‘গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন সহজ হবে না’
Published: 24th, March 2025 GMT
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন সহজ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন, “কমিশনের বেশির ভাগ সুপারিশ ইতিবাচক হলেও কিছু প্রস্তাবনা বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। সাংবাদিকের প্রারম্ভিক বেতন প্রথম শ্রেণির বিসিএস কর্মকর্তার সমান প্রস্তাব করা হলেও তা নিশ্চিত করার ম্যাকানিজম কী হবে তা রিপোর্টে স্পষ্ট নয়। এক মালিকের এক মিডিয়া প্রস্তাব বাস্তবায়নও কঠিন হবে।”
রবিবার (২৩ মার্চ) যশোর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে অসুস্থ ও অসচ্ছল সাংবাদিকদের মধ্যে কল্যাণ অনুদান এবং সাংবাদিক সন্তানদের মধ্যে বৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
সত্য-মিথ্যার মিশ্রণে সাংবাদিকতা নয়: কাদের গনি
হবিগঞ্জে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৪ সাংবাদিকের ওপর হামলা
যশোরের জেলা প্রশাসক মো.
সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি আকরামুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- যশোরের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা রেজাউল করিম, প্রেস ক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সাবেক সম্পাদক আহসান কবীর, বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন, সাবেক সহ-সভাপতি রাশিদুল ইসলাম, সাবেক সহকারী মহাসচিব নূর ইসলাম।
মুহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, “জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকেরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি তার সঙ্গে দায়িত্বশীলতার বিষয়টি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হচ্ছে, এটা করা যাবে না।'
তিনি আরো বলেন, “সাংবাদিকদের কল্যাণে ট্রাস্ট নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে, তা অনেকেরই পছন্দ হচ্ছে না। ফলে ট্রাস্টের কার্যক্রম ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র চলছে। সাংবাদিক সমাজ তা বরদাশত করবে না। সাংবাদিকেরা অন্যান্য পেশাজীবীদের মতো নন। সাংবাদিকতা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও অনিশ্চয়তার পেশা। এ পেশার মানুষরা দেশের গণতন্ত্র, জনগণের কল্যাণ ও মানবাধিকারের জন্যে কাজ করেন। পেশাদার সাংবাদিকেরা দেশ ও মানুষের স্বার্থে নিজেকে উজাড় করে দেন, জীবনের ঝুঁকি নেন। সে কারণে সাংবাদিকদের দুঃসময়ে তাদের পাশে দাঁড়ানো রাষ্ট্রের দায়িত্ব।”
অনুষ্ঠানে যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম বলেন, “ফ্যাসিবাদ কায়েমে অন্য অনেক পেশাজীবীর মতো সাংবাদিকদেরও ভূমিকা ছিল, যেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা সেই সময়ে আর ফিরে যেতে চাই না। আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ যেন গোলামির না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।”
ঢাকা/রিটন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন কল য ণ ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার শপথ ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধাদের
বিজয়ের মাস ঢাকায় এক হলেন একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধারা; তাঁরা শপথ নিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার।
আজ শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেরিলা যোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। দিনভর এই আয়োজন করে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী সমন্বয় কমিটি।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন করে অংশ নিয়েছিলেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। কয়েক হাজার গেরিলা যোদ্ধার এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারার যুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আলোচিত ঘটনা।
স্বাধীনতার পর এই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। দেড় যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিল, তাতে এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
শহীদ মিনারে মিলনমেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি এই গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন তিনি।
ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মিলনমেলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম