বগুড়ায় মদ পানের পর অসুস্থ হয়ে মো. রাসেল (৩৫) ও মো. আওরঙ্গজেব ওরফে চিংটু (৪০) নামের দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে ছয়-সাত ঘণ্টার ব্যবধানে তাঁরা মারা যান। তাঁদের দুজনের বাসা বগুড়া শহরের ঠনঠনিয়া হাড়িপাড়া এলাকায় বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

আওরঙ্গজেব গতকাল সন্ধ্যায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে এবং রাসেল দিবাগত রাত তিনটার দিকে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়  মারা যান। এ ঘটনায় সনি (৪৫) নামের আরও এক ব্যক্তি গুরুতর অসুস্থ হয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মারা যাওয়া আওরঙ্গজেব ঠনঠনিয়ার হাড়িপাড়া এলাকার মৃত মোয়াজ্জেম হোসেনের ছেলে এবং রাসেল হাড়িপাড়ার বটতলা এলাকার মৃত আবু তালেবের ছেলে। চিকিৎসাধীন সনি ঠনঠনিয়ার হাড়িপাড়ার জয়দেব চন্দ্রের ছেলে।

বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, অতিরিক্ত মদ পানে অসুস্থ হয়ে গতকাল রাতে ঠনঠনিয়া হাড়িপাড়া এলাকায় দুজনের মৃত্যু হলেও পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি গোপন রাখা হয়। আজ শনিবার দফায় দফায় মারা যাওয়া দুজনের বাসায় পুলিশ পাঠানো হলেও মদ পানে মৃত্যুর বিষয়টি চেপে যায় পরিবার। পরে হাসপাতালের ডেথ সার্টিফিকেট (মৃত্যুসনদ) দেখে মদ পানে রাসেল ও আওরঙ্গজেব নামের দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

ওসি আরও বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে শহরের ঠনঠনিয়া এলাকায় কয়েকজন বন্ধু মিলে মদ পানের পর তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে জানা যায়। তবে অতিরিক্ত মদ পানে নাকি বিষাক্ত মদ পানে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ প্রথম আলোকে বলেন, মদ পানে অসুস্থ মো.

রাসেলকে গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ৩টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ছাড়া মদ পানে অসুস্থ সনি নামের আরও একজনকে আজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থাও সংকটাপন্ন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মদ প ন দ জন র গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

শাহবাজ শরিফ–জয়শঙ্করকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন, কী বললেন

কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। গতকাল বুধবার দুজনকে ফোন করেন তিনি। এ সময় হামলার ঘটনা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনা কমানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন রুবিও।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেন, শাহবাজ শরিফের সঙ্গে ফোনকলে পেহেলগামে হামলার ‘নিন্দা জানানোর প্রয়োজনীতা নিয়ে’ কথা বলেন রুবিও। একই সঙ্গে ‘অযৌক্তিক’ এই হামলার তদন্তে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সহযোগীতার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে করা আলাদা একটি ফোনকলে নয়াদিল্লির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি পেহেলগামে হামলার পেছনে পাকিস্তানের হাত আছে বলে ভারত যে অভিযোগ তুলেছে এবং প্রতিশোধের যে হুমকি দিচ্ছে—এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানান তিনি।

ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় যে প্রাণহানি হয়েছে, তা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী (রুবিও)। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করার যুক্তরাষ্ট্রের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে, তা–ও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। একই সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করার জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ