মার্থা’স ভিনিয়ার্ড দ্বীপ ও সার্কাসের আলোকচিত্র

জাহাজখানা মনে হয় নোঙর তুলছে। সশব্দ সঞ্চালনে সচকিত হয়ে কেবিনের দেয়ালে হাত রেখে ভারসাম্য রক্ষা করি। তারপর টলোমলো পায়ে বসে পড়ি ছোটখাটো কামরার একমাত্র সোফাটিতে। অনুভব করি—সামান্য সময়ের ব্যবধানে, বিমূর্ত চিত্রকলায় শোভিত মায়ামি নগরীর সৈকত, আর্ট-ডেকো কেতার স্থাপত্য প্রভৃতি হয়ে পড়বে ভিন দেশের ঝাপসা হয়ে আসা এক সমুদ্রবন্দর। ঘন্টাখানেক হতে চলল, জাহাজের স্টেটরুম নামে পরিচিত কেবিনটিতে সেটল্‌ড্ হওয়ার চেষ্টা করছি। সহযাত্রী শ্যানন মিনিট পনেরো আগে থারমোস ভর্তি গরম জল জুগিয়ে গেছে। কাঁপা হতে তৈরি করেছি চা। পেয়ালা একটি নয়, দুটি। তা থেকে উড়ছে ধোঁয়া, ছড়িয়ে পড়ছে সিলোন টির সুগন্ধ।

কথা ছিল, মিনিট পাঁচেকের মধ্যে ফিরে এসে শ্যাননও শামিল হবে চা-পানে। সে না আসাতে অবাক হই না তেমন। দীর্ঘদিনের পরিচিত এ নারী, যাকে বন্ধু সন্বোধন করতে আমি ভালোবাসি। কথার খেলাফ সে করে না বটে, তবে সময়নিষ্ঠ হওয়ার ব্যাপারে তার অনীহা সম্পর্কে আমি ওয়াকিবহাল। ক্যারবিয়ান ক্রুজ নামক এ নৌযাত্রার টিকিট কেনা থেকে কেবিন সিলেকশন অব্দি তাবৎ কিছুতে শ্যানন আমাকে সাপোর্ট দিয়েছে। অ্যালগরিদমের কলাকৌশলে আমার প্রত্যাশিত বাজেটের চেয়ে বিপুল ছাড়ে সে শুধু ক্রুজের টিকিট কিনে দেয়নি, দরাজ হাতে কমিশনও নিচ্ছে। বিনিময়ে অনলাইনে শোর এক্সকারশন তথা—মেক্সিকোর ইউকাতান পেনিনসুলা, বেলিজ ও হন্ডুরাসের একাধিক পিরামিড–শোভিত মায়ান মন্দির পরিদর্শনের বন্দোবস্তেও হাত লাগিয়েছে।

একটু আগে শ্যানন আমাকে শুধু গরম জলের ফ্লাস্কই সরবরাহ করেনি, সাইড টেবিলে ওষুধবিসুধ, সপ্তাহের প্রতিটি দিন চিহ্নিত পিলবক্স, সাপ্লিমেন্টের কৌটা, নিত্যদিনের স্বাস্থ্য–ব্যবস্থাপনার যন্ত্রপাতি প্রভৃতি গোছগাছ করে দিয়েছে। নৌভ্রমণে টিকিট কাটা ও ইন্টারনেট বিষয়ক সহায়তা ভিন্ন অন্য সবকিছু শুধু অপ্রত্যাশিতই নয়, তার জব ডেসক্রিপশনের বাইরেও। জাহাজে ওঠা মাত্র পয়লাবার ক্রুজে আসা প্রায় আড়াই হাজার সহযাত্রীর ছোটাছুটিতে এমন ধুন্ধুমার বেঁধেছিল যে কোনোক্রমে আমরা নির্দিষ্ট কেবিনে ঢুকে আশ্রয় নিয়েছি। ভাবছি, আরও ঘণ্টাখানেক নিরিবিলি কাটিয়ে বাইরে ডেক, রেস্তোরাঁ ও বারগুলোতে কুরুক্ষেত্রপ্রতিম পরিস্থিতি শান্ত হলে পরে জাহাজ দেখতে বেরোব। আমি চায়ের পেয়ালায় শেষ চুমুক দিয়ে আগেকার ক্রুজে কোনো যাত্রী আমার কামরায় কৃত্রিম কোনো ডিম লুকিয়ে রেখেছে কিনা, তার তালাশ করি।

সেগওয়ের চাকায় ভর দিয়ে ছুটে চলা যুবক ও যুবতী.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

টাঙ্গাইলের ৭ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা 

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে টাঙ্গাইলে ৮টি আসনের মধ্যে ৭টিতে বিএনপির প্রাথমিক মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। তবে, টাঙ্গাইল-৫ আসনের প্রার্থী পরে ঘোষণা করা হবে। 

আরো পড়ুন:

কক্সবাজার-১ আসনে ধানের শীষের কাণ্ডারী সালাহউদ্দিন

বিএনপির মনোনয়ন পেলেন নিখোঁজ ইলিয়াস আলীর স্ত্রী

প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ী) আসনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফকির মাহবুব আনাম স্বপন, টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে ওবায়দুল হক নাসির, টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফর রহমান মতিন, টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ারে) আসনে উপজেলা বিএনপির সদস্য রবিউল আউয়াল লাভলু, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিশুবিষয়ক সম্পাদক  আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী এবং টাঙ্গাইল-৮ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।  

বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর টাঙ্গাইলের বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীর সর্থকদের উল্লাস করতে দেখা গেছে। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, টাঙ্গাইলের ৮টি আসনের মধ্যে সব আসনে বিএনপির একাধিক মনোনয়নপ্রার্থী ছিল। এর মধ্যে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে একাধিক প্রার্থী থাকলেও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল ব্যাপক গণসংযোগে করেছেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের ধারণা ছিলো, টুকু ও ফরহাদের মধ্যে একজন টাঙ্গাইল-৫ আসন থেকে মনোনয়ন পাবেন। 

ঢাকা/কাওছার/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ