ঈদে র্যাবের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
Published: 29th, March 2025 GMT
র্যাব-১০ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিশেষ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শনিবার (২৯ মার্চ) সকালে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক ও অ্যাডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “ঈদুল ফিতরের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে র্যাব সদস্য মোতায়েন, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কন্ট্রোল রুম স্থাপন, বিশেষ বিশেষ রাস্তায় ও মোড়ে চেকপোস্ট স্থাপন, জাল টাকা বিস্তার রোধ ও শনাক্তকরণ এবং ট্রাফিক জ্যাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া সাইবার জগতে নজরদারি করছে র্যাব-১০। রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ঈদকে সামনে রেখে দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীদের পদচারণায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। সদরঘাট থেকে ৫০টি রুটে ১৭৫টি যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করবে। নৌপথে নির্বিঘ্ন যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত ও হয়রানি রোধে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা ও বুড়িগঙ্গা নদীতে র্যাব-১০ এর সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছে এবং সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
৯ দিনের ছুটি, ফাঁকা হচ্ছে নরসিংদী
ঢাকাকে গুরুত্ব দিয়ে ঈদ-নিরাপত্তায় বিশেষ তৎপরতা
এছাড়া ঈদকেন্দ্রিক দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক, ঈদের ছুটি শেষে ঢাকামুখী বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষের যাতায়াত ও নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, ধোলাইপাড়, শ্যামপুর, ওয়ারী, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও মাওয়া ঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে ১০টি টিম ও সাদা পোশাকে ১০টি টিম নিয়োজিত রয়েছে।
ভ্রমণকালে নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা বিবেচনায় রেখে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে বাসের ছাদে কিংবা ট্রাক, পিকআপসহ অন্যান্য পণ্যবাহী যানবাহনে একই সঙ্গে লঞ্চ-স্টিমার-স্পিডবোটসহ অন্যান্য নৌযানে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেছে র্যাব।
ঢাকা/এমআর/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।