নিজের ‘আইডল’ বা আদর্শের সামনে গোল করে তাঁর মতো করে উদ্‌যাপন নিশ্চিতভাবে দারুণ কিছু। কদিন আগে তেমনই এক অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন রাসমুস হয়লুন্দ।

নেশনস লিগে পর্তুগাল–ডেনমার্কের শেষ আটের ম্যাচে গোল করার পর রোনালদোর সামনেই তাঁর মতো করে ‘সিউ’ উদ্‌যাপন করেছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ডাচ তারকা রাসমুস হয়লুন্দ।

সেদিনের পর থেকে হয়লুন্দের উদ্‌যাপন নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। হয়লুন্দ অবশ্য বলেছেন, অপমান বা অসম্মান করার উদ্দেশ্যে না, তিনি শুধু নিজের আদর্শকে অনুকরণ করেছেন।

আরও পড়ুন‘ভক্তে’র কাছে হার রোনালদোর, হার এমবাপ্পেরও, জিতল জার্মানি২১ মার্চ ২০২৫

হয়লুন্দ বলেছেন, ‘এটা আমার আদর্শের জন্য। এটা এমন না যে আমি তাকে ব্যঙ্গ করছি বা তেমন কিছু। আমি সব সময় বলেছি, আমার জন্য এবং আমার ফুটবল ক্যারিয়ারে সে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’

২২ বছর বয়সী হয়লুন্দের এই উদ্‌যাপন এবং তাঁর কথার জবাব দিয়েছেন রোনালদোও। হয়লুন্দের উদ্‌যাপনে অসম্মানজনক কিছু খুঁজে না পেলেও সেই উদ্‌যাপন ফিরিয়ে দিতে প্রত্যয়ী ‘সিআর সেভেন’। রোনালদো বলেছেন, ‘এটা আমার জন্য সমস্যা না। আমি জানি এখানে অসম্মানজনক কিছু ছিল না। আর পৃথিবীতে সে শুধু একা না যে আমার মতো উদ্‌যাপন করেছে। এটা বোঝার মতো যথেষ্ট বুদ্ধি আমার আছে। এটা আমার সম্মানেই করা।’

এরপরই অবশ্য আসল কথাটা বলেছেন রোনালদো, ‘আশা করি আগামীকাল (আজ রাতে) আমিও তাঁর সামনে উদ্‌যাপন করতে পারব। এটা দারুণ হবে। আমি আনন্দিত যে আমার উদ্‌যাপন তাঁর পছন্দ হয়েছে।’

আরও পড়ুন২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত ফিট থাকতে বিশেষ যে খাবার খাচ্ছেন রোনালদো১৮ মার্চ ২০২৫

হয়লুন্দ অবশ্য আগেও রোনালদোর প্রতি নিজের মুগ্ধতার কথা প্রকাশ করেছিলেন, ‘আমি বাড়িয়ে বলছি না। তবে ক্রিস্টিয়ানো আমার কাছে সবকিছু। ক্রিস্টিয়ানোর কারণেই আমি ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা অনুভব করি। আমি ঘুমাতে যাওয়ার আগে নানা ধরনের শারীরিক কসরত করি শুধু ক্রিস্টিয়ানোর জন্য। কারণ, আমি রোনালদোর মতো হতে চাই।’

আরও পড়ুনমেসি ও রোনালদো এখন কত টাকার মালিক১৪ মার্চ ২০২৫

ডেনমার্কের বিপক্ষে ফিরতি লেগে আজ রোনালদোদের সামনে চ্যালেঞ্জটা ঘুরে দাঁড়ানোর। প্রথম লেগে ১–০ গোলে হারায় এখন বেশ চাপেও আছে তারা। তবে যেকোনো মূল্যে আজ রাতে দলের জয় চান রোনালদো, ‘এটা শুধু আমার গোল করার ব্যাপার না। আমি শুধু চাই পর্তুগাল ম্যাচটা জিতুক। যদি আমি না খেললে দল জেতে, তাই হোক।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বল ছ ন র জন য র স মন

এছাড়াও পড়ুন:

আদাবরে কুপিয়ে হত্যা: তিনজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিল সেনাবাহিনী

রাজধানীর আদাবরে আধিপত্য বিস্তার ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধে রিপন সরদার (৪২) খুনের ঘটনায় তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। গতকাল মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, রিপন হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইমন ওরফে ভাইগ্না ইমন ওরফে দাঁতভাঙা ইমনকে তাঁর দুই সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে দুটি সামুরাই উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ইমন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

সেনাবাহিনী জানায়, গতকাল ভোরের দিকে রাজধানীর আদাবর থানার বালুর মাঠ এলাকায় বাসায় ঢুকে রিপন নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। কিশোর গ্যাং এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে অভিযোগ। পরে আহত অবস্থায় রিপনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে তিনি মারা যান।

৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, গতকাল সকালে বালুমাঠ এলাকায় একটি হত্যাকাণ্ডের খবর পাওয়া যায়। বিভিন্নভাবে তথ্য সংগ্রহ করে জানা যায় এলেক্স সবুজ, মনির ও ইমন এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নির্ণয় করে অভিযান চালিয়ে ইমন ও তাঁর দুই সহযোগীকে দুটি সামুরাইসহ গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযান চালানোর কিছুক্ষণ আগে সবুজ ও মনির সেই জায়গা থেকে পালিয়ে যান। তাই তাঁদের গ্রেপ্তার করা যায়নি। বাকিদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকাল সাতটার দিকে আদাবরের ১০ নম্বরের বালুর মাঠ এলাকায় ‘বেলচা মনির’ ও ‘রাজু গ্রুপে’র মধ্যে এ মারামারি হয়। ‘বেলচা মনিরের’ লোকজন ‘রাজু গ্রুপের’ রিপনকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। সন্ধ্যা সাতটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিপন সরদারের মৃত্যু হয়।

আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাকারিয়া প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও বিরোধকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটির বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।

আরও পড়ুনআদাবরে মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মারামারিতে নিহত ১১৮ ঘণ্টা আগে

তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিপন সরদারের ছেলে ইমন সরদার গতকাল দাবি করেন, রিপন মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন না। রিপন পেশায় চা–দোকানি। বেলচা মনিরের লোকজনের সঙ্গে দুই দিন আগে তাঁর বাবার কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে তাঁর বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর মা আরজু বেগমও আহত হয়েছেন। তাঁদের বাড়ি ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায়।

পুলিশের ভাষ্য, নিহত রিপন সরদার মাদক কারবারি রাজুর চাচাতো ভাই। ‘রাজু গ্রুপ’ ও ‘বেলচা মনিরের’ নেতৃত্বে আদাবরের ১০ ও ১৭ নম্বর এলাকায় মাদক ব্যবসা হয়। ওই বিরোধের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে। নিহত রিপনের বিরুদ্ধে ভোলায় একাধিক মামলা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আদাবরে কুপিয়ে হত্যা: তিনজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিল সেনাবাহিনী