বন্দরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ঘরবাড়ি ভাংচুর, লুটপাট : যুবদল নেতাসহ আহত ১০
Published: 29th, March 2025 GMT
বন্দরে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ওই সময় হামলাকারিদের বাধা দিতে গিয়ে বন্দরে ২৬ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি সফর আলী (৫০) সহ কমপক্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন রক্তাক্ত জখম হয়েছে।
আহতদের মধ্যে ইছাক (৪০) রশিদ (৪০) জহিরুল (৩২) শফিকুল (৪৫) মামুন (৩৫) ও বেলায়েত (১৬) এর নাম জানাগেলেও অন্য আহতদের নাম পরিচয় তাৎক্ষনিক ভাবে জানা যায়নি । স্থানীয়রা তাদের মারাত্মক জখম অবস্থায় উদ্ধার করে বন্দর ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় বন্দর থানার ২৬ নং ওয়ার্ডের রামনগর ইস্পাহানী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। ওই সময় হামলাকারি রাসেল, আল আমিন, আমানত, জিসান, মনির ও মামুন ডাকাতসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৭ জন বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাংচুর চালিয়ে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় আহত সাবেক যুবদল নেতার স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার বাদী হয়ে শনিবার (২৯ মার্চ) দুপুরে উল্লেখিতদের আসামি করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ২৬নং ওয়ার্ড সোনাচড়া এলাকার মৃত মো.
পরবর্তীতে বেশ কিছু দিন ধরে সকল বিবাদীরা মৃত মো. আলীর স্ত্রী কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিল । চাঁদা দাবির ঘটনা জানতে পেরে বাদিনী স্বামী যুবদল নেতা সফর আলী এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে চাঁদাবাজ রাসেল ও আলামিন গংদের সাথে বাকবিতন্ড ও তর্কাতর্কী হয়।
এর ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টায় রামনগর ইস্পাহানী এলাকার মতি মিয়ার ছেলে চাঁদাবাজ রাসেল একই এলাকার মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে আল আমিন, মৃত আল ইউনুছ মিয়ার ছেলে আমানত ও একই এলাকার আকবর ডাকাতের ২ ছেলে মনির ও মামুন ডাকাতসহ অজ্ঞাত নামা ৫/৭ জন সন্ত্রাসী ধারালো দেশীয় অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে যুবদল নেতা সফর আলী বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বসত বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
ওই সময় হামলাকারিরা বেশ কয়েকটি বসত ঘর ব্যাপক ভাংচুর করে ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। ওই সময় হামলাকারিদের বাধা দিতে গিয়ে সাবেক যুবদল নেতাসহ ৭ জন রক্তাক্ত জখম হয়।
সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে । এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ গুলো তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ঘর ষ স ঘর ষ ন র য়ণগঞ জ য বদল ন ত স ঘর ষ এল ক র ঘটন য় র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।