ইউক্রেনে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় নিহত ২, আহত ৩৫
Published: 31st, March 2025 GMT
রাশিয়ার ড্রোন হামলায় ইউক্রেনে ২ জন নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার রাতে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে এই হামলা হয়। এ ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে অংশীজনদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই ড্রোন হামলায় একটি সামরিক হাসপাতালসহ আরও কিছু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খারকিভের মেয়র ইহর তেরেখভ বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচটি শিশু রয়েছে। তিনি জানান, এই হামলায় বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবন ও যুদ্ধ শরণার্থীদের একটি আবাসিকস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ড্রোন হামলায় আহতদের একজন ২২ বছর বয়সী অ্যান্টন বলেন, তিনি দৌড়ে ভবনের একটি কক্ষে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এ সময় ড্রোন থেকে তাঁর দিকে ধাতব ধারালো জিনিস আসতে থাকে। এ ঘটনায় তাঁর বাঁ হাতে বড় ধরনের ব্যান্ডেজের প্রয়োজন হয়েছে।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, খারকিভের পাশাপাশি শনিবার রাতভর সুমি, ওদেসা ও দোনেৎস্ক অঞ্চলে ১১১টি ড্রোন ও ১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। এর মধ্যে তারা ৬৫টি ড্রোন ভূপাতিত ও ৩৫টি ড্রোনের হামলা ঠেকাতে সক্ষম হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’