মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার সরকারের আরোপিত শুল্কের কারণে গাড়ি নির্মাতারা দাম বাড়ালে তার কিছু যায় আসে না। আসলে, কর আরোপের মাধ্যমে তিনি তাদের উৎসাহিত করছেন।

আমদানি করা গাড়ি ও যন্ত্রাংশের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার পর দাম বৃদ্ধি এড়াতে তিনি কি গাড়ি নির্মাতাদের উপর চাপ দিয়েছিলেন কিনা এনবিসি নিউজ জানতে চাইলে ট্রাম্প তা অস্বীকার করেন। 

ট্রাম্প বলেন, “না, আমি কখনোই তা বলিনি। তারা দাম বাড়ালেও আমার কিছু যায় আসে না, কারণ মানুষ আমেরিকান গাড়ি কিনতে শুরু করবে।”

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছিল, ট্রাম্প চলতি মাসে গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীর সাথে ফোনে কথা বলেছেন। আমদানি করের কারণে দাম বাড়ালে তিনি আরো বেশি শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।

ট্রাম্প শনিবার জানিয়েছেন, তিনি আশা করেন যে তার শুল্কের ফলে আমদানি করা গাড়ির দাম বৃদ্ধি পাবে। কারণ এটি গাড়ি নির্মাতাদের তাদের গাড়ি ও যন্ত্রাংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি করতে উৎসাহিত করবে এবং গ্রাহকদের আমেরিকান গাড়ি কিনতে রাজি করাবে।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম র ক

এছাড়াও পড়ুন:

লাকসামে অস্ত্রের মুখে এতিমখানার ৫ গরু লুট, আহত ৮

কুমিল্লার লাকসামে একটি এতিমখানার খামার থেকে গত শুক্রবার পাঁচটি গরু লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল। এ সময় তাদের হামলায় মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আটজন আহত হন। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ থানায় মামলা করেছে।

গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের বড়বাম আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদরাসা ও এর সংলগ্ন এতিমখানার খামারে ঘটনাটি ঘটে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু লুট করেছিল ডাকাতরা।

আরো পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে বোমা-গুলি, শিক্ষক নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলা: গুলিবিদ্ধ যুবকের মৃত্যু

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়।

এলাকাবাসী জানান, মাদরাসার আয় এই খামারের মাধ্যমে হয়। তিন মাসের ব্যবধানে দুই দফা ডাকাতি হওয়ায় শিক্ষক ও ছাত্রদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। খামারের বড় গরুগুলো লুট হয়ে যাওয়ায় এক পাশ ফাঁকা পড়ে আছে। বর্তমানে খামারে ১১টি গরু অবশিষ্ট রয়েছে।

খামারের সামনে পড়ে আছে ডাকাত দলের ব্যবহৃত তুষের বস্তা, যা দিয়ে গরুগুলো পিকআপ ভ্যানে তোলে তারা। গরু উদ্ধার এবং ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

মামলার বাদী এবং মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন জানান, গত শুক্রবার ভোরে একদল ডাকাত দুটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে এসে অস্ত্রের মুখে মাদরাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে। শিক্ষকদের মারধর করে তাদের মোবাইল ফোন নিয়ে যায় ডাকাতরা। তারা খামারে ঢুকে কেয়ারটেকার উৎসব হোসেনকে বেঁধে একে একে পাঁচটি গরু পিকআপ ভ্যানে তুলে নেয়। শিক্ষক ও ছাত্রদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়।

মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা শরীফুল আলম খন্দকার জানান, খামারের আয়ের ওপর ভিত্তি করে মাদরাসার কার্যক্রম চলে। তিন মাস আগেও এই খামারের সাতটি গরু নিয়ে যায় ডাকাতরা।

লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা বলেন, “লুট হওয়া গরু উদ্ধার এবং ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। মাদরাসার শিক্ষক ইমরান হোসাইন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন।”

ঢাকা/রুবেল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ