তামিম ইকবালের জীবন রক্ষা করেছে সিপিআর, এটি কেন সবার জেনে রাখা জরুরি, কোথায় শিখবেন
Published: 26th, March 2025 GMT
সিপিআর বা কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন জীবন রক্ষাকারী এক কৌশল। এটি সাধারণত কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট বা হার্ট অ্যাটাক হলে জীবন রক্ষা করে। বাড়িতে, কর্মক্ষেত্রে, হাসপাতালে, রাস্তাঘাটে চলার পথে আপাতদৃষ্টে সম্পূর্ণ সুস্থ মানুষের যেকোনো সময়ে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হতে পারে। হঠাৎ এ রকম অসুস্থ হয়ে পড়ার সময় থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত এই সংকটাপন্ন সময়টায় কারও জীবন বাঁচানোর জন্য সিপিআর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২৪ মার্চ জনপ্রিয় ক্রিকেট তারকা তামিম ইকবাল হার্ট অ্যাটাক করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সিপিআর দেওয়া হয়েছিল বলেই দ্রুততম সময়ে চিকিৎসকেরা তাঁকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে পেরেছেন।
সিপিআর কখন এবং কাদের দিতে হবেযদি কারও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় অর্থাৎ আচমকা সংজ্ঞা হারানো কোনো ব্যক্তির যখন হৃদ্যন্ত্র সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গিয়ে ক্যারোটিড পালস না থাকে, তখনই দ্রুত সিপিআর শুরু করতে হবে। এ সময়ে আক্রান্ত ব্যক্তি শ্বাস না–ও নিতে পারেন বা শ্বাস-প্রশ্বাস অস্বাভাবিক হতে পারে। অনেক কারণেই কোনো ব্যক্তি অজ্ঞান হতে পারেন। তবে শুধু ক্যারোটিড পালস না থাকলেই বুঝতে হবে আক্রান্ত ব্যক্তির কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে।
আরও পড়ুনবয়স ত্রিশের পর গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা নাকি হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ০৭ আগস্ট ২০২৪সিপিআরের ধাপপ্রথমেই নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
আক্রান্ত ব্যক্তিকে জোরে জোরে ডাকতে হবে, কোনো সাড়া দেন কি না বোঝার জন্য।
ক্যারোটিড পালস অনুভব করার চেষ্টা করতে হবে।
শ্বাস নিচ্ছেন কি না, তা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। যদি আক্রান্ত ব্যক্তি সাড়া না দেন এবং ক্যারোটিড পালস না থাকে, তাহলে সিপিআর শুরু করতে হবে।
চিত হয়ে শুয়ে থাকা কোনো মানুষের গলায় উঁচু হয়ে থাকা হাড় থেকে বাঁয়ে বা ডানে স্লাইড করে এলে যে ধমনি আঙুলে অনুভব করা যায়, সেটিই ক্যারোটিড পালস। তবে একই সঙ্গে অবিলম্বে জরুরি সেবাকেন্দ্রে ফোন করে সাহায্য চাইতে হবে। এর জন্য সর্বোচ্চ ১০ সেকেন্ড সময় ব্যয় করা যাবে।
আরও পড়ুনহার্ট অ্যাটাকের ৬টি লক্ষণ এবং হার্ট অ্যাটাক হলে সঙ্গে সঙ্গে যা করবেন২৪ মার্চ ২০২৫যেভাবে সিপিআর দিতে হবেক্যারোটিড পালস না থাকলে সিপিআর শুরু করতে হবে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক য র ট ড প লস ন স প আর
এছাড়াও পড়ুন:
নেতানিয়াহু অঞ্চলজুড়ে আগুন লাগাতে চাইছেন: ইরানের প্রেসিডেন্টকে এরদোয়ান
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু পুরো মধ্যপ্রাচ্যে আগুন লাগাতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, নেতানিয়াহু ইরানে হামলা চালিয়ে পারমাণবিক আলোচনায় ব্যাঘাত ঘটিয়েছেন। গতকাল শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে এক ফোনালাপে এরদোয়ান এ কথাগুলো বলেছেন।
এরদোয়ানের দপ্তরের দেওয়া এক বিবৃতি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইরানি প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান বলেছেন, গাজায় হওয়া জাতিগত হত্যার ঘটনা থেকে বিশ্বের দৃষ্টি সরাতে ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ইরানি প্রেসিডেন্ট ছাড়াও সৌদি আরব, পাকিস্তান, জর্ডান ও মিসরের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও কথা বলেছেন এরদোয়ান। ইসরায়েল-ইরান সংঘাত এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।
শনিবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে ফোনালাপে এরদোয়ান সতর্ক করে বলেন, নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন ইসরায়েলই এখন এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। তুরস্ক সরকারের যোগাযোগবিষয়ক দপ্তরের বিবৃতি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দপ্তরের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, এরদোয়ান মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। সিসিকে এরদোয়ান বলেন, ইসরায়েলের হামলা গভীরভাবে আঞ্চলিক নিরাপত্তা ক্ষুণ্ন করেছে। আইনের তোয়াক্কা না করার যে মনোভাব নেতানিয়াহুর মধ্যে দেখা গেছে তা বিশ্বের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকির।
এরদোয়ান আরও সতর্ক করেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বরং পুরো বিশ্বের নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।