ভারত থেকে আসছে আরও ৫০ হাজার টন চাল, প্রস্তাব অনুমোদন
Published: 27th, March 2025 GMT
ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন নন বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানি করা হচ্ছে। এতে ২ কোটি ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার অর্থাৎ বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৫৯ কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যয় হবে। ভারতের বগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড এ চাল সরবরাহ করবে। প্রতি টন চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২৪ দশমিক ৭৭ মার্কিন ডলার।
আজ বৃহস্পতিবার দেশের খাদ্য মজুত বৃদ্ধি করতে এ–বিষয়ক প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকারি ক্রয়–সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত সেই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
দুই সপ্তাহ আগে ১৪ মার্চ ভারতের এস পাত্তাভী অ্যাগ্রো ফুডস প্রাইভেট লিমিটেডের কাছ থেকেও ৫০ হাজার টন নন বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছিল ক্রয় কমিটি। তখন প্রতি টন চালের দাম ধরা হয়েছিল ৪২৯ দশমিক ৫৫ মার্কিন ডলার। সেই হিসাবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে চালের আমদানি দাম একটু কম পড়ছে।
এক মাসের একটু বেশি আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি একই ধরনের চাল আমদানির দাম ছিল প্রতি টন ৪৩৪ দশমিক ৫৫ মার্কিন ডলার। ভারতের পাশাপাশি পাকিস্তান, ভিয়েতনাম ও সিঙ্গাপুর থেকেও চাল আমদানি করছে বাংলাদেশ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ ল আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসুর বিবৃতি: বিএনপি তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে
জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে, এমন বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। রোববার বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই বিপ্লব ছিল বৈষম্য, অবিচার ও ফ্যাসিবাদী শাসনকাঠামোর বিরুদ্ধে এ দেশের সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার সম্মিলিত বিপ্লব। শুধু সরকার পরিবর্তন নয়, বরং রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ ও একটি বৈষম্যহীন-ন্যায়ভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আকাঙ্ক্ষা ছিল বিপ্লবের মূল ভিত্তি। নতুন প্রজন্ম চেয়েছিল এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে কোনো প্রকার বৈষম্য ও রাজনৈতিক একচেটিয়া কর্তৃত্বের জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে জুলাই সনদে সই করলেও বিএনপি ধারাবাহিকভাবে সংস্কার কার্যকর করার বিরোধিতা করে তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।
ডাকসুর বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিশেষত বিএনপি এমন সব মৌলিক সংস্কারের বিরোধিতা করেছে, যা সরাসরি ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। পিএসসি, দুদক, ন্যায়পাল ও মহাহিসাব নিরীক্ষকের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত নিরপেক্ষ নিয়োগ নিশ্চিত করার সংস্কার প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে তারা ক্ষমতার একচ্ছত্র দখলদারি বহাল রাখতে চায়। কোনো রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা বা প্রাতিষ্ঠানিক প্রভাব রাষ্ট্রগঠনমূলক সংস্কারের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে ছাত্র-জনতা সেই বাধা অতিক্রমে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেবে।