রাশিয়ার ড্রোন হামলায় ইউক্রেনে ২ জন নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার রাতে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে এই হামলা হয়। এ ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে অংশীজনদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই ড্রোন হামলায় একটি সামরিক হাসপাতালসহ আরও কিছু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খারকিভের মেয়র ইহর তেরেখভ বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচটি শিশু রয়েছে। তিনি জানান, এই হামলায় বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন ও যুদ্ধ শরণার্থীদের একটি আবাসিকস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ড্রোন হামলায় আহতদের একজন ২২ বছর বয়সী অ্যান্টন বলেন, তিনি দৌড়ে ভবনের একটি কক্ষে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এ সময় ড্রোন থেকে তাঁর দিকে ধাতব ধারালো জিনিস আসতে থাকে। এ ঘটনায় তাঁর বাঁ হাতে বড় ধরনের ব্যান্ডেজের প্রয়োজন হয়েছে।

ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, খারকিভের পাশাপাশি শনিবার রাতভর সুমি, ওদেসা ও দোনেৎস্ক অঞ্চলে ১১১টি ড্রোন ও ১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। এর মধ্যে তারা ৬৫টি ড্রোন ভূপাতিত ও ৩৫টি ড্রোনের হামলা ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জরুরি পরিস্থিতিতে প্রাথমিক চিকিৎসা

প্রতিনিয়ত জরুরি পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় আমাদের। অনেক সময় ভ্রান্ত ধারণায় পড়ে এ পরিস্থিতিতে আরও বড় ধরনের ভুল করে ফেলি আমরা। সে ক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতিতে কী করবেন আর কী করবেন না, তা জেনে রাখা ভালো।

যেমন–

পুড়ে গেলে : গরম তেল পড়ে হোক বা  আগুনে পুড়ে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে পোড়া স্থানে পেস্টের আস্তরণ দিই। অনেকে ডিম ভেঙে দেন, কেউ বা লাগান চুন। এগুলো ক্ষতিকর। পুড়ে গেলে ঠান্ডা পানির ধারা রাখতে পারেন ১০ মিনিট; অন্য কোনো কিছু নয়। 

ব্যথা পেলে : হাড় ভাঙলে নড়াচড়া না করে ভাঙা স্থানের দু’পাশে কাঠ দিয়ে বেঁধে হাসপাতালে আনতে হবে।

রক্ত ধুয়ে ফেলা নয় : রক্তপাত হতে থাকলে পরিষ্কার কাপড় বা গজ-ব্যান্ডেজ দিয়ে বেঁধে দিন। বেশি কেটে গেলে বা রক্তপাত ১০ মিনিটের মধ্যে বন্ধ না হলে হাসপাতালে নিতে ভুলবেন না।

নাক দিয়ে রক্ত পড়লে : আক্রান্ত ব্যক্তিকে সামনের দিকে সামান্য ঝুঁকে বসাতে হবে। বাঁ হাতের বুড়ো আঙুল ও অনামিকা দিয়ে নাসারন্ধ্র টানা ১০ মিনিট বন্ধ রাখতে হবে। এ সময় মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হবে। বরফ নাকের ওপরে দেওয়া যেতে পারে। যদি একটানা ১০ মিনিট নাসারন্ধ্র চেপে ধরে রাখার পরও রক্ত বন্ধ না হয়, দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে।

সাপে কাটলে : সাপে কাটার স্থানের কিছু ওপরে আমরা শক্ত বাঁধন দিই। এতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে হাত-পা পচে যেতে পারে। বাঁধন দিতে হবে, তবে রশি দিয়ে নয়; গামছা, কাপড় দিয়ে ঢিলে করে বাঁধলেই চলবে। 

বিষপানে নয় গোবরপানি : বিষ পান করলে অনেকে গোবরমিশ্রিত পানি পান করিয়ে বমি করার চেষ্টা করেন। এটি ভ্রান্ত ধারণা। যদি বিষপান করা ব্যক্তি অচেতন বা অবচেতন থাকে, তাহলে বমি ফুসফুসে চলে যেতে পারে; যা গুরুতর। বিষপানের এক ঘণ্টার মধ্যে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।

লেখক : সহকারী অধ্যাপক, ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টারভেনশনাল নিউরোলজি, নিনস

সম্পর্কিত নিবন্ধ