আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৪-১ গোলে হারের পর থেকেই চলছে দরিভাল জুনিয়রের বিদায়ের ক্ষণগণনা। যেকোনো মুহূর্তে হয়তো তাঁর বিদায়ের ঘোষণাও হয়তো চলে আসবে। এমনকি দরিভালের বিদায়ের পর কার্লো আনচেলত্তির ব্রাজিল দলের দায়িত্ব নেওয়াও নাকি অনেকটা নিশ্চিত। এখন অপেক্ষা শুধু আনুষ্ঠানিকতাটুকু সম্পন্ন হওয়ার।

তবে এরপরও ‘যদি’ ও ‘কিন্তু’ থেকে যায়। এর আগেও একবার আনচেলত্তিকে রিয়ালের ডাগআউটে দেখে ফেলেছিলেন অনেকে। কিন্তু সব যখন ঠিকঠাক মনে হচ্ছিল, তখন উল্টে যায় পাশার দান।

নাটকীয়ভাবে আনচেলত্তি চুক্তি নবায়ন করেন রিয়ালের সঙ্গে আর আকস্মিকভাবে ব্রাজিলের কোচের পদে আসেন দরিভাল। এবার তাই আনচেলত্তিকে কোচ হিসেবে বিবেচনায় রেখে ‘প্ল্যান বি’ও সাজিয়ে রেখেছে ব্রাজিল। যেখানে কোচ হিসেবে দ্বিতীয় যে ব্যক্তি বিবেচনায় আছেন, তিনি হোর্হে জেসুস। ব্রাজিলের ফুটবল সংস্কৃতি সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণাও আছে জেসুসের।

আরও পড়ুনআর্জেন্টিনার কাছে হেরে চাকরি যাওয়ার অবস্থা ব্রাজিল কোচের২৬ মার্চ ২০২৫

আনচেলত্তির রিয়ালের ডাগআউটে আসার পথে বড় বাধা হতে পারে রিয়ালের সঙ্গে এই ইতালিয়ান কোচের চুক্তি। রিয়ালের সঙ্গে আনচেলত্তির চুক্তি ২০২৬ সাল পর্যন্ত। আর এই চুক্তির কারণে তাঁর ব্রাজিলে আসাটা জটিলও হয়ে উঠতে পারে।

পর্তুগিজ কোচ হোর্হে জেসুস.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফারইস্টের সাবেক চেয়ারম্যান খালেক ৩ দিনের রিমান্ডে

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্সের ভবন নির্মাণের নামে জমি কেনাবেচার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান এম এ খালেককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। পাশাপাশি তাঁর ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ দুদকের আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে আজ সোমবার এই আদেশ দেন।

ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির ৪৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ৩১ জুলাই প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, এম এ খালেকসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর তরিকুল ইসলাম জানান, ফারইস্টের ভবন নির্মাণের নামে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে করা মামলায় এম এ খালেককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। পাশাপাশি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক মশিউর রহমান এ আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে রাজধানীর তোপখানা রোডের একটি জমি ও স্থাপনা অনিয়ম করে ২০৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকায় কেনাবেচা করেন। পরে বিক্রেতার কাছ থেকে ৪৫ কোটি টাকা অন্যত্র স্থানান্তর করেন। এই অর্থের অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান গোপন করতে বিভিন্ন ব্যাংকে স্থানান্তর করে অপরাধ করা হয়েছে। ওই অর্থের মধ্যে বিক্রেতাদের যোগসাজশে ১০ কোটি টাকা ওয়ান ব্যাংক লি. মতিঝিল শাখায় পাঠানোর মধ্য দিয়ে এম এ খালেক আত্মসাৎ করেন। অন্যদিকে ২০১৫ সালের ২৪ মার্চ বিক্রেতা আজহার খানের কাছ থেকে নিজ নামে ৫ কোটি টাকা, স্ত্রী সাবিহা খালেকের নামে আড়াই কোটি টাকা এবং মেয়ে সারওয়াত সিমিন খালেকের নামে প্রায় ৮ কোটি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে গ্রহণ করে আত্মসাৎ করেছেন। এসব অর্থ আত্মসাৎ প্রক্রিয়ায় আর কারা সহযোগী হিসেবে ছিলেন, সেটা জানতে এম এ খালেককে ৭ দিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

আরও পড়ুনফারইস্টের সেই খালেকের ১৫০ কোটি টাকার বাড়ি জব্দ১১ জানুয়ারি ২০২৩

সম্পর্কিত নিবন্ধ