছে না। এ প্রক্রিয়ায় খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে সিআইবি প্রতিবেদন সংগ্রহ করা পূর্বের তুলনায় অনেক সহজ করা হয়েছে। ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি সার্ভার ব্যবহার করে দ্রুত ঋণ আবেদনকারীর সিআইবি রিপোর্ট সংগ্রহ করতে পারছে।
এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোকে কৃষি ও পল্লী ঋণের (এমএফআই লিংকেজ ব্যতীত) আওতাভুক্ত সকল খাতে যে কোন পরিমাণের নতুন ঋণ মঞ্জুরি বা বিদ্যমান ঋণ নবায়নের জন্য সিআইবি রিপোর্ট যাচাই করতে হবে। এ নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
ঢাকা/এনএফ/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?