ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দল ও যুবদলের উদ্যোগে অসহায় ও অস্বচ্ছল মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার বিকেলে ফতুল্লার চৌধুরী বাড়ী পারিবারিক মিলনায়তন মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। 

স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাকির হোসেন রবিনের সভাপতিত্বে ফতুল্লা থানা যুবদলের আহবায়ক আব্দুল খালেক টিপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধূরী, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক।

ঈদ সামগ্রী বিতরণের পূর্বে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের নিদের্শ দিয়েছেন সাধারণ মানুষের পাশে থাকার জন্য। তাঁর নিদের্শে আপনাদের পাশে এসেছি। আমরা তারেক রহমানের বার্তা নিয়ে আপনাদের সামনে এসেছি।

বিগত দিনে উন্নয়নের নাম দিয়ে টাকা এনে জনগণের উন্নয়নে কাজ করেনি, তারা উন্নয়নের নামে টাকা এনে বিদেশে পাচার করেছে।

তিনি বলেন, বিগত দিনে ফতুল্লায় কোন উন্নয়ন হয়নি। ১ঘন্টা বৃষ্টি হলে বাড়ি-ঘর পানির নিচে চলে যায়। সঠিক কাজ হলে এমনটা হওয়ার কথা নয়। বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে ফতুল্লাবাসীর এ দু:খ আমরা লাঘবের চেষ্টা করবো।

নির্বাচন প্রসঙ্গে মামুন মাহমুদ বলেন, নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র হতে পারে। কারণ ৮ মাসেও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে পারেনি। উন্নয়ন কর্মকান্ড করতে হলে নির্বাচনের প্রয়োজন। প্রতিটি জায়গায় নির্বাচন হতে হবে। আজকে চেয়ারম্যান, মেম্বার নাই।

কার কাছে গিয়ে সমস্যার কথা বলবো। এ জন্যই নির্বাচন দরকার। জনগণকে নিয়ে বিএনপি কাজ করছে, অন্যদলগুলো নিজেদের স্বার্থে কাজ করছে। বিএনপি জনগণের জন্য কাজ করেছে, জীবন দিয়েছে। প্রয়োজনে আমরা আবারও জীবন দিবো।

অনুষ্ঠানে অন্যানদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী,  কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক জুয়েল আরমান, ফতুল্লা থানা শ্রমিক দলের আহবায়ক শাহ আলম পাটোয়ারী, সদস্য সচিব আল আমিন, ফতুল্লা থানা তাঁতি দলের আহবায়ক ইউনুস মাস্টার, সদস্য সচিব ইমন প্রমূখ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: য বদল ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ঈদ য বদল র ব এনপ র ক জ কর ব তরণ

এছাড়াও পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র ১২৭ রানে অলআউট হয়েছিল জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আরও কম, ১২৫ রানে। কিন্তু রোববার (০২ নভেম্বর) তারা চোখে চোখ রেখে লড়াই করল আফগানিস্তানের বিপক্ষে।

আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে আফগানদের করা ২১০ রানের জবাবে জিম্বাবুয়ে ২০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে হার মানে মাত্র ৯ রানে। দুই ইনিংসে রান হয়েছে মোট ৪১১টি। যা আফগানিস্তান ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ।

আরো পড়ুন:

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

ফাইনালে দ. আফ্রিকাকে ২৯৯ রানের টার্গেট দিল ভারত

স্বাগতিকরা থেমে থেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও ব্রিয়ান বেনেট, সিকান্দার রাজা, রায়ান বার্ল ও তাশিনগা মুসেকিওয়ার ব্যাটে লড়াই করে শেষ বল পর্যন্ত। বেনেট ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৪৭ রান। অধিনায়ক রাজা ৭টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বার্ল ১৫ বলে ৫ ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। আর মুসেকিওয়া ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৮ রান।

বল হাতে আফগানিস্তানের আব্দুল্লাহ আহমদজাই ৪ ওভারে ৪২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ফজল হক ফারুকি ৪ ওভারে ২৯ রানে ২টি ও ফরিদ আহমদ ৩ ওভারে ৩৮ রানে নেন ২টি উইকেট।

তার আগে উদ্বোধনী জুটিতে আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান ১৫.৩ ওভারে ১৫৯ রানের জুটি গড়েন। এই রানে গুরবাজ আউট হন ৪৮ বলে ৮টি চার ও ৫ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস খেলে। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ১৬৩ রানের মাথায় ইব্রাহিম আউট হন ৭টি চারে ৬০ রান করে। এরপর সেদিকুল্লাহ অটল ১৫ বলে ২টি চার ও ৩ ছক্কায় অপরাজিত ৩৫ রানের ইনিংস খেলে দলীয় সংগ্রহকে ২১০ পর্যন্ত নিয়ে যান।

বল হাতে জিম্বাবুয়ের ব্রাড ইভান্স ৪ ওভারে ৩৩ রানে ২টি উইকেট নেন। অপর উইকেটটি নেন রিচার্ড এনগ্রাভা।

৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন গুরবাজ। আর মোট ১৬৯ রান করে সিরিজ সেরা হন ইব্রাহিম জাদরান।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ