আসন্ন ঈদে সম্ভবত দুই সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে চিত্রনায়ক শাকিব খানের। কারণ নানা জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে ছাড়পত্রের জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে জমা পড়েছে ‘বরবাদ’। অন্যদিকে, এই ঈদেই মুক্তি পাচ্ছে শাকিবের আরেক সিনেমা ‘অন্তরাত্মা’ বলে নিশ্চিত করছেন সিনেমাটির প্রযোজক।

ঢালিউড পাড়ায় জোর গুঞ্জন ছিল, একাধিক জটিলতায় আটকে যেতে পারে ঈদের সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা ‘বরবাদ’। সিনেমাটি সার্টিফিকেশন বোর্ডে ছাড়পত্রের পেতে একাধিক নিয়মের বাধা পেরোতে হবে। সেই বাঁধা কাটিয় গতকাল রোববার মন্ত্রণালয়ের অনুমতিপত্র পেয়েছে সিনেমাটি। আর আজ সোমবার ছাড়পত্রের জন্য সিনেমাটি জমা পড়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে।

এই খবর নিশ্চিত করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল জলিল জানিয়েছেন, ছাড়পত্রের জন্য “বরবাদ” আমাদের কাছে জমা পড়েছে। আজই আমরা সিনেমাটি দেখব। দেখার পরপরই আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।’

অন্যদিকে, গেল শনিবার (২২ মার্চ) শাকিবের ৪ বছর আগের সিনেমা হুট করে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে জমা পড়েছে। সেটি ২০২১ সালে শেষ হওয়া শাকিব খানের ‘অন্তরাত্মা’। 

‘অন্তরাত্মা’ সিনেমাটির মুক্তির প্রসঙ্গে প্রযোজক সোহানী হোসেন বলছেন, ‘দীর্ঘ ৪ বছরের প্রতীক্ষার অবসান হচ্ছে। অবশেষে আমরা সিনেমাটি দর্শকদের সামনে নিয়ে আসছি। এটা ঈদুল ফিতরেই মুক্তি পাবে। সেন্সর সার্টিফিকেশন বোর্ডে জমা দিয়েছি। সিনেমাটি তারা দেখেছে ও প্রশংসা করেছে। আমরা দু–এক দিনের মধ্যেই সার্টিফিকেশন সনদ পাব। এখন সেভাবেই হলমালিক থেকে শুরু করে সবার সঙ্গে কথা হচ্ছে। তবে এটা নিশ্চিত, আমরা এই ঈদেই আসছি।’

‘অন্তরাত্মা’ পরিচালনা করেছেন ওয়াজেদ আলী সুমন এবং তরঙ্গ এন্টারটেইনমেন্টের ব্যানারে প্রযোজনা করেছেন সোহানী হোসেন। এতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন শাকিব খান ও দর্শনা বণিক। সিনেমাটি ২০২১ সালের ঈদুল ফিতর মুক্তির প্রাথমিক তারিখ নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে এক অজানা কারণে সিনেমাটি আর মুক্তি পাইনি। 

আর মেহেদী হাসান হৃদয় পরিচালিত ‘বরবাদ’–এ আরও অভিনয় করেছেন ইধিকা পাল, যিশু সেনগুপ্ত, শহীদুজ্জামান সেলিম, মিশা সওদাগর, ইন্তেখাব দিনার, মামুনুর রশীদ প্রমুখ। একটি আইটেম গানে থাকবেন কলকাতার নায়িকা নুসরাত জাহান। ছবির বড় অংশের শুটিং হয়েছে ভারতের মহারাষ্ট্রে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ড়পত র র বরব দ

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ে-তালাকের তথ্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক: হাইকোর্ট

বিয়ে ও তালাকের সব তথ্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।

আদালত বলেছেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাধ্যতামূলকভাবে নিবন্ধন করতে হবে, যাতে প্রতিটি তথ্য সরকারি ব্যবস্থায় সুরক্ষিত থাকে; ডেটাবেজ সম্পূর্ণ কার্যকর ও ব্যবহারযোগ্য হয় এবং নাগরিকেরা বিশেষ করে নারীরা সহজেই তথ্য যাচাই করতে ও ডিজিটাল কপি সংগ্রহ করতে পারেন।

বিবাহ ও তালাকের ক্ষেত্রে ডিজিটালাইজ রেজিস্ট্রেশনে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে এইড ফর ম্যান ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন এবং তিন ব্যক্তি ২০২১ সালের ৪ মার্চ রিট করেন।

রিট আবেদনের ভাষ্য, বিয়ে ও তালাকের ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর তথা ডিজিটালাইজ রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। স্বামী বা স্ত্রী বিয়ের তথ্য গোপন করে অনেক ক্ষেত্রে আবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ডিজিটাল আর্কাইভের অনুপস্থিতিতে অনেক সময় সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে অনিশ্চয়তা ও জটিলতা দেখা যায়।

রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ২৩ মার্চ হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে পারিবারিক জীবনের বৃহত্তর সুরক্ষায় বিয়ে ও তালাকের ক্ষেত্রে রেজিস্ট্রেশন ডিজিটালাইজেশনের জন্য কেন্দ্রীয় একটি ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। রুলের ওপর শুনানি শেষে আজ রায় দেওয়া হয়।

রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্ট বিয়ে ও তালাকের সব তথ্য পুরোপুরি ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিবন্ধন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। রুল নিষ্পত্তি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ বিবাদীদের প্রতি এ নির্দেশ দিয়ে রায় দেওয়া হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান, তাঁকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী তানজিলা রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ শফিকুর রহমান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।

রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, আদালতের এই সিদ্ধান্ত দেশে পরিবারের নিরাপত্তা, নারীর সুরক্ষা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, আইনগত স্বচ্ছতা এবং সবচেয়ে বড় বিষয় বিয়ে–তালাকসংক্রান্ত প্রতারণা বন্ধে ঐতিহাসিক এক পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে। ডিজিটাল নিবন্ধন চালু হলে গোপন বিয়ে, একাধিক বিয়ে লুকানো, পূর্ববর্তী তথ্য গোপন, তালাক প্রমাণের জটিলতা—এসব সমস্যা ব্যাপকভাবে কমবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিয়ে-তালাকের তথ্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিবন্ধন বাধ্যতামূলক: হাইকোর্ট