সামরিক ভূমি ও ক্যান্টনমেন্ট অধিদপ্তর রাজস্ব খাতভুক্ত একাধিক পদে জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এই অধিদপ্তরে পাঁচ ক্যাটাগরির পদে ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডে ১৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

১. পদের নাম: ক্যাশিয়ার

পদসংখ্যা:

যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক ডিগ্রি। কম্পিউটার চালনার দক্ষতা থাকতে হবে। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজি ৩০ শব্দ ও বাংলায় ২৫ শব্দ থাকতে হবে। কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিংসহ ই-মেইল, ফ্যাক্স চালনায় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ১১,০০০ থেকে ২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেডথেকে১৩)

২.

পদের নাম: সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা: ২

যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি। কম্পিউটার চালনার দক্ষতা থাকতে হবে। সাঁটলিপিতে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজি ৭০ শব্দ ও বাংলায় ৪৫ শব্দ এবং কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজি ৩০ শব্দ ও বাংলায় ২৫ শব্দ থাকতে হবে। কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিংসহ ই-মেইল, ফ্যাক্স চালনায় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ১০,২০০ থেকে ২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)

৩. পদের নাম: এমইও ওভারশিয়ার

পদসংখ্যা: ৩

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে এক বছর মেয়াদি সার্ভে বা আমিনশিপ কোর্স পাস হতে হবে। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজি ৩০ শব্দ ও বাংলায় ২৫ শব্দ থাকতে হবে। কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিংসহ ই-মেইল, ফ্যাক্স চালনায় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,০০০ থেকে ২১,৮০০ টাকা (গ্রেড-১৭)

আরও পড়ুনআইডিবি দেবে ৭২০ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ, মিলবে হাতখরচের অর্থ২৩ মার্চ ২০২৫৪. পদের নাম: চেইনম্যান

পদসংখ্যা: ৪

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস। স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে এক বছর মেয়াদি সার্ভে বা আমিনশিপ কোর্স পাস হতে হবে। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে সর্বনিম্ন গতি প্রতি মিনিটে ইংরেজি ৩০ শব্দ ও বাংলায় ২৫ শব্দ থাকতে হবে। কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিংসহ ই-মেইল, ফ্যাক্স চালনায় দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন স্কেল: ৯,০০০ থেকে ২১,৮০০ টাকা (গ্রেড-১৭)

৫. পদের নাম: অফিস সহায়ক

পদসংখ্যা: ৭

যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস।

বেতন স্কেল: ৮,২৫০ থেকে ২০,০১০ টাকা (গ্রেড-২০)

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে (http: //dmlc. teletalk. com. bd) ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে।

আরও পড়ুনপ্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীনে বড় নিয়োগ, পদ ২৫৫২৩ মার্চ ২০২৫আবেদন ফি

অনলাইনে ফরম পূরণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষার ফি বাবদ ১ ও ২ নম্বর পদের জন্য ১০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ১২ টাকা মিলিয়ে মোট ১১২ টাকা এবং ৩ থেকে ৫ নম্বর পদের জন্য ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ টাকা মিলিয়ে মোট ৫৬ টাকা। তবে সব গ্রেডের অনগ্রসর (ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের) আবেদন ফি বাবদ ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ ৬ টাকা মিলিয়ে মোট ৫৬ টাকা টেলিটক প্রি–পেইড মুঠোফোন নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

আবেদনের সময়সীমা: ২৩ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল ২০২৫, বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

আরও পড়ুননিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষে চাকরি, পদ ২৯২২ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পদ র ন ম পদস খ য য গ যত ট ল টক সমম ন

এছাড়াও পড়ুন:

ফুডপ্যান্ডার ডেলিভারি বয় থেকে সফল ফ্রিল্যান্সার আবু সালেহ, মাসে আয় কত জানেন

পরিবারের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। অভাবের সংসারে নিজেকে একরকমের বোঝাই মনে করতেন। কিছু একটা করা দরকার। পরিস্থিতি যেন আবু সালেহ আহমেদকে দিন দিন আরও বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অনেক স্বপ্ন দেখেছেন, সেই স্বপ্নে নিজেকে অটুট রেখেছেন। আর পাড়ি দিতে হয়েছে অনেকটা পথ। ধৈর্য নিয়ে নিজের স্বপ্নের দিকে তাকিয়ে আজ সালেহ নিজেকে বলতেই পারেন একজন সফল ফ্রিল‍্যান্সার। কেননা এখন তিনি মাসে আয় করেন তিন লাখ টাকা।

আবু সালেহ আহমেদ। ডাকনাম আফনান। বাবা মো. কুতুব উদ্দিন শেখ মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এখন অবসর নিয়েছেন। মা সাজেদা খাতুন গৃহিণী। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার তারাপুর গ্রামের আবু সালেহ আহমেদ এখন অবশ্য এলাকায় থাকেন না। থাকেন ঢাকার কাঁঠালবাগানে। এখান থেকেই আফনান গড়ে মাসিক তিন লাখ টাকা আয় করেন। ছোট্ট একটা অফিসও নিয়েছেন, যেখানে চারজন ছেলেমেয়ের কর্মসংস্থান করেছেন।

২০১৬ সালে সেনগ্রাম ফাজিল মাদ্রাসা থেকে এসএসসি পাসের পর ২০২০ সালে লক্ষ্মীপুর সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন আবু সালেহ আহমেদ। এখন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকে স্থাপত্য বিভাগে চতুর্থ বর্ষে পড়ছেন। ছাত্রাবস্থাতেও তাঁর মাসিক আয় কোনো কোনো মাসে পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যায়। ২৭ বছর বয়সী আবু সালেহ আহমেদ বিয়ে করেছেন গত বছর। স্ত্রীর নাম ফাতেমা জোহরা।

পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়াই ছিল কঠিন

আফনান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আসলে মাদ্রাসা থেকে এসএসসি পাস করে বের হয়েছি। তখন ইচ্ছা থাকলেও আমাদের সামর্থ্য ছিল না ভালো জায়গায় পড়ার। আমার চার বছর যে সম‍য়টা কেটেছে, আসলে খুব কষ্টে কেটেছে। কলেজে আমি এক্সট্রা কারিকুলামে ভালো ছিলাম, ডিবেটিং ক্লাবের সভাপতি ছিলাম, বেশ কিছু জায়গায় বিতর্ক করে চাম্পিয়নও হয়েছি। স‍্যারদের চোখে পড়েছি। একসময় আর পেরে উঠছিলাম না, তাই দুই বছর পড়তে পড়তেই টিসি (ট্রান্সফার সার্টিফিকেট) নিতে গিয়েছিলাম। লক্ষ্মীপুর সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষকেরা আমার কথা শুনে পড়াশোনা করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। যার ফলে আমি পড়াশোনাটা শেষ করেছি।’

আবু সালেহ আহমেদ প্রথম আলোকে আরও বলেন, ‘দিনগুলো কঠিন ছিল। টিউশনি করাতাম। ১ হাজার ৫০০ টাকা পেতাম। ১ হাজার টাকা মেসভাড়া ও ৫০০ টাকায় খাওয়া। সকালে ও রাতে খেতাম। মাসে তা–ও খাওয়ার বিল আসত ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা। মেসের বাকিরা সেটা দিয়ে দিত। তারপর একদিন ২ হাজার ৫০০ টাকার একটা টিউশনি পেয়ে একটু যেন শক্তি পেলাম। এভাবেই আমার ডিপ্লোমার চার বছর কেটেছে।’

একবুক স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায়

২০২০ সালে ডিপ্লোমা পড়া শেষ করেই একবুক স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন আবু সালেহ আহমেদ। এসেই শুরু করেন আবার জীবনসংগ্রাম। কোথাও কাজ পাচ্ছিলেন না। শেষমেশ ফুডপ্যান্ডায় রাইডার (ডেলিভারি বয়) হিসেবে কাজ নেন তিনি। কিন্তু শুধু ফুডপ্যান্ডায় কাজের আয় দিয়ে তাঁর চলছিল না। তখন থেকেই কাজের পাশাপাশি কিছু একটা করার চেষ্টা করছিলেন। কিছু জায়গায় খোঁজ নিয়ে ভর্তি হয়ে যান তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণের প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েটিভ আইটিতে। খাবার ডেলিভারির পাশাপাশি কাজও শিখতেন।

আবু সালেহ আহমেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ফুডপ্যান্ডার ডেলিভারি বয় থেকে সফল ফ্রিল্যান্সার আবু সালেহ, মাসে আয় কত জানেন