‘এক কালনী নদীই আমার জীবন শেষ করে দিল’
Published: 1st, April 2025 GMT
প্রথম দফা ১৯৯৮, দ্বিতীয় দফা ২০০৩ সালে। সর্বশেষ ২০০৮ সালে কালনী নদীতে ভেঙে যায় উপেন্দ্র বৈষ্ণবের (৪৫) বসতভিটা। তিনবার নদীভাঙনের শিকার হয়ে তিনি এখন অনেকটাই নিঃস্ব। বসতভিটার ৫৬ শতাংশের মধ্যে ৫০ শতাংশই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। যে ৬ শতাংশ অবশিষ্ট আছে, তা-ও এখন ভাঙনের হুমকিতে।
উপেন্দ্রর বাড়ি সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ভেড়াডহর গ্রামে। পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কালনী নদী। গ্রামের অন্তত ২০০ থেকে ৩০০ পরিবার এ নদীর ভাঙনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে উপেন্দ্রর বাড়ি ভেঙেছে সবচেয়ে বেশি। তিনি জানান, একটু একটু করে তাঁর বাড়ি ভাঙছে। তিনিও বসতভিটা সরাচ্ছেন। এখন ভিটার সর্বশেষ অংশে আছেন। এ অংশ ভাঙনের শিকার হলে তাঁর আর মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকবে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীর ঠিক পারেই উপেন্দ্রর টিনশেডের ছোট দুটি ঘর। একটি বসবাসের জন্য, অন্যটি গোয়ালঘর। নদীর তীর থেকে কয়েক হাত উঁচু করে মাটি ফেলে প্রায় তিন শতক জায়গার মধ্যে ভিটা প্রস্তুত করে ঘর দুটি তৈরি করা হয়েছে। ঘরের সামনে নদীঘেঁষা আরও প্রায় তিন শতক জায়গা উন্মুক্ত। চৈত্র মাসেও নদীতে ধীরলয়ে স্রোত প্রবাহিত হচ্ছে। আশপাশের কয়েক কিলোমিটার অংশে নদীভাঙনের চিহ্ন দেখা যাচ্ছে।
স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে উপেন্দ্রর সংসার। তিনি পেশায় কৃষিজীবী। ধান ও সবজি চাষ করেন। বসতভিটার মতো তাঁর অনেকখানি কৃষিজমিও ভাঙনের শিকার হয়েছে। যে টাকা তাঁর আয় হয়, তা দিয়ে সংসার চলে না। তাই সব সময় ধার-কর্জ করে চলতে হয়। এ ছাড়া পাঁচ বছর আগে আত্মীয়দের কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। অভাবের কারণে সে ধারও শোধ করতে পারছেন না।
বাড়ির ৬ শতাংশ এখন অবশিষ্ট আছে, সেটাও এখন ভাঙনের হুমকিতে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আজ টিভিতে যা দেখবেন (১ আগস্ট ২০২৫)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ–পাকিস্তান টি–টোয়েন্টি সিরিজ আজ শুরু। যুব ওয়ানডেতে আছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দলের ম্যাচ। ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিন আজ।ত্রিদেশীয় যুব ওয়ানডে
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯–জিম্বাবুয়ে অনূর্ধ্ব–১৯
দুপুর ১–১৫ মি., জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট ইউটিউব চ্যানেল
ওয়েস্ট ইন্ডিজ–পাকিস্তান
সকাল ৬টা, পিটিভি স্পোর্টস
জিম্বাবুয়ে–নিউজিল্যান্ড
দুপুর ২টা, টি স্পোর্টস
ইংল্যান্ড–ভারত
বিকেল ৪টা, সনি স্পোর্টস টেন ১
কানাডিয়ান ওপেন
রাত ৯–৩০ মি., সনি স্পোর্টস টেন ২