গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রোববার বিকেলে ও রাতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলের এক আরোহী ও ট্রাকের এক হেলপার নিহত হয়েছেন। 

নিহতরা হলেন, মোটরসাইকেল আরোহী আলম মিয়া (২৮) এবং ট্রাক হেলপার হাসান আলী (৩০)। 

নিহত হাসান উপজেলার তালুককানুপুর ইউপির রাঘবপুর গ্রামের মমদেল হোসেনের ছেলে এবং আলম গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের অনন্তপুর গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে। 

জানা যায়, রোববার রাত ১০টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক সড়কের পৌরশহরের খলসী ভাঙ্গা ব্রিজ এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে বালুবোঝাই ডাম্প ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে দুই ট্রাকই খাদে পড়ে হেলপার হাসান নিহত হয়।

অপরদিকে রোববার বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে পৌরশহরের জনতা ব্যাংকের সামনে মোটরসাইকেল চালিয়ে যানজটে আটকা পড়া একটি কার্গো ট্রাক ও অটোরিকশার মাঝ পথ দিয়ে যাওয়ার সময় কার্গো ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আলম মিয়া। তিনি স্থানীয় একটি ব্রিটিশ টোবাকো কোম্পানির এস.

আর পদে চাকরি করতেন।

খবর পেয়ে হাইওয়ে থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের পৃথক দুটি দল ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফ্ফর হোসেন। তিনি বলেন, পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ ব ন দগঞ জ সড়ক দ র ঘটন ন হত গ ব ন দগঞ জ ক সড়ক

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ