রাজশাহীতে জমি মাপা নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে হাঁসুয়ার কোপে ভগ্নিপতি নিহত হওয়ার ঘটনায় শ্যালককে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল সোমবার রাতে নগরের এয়ারপোর্ট থানার পালপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম আমিনুল ইসলাম ওরফে মিন্টু (৩৮)। তিনি শাহমখদুম থানার ভূগরইল এলাকার আবদুস সাত্তারের ছেলে। আজ মঙ্গলবার সকালে তাঁকে শাহমখদুম থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র‍্যাব। তাঁর বিরুদ্ধে শাহমখদুম থানায় হত্যা মামলা রয়েছে।

এর আগে শনিবার সকাল ১০টার দিকে নগরের শাহমখদুম থানার উত্তর নওদাপাড়া কালুর মোড় এলাকায় ভগ্নিপতি রুহুল আমিনকে (৪০) হাঁসুয়া দিয়ে কোপ দেন আমিনুল ইসলাম। সেদিন বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে রুহুলকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। এ ঘটনায় সেদিনই আমিনুলকে প্রধান আসামি করে রুহুল আমিনের বাবা মামলা করেন।

আমিনুলকে গ্রেপ্তার করার পর আজ মঙ্গলবার সকালে র‍্যাব–৫–এর অধিনায়কের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

র‍্যাব জানিয়েছে, গত শনিবার সকালে নিহত রুহুল আমিনের (৩৮) স্ত্রী শারমিন সুলতানার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমিজমা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটি হয়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে এজাহারনামীয় ২ নম্বর আসামি মো.

এনামুল (৫৫) রুহুল আমিনকে কিলঘুষি মারেন। এ সময় রুহুল আমিনকে শ্যালক আমিনুল হাঁসুয়া দিয়ে গলায় কোপ দেন। রুহুল আমিনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ হমখদ ম থ ন র হ ল আম ন আম ন ল

এছাড়াও পড়ুন:

গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’

এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’

এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ