শিশুটির পেট ভেদ করে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে গেছে গুলি
Published: 1st, April 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে একটি শিশুর পেট ভেদ করে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে গেছে গুলি। গুরুতর আহত শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাটি মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকের। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৭ নম্বর বশিকপুর ইউনিয়নের কাশিপুর কাচারিবাড়ি এলাকায় কথা কাটাকাটি ও সংঘর্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে লিপ্ত হয় দুই পক্ষ।
গুলিবিদ্ধ শিশুটির নাম আবিদা। তার বয়স মাত্র ছয় বছর। আবিদা কাশিপুর এলাকার ইব্রাহিম হোসেন ও আমেনা বেগম দম্পতির মেয়ে।
আরো পড়ুন:
সুনামগঞ্জে ফেসবুক পোস্ট ঘিরে সংঘর্ষ, আহত ৩৫
গোপালগঞ্জে মসজিদের জায়গা নিয়ে সংঘর্ষ-ভাঙচুর, আহত ১৫
লক্ষ্মীপুর সদরের একাংশ নিয়ে গঠিত চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি মো.
আবিদার আত্মীয়দের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেন স্বজনরা। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানার তথ্য অনুযায়ী, অহিদ উদ্দিন ও ছোট ইউসুফ নামে দুই প্রভাবশালীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধ নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অহিদ উদ্দিন ও ছোট ইউসুফের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. পীযুষ চন্দ্র দাস বলেন, শিশু আবিদা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গুলিটি পেট ছিদ্র করে পিঠ দিয়ে বের হয়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বশিকপুর ইউনিয়ন চন্দ্রগঞ্জ থানার মধ্যে পড়েছে। থানার ওসি কাউছার হামিদ বলেন, আধিপত্যা বিস্তারকে কেন্দ্র অহিদ উদ্দিন ও ছোট ইউসুফের মধ্যে গোলাগুলিতে শিশুটির গুলি লাগে। অভিযুক্ত দুজনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। অভিযুক্তদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।
ঢাকা/লিটন/রাসেল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকার তেজগাঁওয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তেজগাঁও সাউদার্ন পাম্পের পাশে সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
নিহত খন্দকার সাইদুর রহমান (৩৮) পেশায় মার্চেন্ডাইজার ছিলেন। তাঁর বাড়ি ঢাকার পল্লবীর বাউনিয়ার আলাবদিরটেক এলাকায়। তাঁর বাবার নাম খন্দকার মোফাজ্জল হায়দার।
মৃতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাতে সাইদুর মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে একটি ট্রাকের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মোটরসাইকেলে সাইদুরের সঙ্গে তাঁর এক সহকর্মীও ছিলেন। তবে তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মারুফ জানিয়েছেন।
আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, যে ট্রাকটি সাইদুরের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়েছিল, তা আটক করা হয়েছে, তবে এর চালক পালিয়ে গেছেন।
পরিবারের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সাইদুরের মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা আল মারুফ।