বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখার আহ্বায়ক সুলতানুস ছালেহীন ও সদস্যসচিব জিসানুর রহমান জিসান পদত্যাগ করেছেন। ব্যক্তিগত কারণে তারা পদত্যাগ করেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তাদের ব্যক্তিগত আইডিতে পদত্যাগের বিষয়ে পোস্ট করেন। 

জানা যায়, ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থানে জামালপুরের বকশীগঞ্জে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের মধ্যে সুলতানুস ছালেহীন ও জিসানুর রহমান জিসান ছিলেন অন্যতম। আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সুলতানুস ছালেহীনকে আহ্বায়ক ও জিসানুর রহমান জিসানকে সদস্যসচিব করে ১৬১ সদস্যের বকশীগঞ্জ উপজেলার শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি অনুমোদন করেন জামালপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক মীর ইসহাক হাসান ইখলাস ও সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল আবিদ সৌরভ। দায়িত্ব পাওয়ার দেড় মাসের মধ্যে পদ ছাড়লেন কমিটির শীর্ষ এই দুই নেতা। 

এ বিষয়ে জিসানুর রহমান জিসান বলেন, ‘উপজেলার সদস্যসচিব হিসেবে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছি। এই সংগঠনের সঙ্গে থাকতে পেরে গর্ববোধ করছি। তবে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছি। যারা আমার সঙ্গে ছিলেন, সহযোগিতা করেছেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং সংগঠনের সফলতা কামনা করছি।’ 

সুলতানুস ছালেহীন বলেন, ব্যক্তিগত কারণেই দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছি। জুলাই আন্দোলনের পর বিভিন্ন নৈতিক দাবি নিয়ে কাজ করেছি। দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে রাজপথে থেকেছি। সংগঠনে জড়ানোর পর মনের ভুলে যদি কাওকে কষ্ট দিয়ে থাকি ক্ষমা করে দেবেন। দেশের স্বার্থে রাজপথে এসেছিলাম ব্যক্তি স্বার্থে নয়। তাই আমি মনে করি এখন পরিবার এবং নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবার সময় হয়েছে। এছাড়া পদে থাকলে অসৎপথ অবলম্বন করার সম্ভাবনা থাকে। তাই আমার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া। যারা পাশে ছিলেন তাদের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ আজীবন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জামালপুর জেলার আহ্বায়ক মীর ইসহাক হাসান ইখলাস বলেন, সুলতানুস ছালেহীনের পদত্যাগের বিষয়টা জানি। তবে সদস্যসচিব জিসানের বিষয়টি জানা নেই। পদত্যাগপত্র দিয়ে থাকলে তার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পদত য গ জ স ন র রহম ন জ স ন সদস যসচ ব পদত য গ কর ছ ন সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।

এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’

‎বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন

‎জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।

‎তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।

‎কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।

‎পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”

‎অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, ‎যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ