একটি বাস্কেটবল ম্যাচ চলে ৪০ মিনিট। কিন্তু জর্জিয়ার একটি দল টানা ১২১ ঘণ্টা ৩ মিনিট ধরে একটি বাস্কেটবল ম্যাচ খেলে গেছে। অর্থাৎ দলটি পাঁচ দিনের বেশি সময় ধরে টানা বাস্কেটবল খেলেছে।

ওই ম্যাচের মাধ্যমে দলটি তিন লাখ মার্কিন ডলার সংগ্রহ করেছে। ওই অর্থ যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করার জন্য মানব পাচারের (সেক্স ট্রাফিকিং) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্যবহার করা হবে।

তবে শুধু অর্থ সংগ্রহ নয়, এ কাজের মাধ্যমে ফেয়ারবার্নের দলটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডও গড়েছে।

সেক্স ট্রাফিকিংয়ের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং বেঁচে ফেরা ব্যক্তিদের সাহায্য করতে এ ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল। ম্যাচটি শেষ হয় স্থানীয় সময় গত শুক্রবার সকাল ১০টায়। ৩ মিনিট ২০ সেকেন্ডের বেশি খেলে দলটি আগের রেকর্ড ভেঙেছে।

যেসব খেলোয়াড় ওই ম্যাচে অংশ নিয়েছেন, তাঁরা সবাই ম্যান অপোজিং সেক্স ট্রাফিকিংয়ের (এমওএসটি) সদস্য। এটি আটলান্টাভিত্তিক একটি অলাভজনক সংস্থা।

এমওএসটির প্রতিষ্ঠাতা ব্রুস স্টিল বলেছেন, ‘আমরা আজ এখানে, কিন্তু বিষয়টি সমাজের ভেতর থেকেই যাবে। অন্তত কিছু স্তরে আমরা এই সমস্যার সমাধানের অংশ হতে পারছি, এ জন্য আমরা ভীষণ আনন্দিত।’

মোট ২৩ জন খেলোয়াড় পাঁচ দিন ধরে এই ম্যারাথন বাস্কেটবল ম্যাচ খেলেছেন। খেলোয়াড়দের বয়স ছিল ১৭ থেকে ৬৪ বছরের মধ্যে। ম্যাচের পুরো সময় তাঁদের কোর্ট প্রাঙ্গণে থাকতে হয়েছে। তাঁরা পালাক্রমে খেলেছেন এবং ফাঁকে ফাঁকে অল্প সময়ের জন্য বিশ্রাম নিয়েছেন। যখন কেউ কোর্টের বাইরে সাইডলাইনে থেকেছেন, তখন খানিকটা ঘুমিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

পুরো ম্যাচে দুই দল ১০ হাজার করে পয়েন্ট অতিক্রম করেছে। চূড়ান্ত স্কোর ছিল ১৩ হাজার ৯৬ ও ১২ হাজার ৯৭২।

এর আগে ২০২৪ সালে এমওএসটি সবচেয়ে বেশি সময় ধরে সফটবল খেলার রেকর্ড গড়েছিল। সেবারও তারা ১২১ ঘণ্টা খেলেছিল। সেক্স ট্রাফিকিং বন্ধে সাহায্য করতে পুরুষদের সচেতন করার উদ্দেশ্যে এবং পুরুষদের সক্রিয় করতে ২০২২ সালে এমওএসটির যাত্রা শুরু হয়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব স ক টবল

এছাড়াও পড়ুন:

ইসিকে নিশানা করে ‘অ্যাটম বোমা’ ফাটালেন রাহুল গান্ধী, এখনো বাকি ‘হাইড্রোজেন বোমা’

ভারতের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ভোটচুরির অভিযোগ এনে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, এটা ‘অ্যাটম বোমা’। তবে আরও ভয়ংকর তথ্য তিনি পরে আনবেন, যা ‘হাইড্রোজেন বোমার সমতুল্য’।

আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আবার বিস্ফোরক অভিযোগ এনে রাহুল বলেন, নির্বাচন কমিশনের মদদে কিছু লোক, সংস্থা ও কল সেন্টার সংগঠিতভাবে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বেছে বেছে কংগ্রেস, দলিত, আদিবাসী ভোটারদের নাম বাদ দিচ্ছে।

আজ সংবাদ সম্মেলন করে রাহুল বলেন, নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের মাধ্যমে নকল আবেদন করে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।

‘অ্যাটম বোমা’ ফাটানোর দিন রাহুল কর্ণাটকের মহাদেবপুরা বিধানসভা কেন্দ্রের ‘ভোট চুরির’ নমুনা পেশ করেছিলেন। আজ তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন কর্ণাটকেরই আলন্দ কেন্দ্রকে।

রাহুলের অভিযোগ, নকল আবেদনের মাধ্যমে ওই কেন্দ্রের ৬ হাজার ১৮ জন ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেসব কেন্দ্রে কংগ্রেস শক্তিশালী, বেছে বেছে সেসব কেন্দ্রকেই নিশানা করা হয়েছে। ভুয়া ভোটারের নাম তোলার পাশাপাশি বৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা সংগঠিতভাবে করা হচ্ছে। কর্ণাটক পুলিশ সেই বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলেও নির্বাচন কমিশন কোনো তথ্য দিচ্ছে না।

রাহুলের অভিযোগ, যাঁদের নামে আবেদন জানানো হচ্ছে এবং যাঁদের নাম মোছার আরজি জানানো হচ্ছে, তাঁদের কেউ–ই তা জানতে পারছেন না। সংবাদ সম্মেলনে এই ধরনের কিছু মানুষকে রাহুল হাজিরও করান।

কিছু নম্বরও দাখিল করে রাহুল বলেন, এসব নম্বর থেকে ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তাঁর প্রশ্ন, ওই নম্বরগুলোয় ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ‘ওটিপি’ কীভাবে গেল?

কংগ্রেস নেতা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু ঠিকানা থেকে নির্দিষ্ট ‘আইপি’ অ্যাড্রেস ব্যবহার করে নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। অভিযোগ তদন্ত করে দেখতে কর্ণাটক পুলিশের গোয়েন্দারা ইসির কাছে কিছু তথ্য চেয়েছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জ্ঞানেশ কুমার কোনো তথ্যই দেননি। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ইসি ভোটচোরদের আড়াল করছে।

রাহুল বলেন, কর্ণাটক সিআইডি ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া বিষয়ে তথ্য জানতে চেয়ে ইসিকে ১৮ বার চিঠি লিখেছে। অথচ একটি চিঠিরও জবাব ইসি দেয়নি। ইসিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাহুল বলেন, কমিশন স্বচ্ছ হলে এক সপ্তাহের মধ্যে কর্ণাটক সিআইডিকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করুক।

রাহুল মহারাষ্ট্রের রাজুরা বিধানসভা আসনের ভোটার তালিকা তুলে ধরে বলেন, সেখানে অনলাইনে ৬ হাজার ৮৫০ জনের নাম অবৈধভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে ভোটার তালিকায় এভাবে সংযোজন–বিয়োজন চলছে।

এর আগেও রাহুল নিশানা করেছিলেন সিইসি জ্ঞানেশ কুমারকে। আজও তিনি তাঁকে কাঠগড়ায় তোলেন। রাহুল বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করার বদলে তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেই চলেছেন। ভোট চুরি করাচ্ছেন। ভোটচোরদের রক্ষাও করছেন।

রাহুলের অভিযোগ এবারও খারিজ করে দিয়েছে ইসি। রাহুলের ডাকা সংবাদ সম্মেলনের পর আজ ইসি এক বিবৃতি দেয়। তাতে রাহুলের অভিযোগ ‘অসত্য ও ভিত্তিহীন’ জানিয়ে বলা হয়, অনলাইনে কেউ কোনো ভোটারের নাম বাদ দিতে পারেন না। নাম বাদ দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বক্তব্য শোনা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ