১২১ ঘণ্টা টানা বাস্কেটবল খেললেন তাঁরা
Published: 24th, March 2025 GMT
একটি বাস্কেটবল ম্যাচ চলে ৪০ মিনিট। কিন্তু জর্জিয়ার একটি দল টানা ১২১ ঘণ্টা ৩ মিনিট ধরে একটি বাস্কেটবল ম্যাচ খেলে গেছে। অর্থাৎ দলটি পাঁচ দিনের বেশি সময় ধরে টানা বাস্কেটবল খেলেছে।
ওই ম্যাচের মাধ্যমে দলটি তিন লাখ মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেছে। ওই অর্থ যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করার জন্য মানব পাচারের (সেক্স ট্রাফিকিং) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যবহার করা হবে।
তবে শুধু অর্থ সংগ্রহ নয়, এ কাজের মাধ্যমে ফেয়ারবার্নের দলটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডও গড়েছে।
সেক্স ট্রাফিকিংয়ের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বেঁচে ফেরা ব্যক্তিদের সাহায্য করতে এ ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল। ম্যাচটি শেষ হয় স্থানীয় সময় গত শুক্রবার সকাল ১০টায়। ৩ মিনিট ২০ সেকেন্ডের বেশি খেলে দলটি আগের রেকর্ড ভেঙেছে।
যেসব খেলোয়াড় ওই ম্যাচে অংশ নিয়েছেন, তাঁরা সবাই ম্যান অপোজিং সেক্স ট্রাফিকিংয়ের (এমওএসটি) সদস্য। এটি আটলান্টাভিত্তিক একটি অলাভজনক সংস্থা।
এমওএসটির প্রতিষ্ঠাতা ব্রুস স্টিল বলেছেন, ‘আমরা আজ এখানে, কিন্তু বিষয়টি সমাজের ভেতর থেকেই যাবে। অন্তত কিছু স্তরে আমরা এই সমস্যার সমাধানের অংশ হতে পারছি, এ জন্য আমরা ভীষণ আনন্দিত।’
মোট ২৩ জন খেলোয়াড় পাঁচ দিন ধরে এই ম্যারাথন বাস্কেটবল ম্যাচ খেলেছেন। খেলোয়াড়দের বয়স ছিল ১৭ থেকে ৬৪ বছরের মধ্যে। ম্যাচের পুরো সময় তাঁদের কোর্ট প্রাঙ্গণে থাকতে হয়েছে। তাঁরা পালাক্রমে খেলেছেন এবং ফাঁকে ফাঁকে অল্প সময়ের জন্য বিশ্রাম নিয়েছেন। যখন কেউ কোর্টের বাইরে সাইডলাইনে থেকেছেন, তখন খানিকটা ঘুমিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
পুরো ম্যাচে দুই দল ১০ হাজার করে পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। চূড়ান্ত স্কোর ছিল ১৩ হাজার ৯৬ ও ১২ হাজার ৯৭২।
এর আগে ২০২৪ সালে এমওএসটি সবচেয়ে বেশি সময় ধরে সফটবল খেলার রেকর্ড গড়েছিল। সেবারও তারা ১২১ ঘণ্টা খেলেছিল। সেক্স ট্রাফিকিং বন্ধে সাহায্য করতে পুরুষদের সচেতন করার উদ্দেশ্যে এবং পুরুষদের সক্রিয় করতে ২০২২ সালে এমওএসটির যাত্রা শুরু হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব স ক টবল
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার শপথ ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা যোদ্ধাদের
বিজয়ের মাস ঢাকায় এক হলেন একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর যোদ্ধারা; তাঁরা শপথ নিলেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষার।
আজ শনিবার ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গেরিলা যোদ্ধাদের এই মিলনমেলায় এই বাহিনীর জীবিত সদস্যদের পাশাপাশি শহীদ পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। দিনভর এই আয়োজন করে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন বিশেষ গেরিলা বাহিনী সমন্বয় কমিটি।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে আলাদা গেরিলা বাহিনী গঠন করে অংশ নিয়েছিলেন ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা। কয়েক হাজার গেরিলা যোদ্ধার এই বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফরহাদ। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বেতিয়ারার যুদ্ধে এই বাহিনীর সদস্যদের আত্মদান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে আলোচিত ঘটনা।
স্বাধীনতার পর এই গেরিলা বাহিনীর সদস্যরা মোহাম্মদ ফরহাদের নেতৃত্বে অস্ত্র সমর্পণ করেছিলেন। দেড় যুগ আগে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা করেছিল, তাতে এই বাহিনীর সদস্যদের রাখা হয়নি। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের গেরিলা বাহিনীর সদস্যদের মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
শহীদ মিনারে মিলনমেলার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি এই গেরিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন, স্বাধীনতার পর অনুষ্ঠিত প্রথম ডাকসু নির্বাচনে ভিপি হয়েছিলেন তিনি।
ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ শনিবার একাত্তরে ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ গেরিলা বাহিনীর মিলনমেলায় সিপিবির সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম