সন্তান জন্ম নেওয়ার ১ ঘণ্টা পর সেই পুলিশ সদস্যের লাশ দাফন
Published: 2nd, April 2025 GMT
গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত পুলিশ সদস্য রনি সিকদার (২৬) ছেলে সন্তানের পিতা হয়েছেন। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাত ৮টায় অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে ছেলে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার এক ঘণ্টা পর তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
রনি সিকদার টাঙ্গাইল সদর উপজেলার শাহানশাহগঞ্জ ছোনাট এলাকার জামাল সিকদারের ছেলে। তিনি গাজীপুর মহানগর পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর অস্ত্রপচারের জন্য ছুটি নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার পথে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অটোরিকশার ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী রনি সিকদারের মৃত্যু হয়। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টায় উপজেলার মৌচাক এলাকায় ঢাকা–টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
হাইওয়ে পুলিশ জানায়, পুলিশ সদস্যের নাম রনি সিকদারে স্ত্রী সুমি আক্তার অন্তঃসত্তা ছিলেন। তাঁর অস্ত্রোপাচার করার জন্য ছুটি নিয়ে টাঙ্গাইলে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন রনি। মঙ্গলবার সকালে মোটরসাইকেলে বাড়িতে যাওয়ার পথে কালিয়াকৈরের মৌচাক এলাকায় পৌঁছলে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা উল্টো পথে এসে মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে সড়কে ছিটকে পড়ে মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই পুলিশ সদস্যের।
খবর পেয়ে তাঁর লাশ উদ্ধার করে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় হাইওয়ে পুলিশ।
নিহতের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রনির লাশ যখন বাড়িতে পৌঁছায় তখন তার স্ত্রী সুমি আক্তারকে অস্ত্রপচার করার জন্য জরুরিভাবে টাঙ্গাইল নিউ আয়েশা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত সোয়া ৮টায় ওই হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ছেলে সন্তানের জন্মদেন সুমি আক্তার। আর রাত ৯ টার দিকে রনির জানাজার নামাজ শেষে সামাজিক কবরস্থানে তার দফন সম্পন্ন করা হয়।
রনির বোন আঁখি আক্তার মুঠোফোনে বলেন, ‘‘রনি ছেলে সন্তানের বাবা হয়েছেন কিন্তু ছেলের মুখটা দেখে যেতে পারলন না।’’
গাজীপুর সদর জোনের সহকারী উপকমিশনার (এসি) দ্বীন এ আলম বলেন, “তিনি আমার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী ছিলেন। অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর ডেলিভারি হওয়ার খবর পেয়ে ছুটি নিয়ে বাড়িতে রওনা দিয়েছিলেন। যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘রাতে টাঙ্গাইলের একটি হাসপাতালে অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে তার একটি ছেলে সন্তান হয়েছে।”
ঢাকা/রেজাউল/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প ল শ সদস য র
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।